আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: ইউএন বাংলা ফন্ট এখন ইউনিকোডে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবার অনলাইনে বাংলা ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে ইউনিকোডসহ, ‘ইউএন বাংলা’ ফন্ট ৭টি ভিন্ন রূপে প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবার অনলাইনে বাংলা ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে ইউনিকোডসহ, ‘ইউএন বাংলা’ ফন্ট ৭টি ভিন্ন রূপে প্রকাশ করেছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীদের সুবিধার্থে ইউএনডিপি নতুন ফন্টগুলো প্রকাশ করেছে।
ইউএন বাংলা ফন্ট প্রথম ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু একটি আঙ্গিকে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল। সোমবার ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণের উদ্বোধন করেন।
স্টেফান লিলার বলেন, ‘২০২০ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা ইউএন বাংলা ফন্ট প্রকাশ করেছিলাম। যেহেতু অনলাইনে বাংলার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে তাই আমরা এবার ইউনিকোডে ইউএন বাংলা ফন্ট সবার ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করেছি।’
বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণ, আমি মনে করছি বাংলা লেখার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে, যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা বাংলায় লেখালেখি করেন তারা এখন মোবাইলে এবং কম্পিউটারে এই ফন্ট ব্যবহার করে নতুন আঙ্গিকে লিখতে পারবেন।’
ফন্ট উদ্বোধনকালে জয়া আহসান বলেন, ‘আমরা যারা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুন সংবাদ। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএনডিপির এ রকম একটি উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত।’
ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অফ কমিউনিকেশনস মো. আব্দুল কাইয়ূম বলেন, ‘ইউএন বাংলা ফন্টটি দিয়ে খুব শিগগির ইউএনডিপি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটটি বাংলাতে প্রকাশ করা হবে, এ ছাড়াও এই ফন্টটি ইউএনডিপির অন্যান্য বাংলা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই ফন্টটি শুধু ইউএনডিপির জন্য না, জাতিসংঘ যেকোনো সংস্থা এই ফন্টটি ব্যবহার করতে পারবে, পাশাপাশি যে কেউ এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে।’
ফন্টটির ডিজাইনার মহিবুবুর রহমান রাজন বলেন, ‘আমাদের প্রিয় বাংলা বর্ণমালায় মাত্রা যুক্তাক্ষরসহ সব মিলিয়ে বৈচিত্র্য অনেক বেশি তাই বাংলা বর্ণমালা নিয়ে কাজ করার সুযোগটাও বেশি। ইউএন বাংলা ফন্টটির মতো এত ভিন্নতা খুব বেশি আর নেই।’
এমএমএ/