২০২৩ সালে একুশে পদক পাচ্ছেন ১৯ ব্যক্তি ও ২ প্রতিষ্ঠান
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও ২ প্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালের একুশে পদক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৯ বিশিষ্ট নাগরিকের মাঝে ৭ জন পাচ্ছেন মরণোত্তর সম্মাননা।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এবারের একুশে পদক পুরস্কারের জন্য যারা মনোনীত হয়েছেন তারা হলেন,
ভাষা আন্দোলন বিভাগে ৩ জন। খালেদ মনযুর-ই-খুদা, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. এম. শামসুল হক (মরণোত্তর) ও মো. মজিবর রহমান
শিল্পকলা বিভাগে ৮ জন। নওয়াজীশ আলী খান; অভিনয়ে মাসুদ আলী খান ও শিমুল ইউসুফ; সংগীতে মনোরঞ্জন ঘোষাল, গাজী আব্দুল হাকিম ও ফজল-এ-খোদা (মরণোত্তর); আবৃতিতে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়; চিত্রকলায় কনক চাঁপা চাকমা।
মুক্তিযুদ্ধ বিভাগে ১ জন। মমতাজ উদ্দীন (মরণোত্তর)।
সাংবাদিকতা বিভাগে ১ জন। মো. শাহ আলমগীর (মরণোত্তর)।
গবেষণা বিভাগে ১ জন। ড. মো. আবদুল মজিদ।
শিক্ষা বিভাগে ২ জন। প্রফেসর ড. মযহারুল ইসলাম (মরণোত্তর) ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর।
সমাজসেবা বিভাগে ১ প্রতিষ্ঠান ও ১ ব্যক্তি। বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ও মো. সাইদুল হক।
রাজনীতি বিভাগে ২ জন। এড. মঞ্জুরুল ইমাম (মরণোত্তর) ও আকতার উদ্দিন মিয়া (মরণোত্তর)।
ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে ১ জন। ড. মনিরুজ্জামান।
এর আগে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৩ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনয়ন আহ্বান করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। মনোনয়ন পাঠানোর শেষ তারিখ ছিল গেল বছরের ৩১ অক্টোবর। বিদায়ী বছরে একুশে পদকের সম্মাননা লাভ করেন ২৪ বিশিষ্ট নাগরিক।
‘একুশে পদক’ দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা। মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতিবছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সরকার এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে একটি স্বর্ণপদক, এককালীন অর্থ (চেক) ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
/এএস