পাঠক-দর্শনার্থী কমার প্রভাব বই বিক্রিতে!
গেল শুক্রবার বই বিক্রির পাশাপাশি দর্শনার্থী মুখর বই মেলা থাকলেও একদিনের মাথায় দর্শনার্থী-পাঠক দুটোই কমেছে। যার প্রভাব পড়েছে বই বিক্রিতেও।
শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ থেকে শিশু প্রহরের মধ্য দিয়ে শুরু হয় চতুর্থদিনের আয়োজন। ১১টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবক ও শিশু-কিশোরদের পদচারণায় মুখর বইমেলা। তবে গত শুক্রবারের তুলনায় শনিবার শিশু-কিশোরদের পদচারণাও সেই দিক দিয়ে তেমন ছিল না।
লামিয়া জাহান তুবা, পড়ছেন রাজধানীর একটি বেসরকারি স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে। মার সঙ্গে বই মেলাতে এসেছে সে। কিনবে ভূতের গল্পের বই আর স্পাইডার ম্যানের স্টিকার। তুবা বলে, ভূতের গল্প শুনতে ও পড়তে ভাল লাগে। তাই কিছু বই কিনতে চাই। সঙ্গে স্পাইডার ম্যান আর ব্যাটম্যানের স্টিকারও কিনতে চাই। শুক্রবার চাচ্চুর বাসায় গিয়েছিলাম তাই আজ এসেছি।
তুবা আরও বলে, সিসিমপুরে বন্ধুদের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছে আছে। আজকে না পারলে পরের দিন বাবার সঙ্গে এসেছে, তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলব।
এদিকে শিশুপ্রহরে গত দিনের তুলনায় উপস্থিতি কম থাকলেও বড় পাঠক-দর্শনার্থীদের সংখ্যা আজ কম বলে জানাচ্ছেন বিভিন্ন স্টলের দায়িত্বে থাকা বিক্রয়কর্মীরা। আগামী প্রকাশনীর বিক্রেতা সজীব হোসেন।
সজীব হোসেন জানান, শুক্রবারের তুলনায় পাঠক-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কমেছে। যার প্রভাব বই বিক্রিতেও রয়েছেও। গত শুক্রবারের তুলনায় শনিবার বই বিক্রি তুলনা মূলক কম। মাত্রইত চারটা দিন পার হলো, সামনে হয়তো বই বিক্রি অনেক বাড়বে।
বই বিক্রি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সজীব জানান, আমাদের এ বছর অনেক নতুন বই এসেছে। কয়েকদিনের ভেতর আরও আসবে। তবে বর্তমানে সলিমুল্লাহ খান ও ফরহাদ মাজহারের বই বেশি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে শব্দশৈলী প্রকাশনীর ওয়াসিকুল গণি রাতুল বলেন, বিক্রি মোটামুটি ভালোই হচ্ছে। আগামী আরও ভালো হবে মনে হচ্ছে। কেবল তো শুরু হলো মাত্র। এ মেলাতে সামশাদ সুলতানা খানম ও ফজলুর রহমানের বই তাদের অনেক বেশি হচ্ছে বলে জানান রাতুল।
আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গণি বলছেন, করোনার পরবর্তী একটি মেলা। বেশ ভালো জমেছে, বিক্রিও ভালো হচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা মেলার সামনের দিনগুলোতে এখনকার যে বিক্রি এটি বাড়বে।
এমএমএ/