হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন আনোয়ারা-মৌরি
এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার ২০২২ ঘোষিত হয়েছে। এ বছর কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের জন্য প্রবীণ কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক এবং নবীন সাহিত্য শ্রেণিতে (অনূর্ধ্ব চল্লিশ বছর লেখক) মৌরি মরিয়ম পুরস্কৃত হয়েছেন।
শনিবার (১২ নভেম্বর) বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বছরের জন্য নির্বাচিত কথাশিল্পীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা।
রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার প্রারম্ভ সংগীতানুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
কথাশিল্পী ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের লিখনী অনন্য, যেভাবে তিনি লেখনীর মাধ্যমে মানুষকে আকৃষ্ট করেছেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। তার দশ বছর বয়সী পাঠক ছিল এবং আশি বছর বয়সেরও পাঠক ছিল। যুগে যুগে তার মতো এমন প্রথিতযশা ও শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি তো আর আসবে না। হুমায়ূন তার সৃষ্টিকর্মের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হুমায়ূন আহমেদ তার নাটক, গান, সিনেমা সহজ-সরল ভাবে লিখেছেন। দেশ, দেশের প্রতি মানুষের ভালবাসা, প্রকৃতি, হাওর, নদী সব কিছুই তার লেখাতে উঠে এসেছে। এদেশে যখন অফিসিয়ালি বলা হলো পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বা রাজাকার বলা যাবে না। এমন পরিস্থিতিতে যখন হুমায়ূন আহমেদ টিয়া পাখির মুখ দিয়ে বললেন, ‘তুই রাজাকার’ এ কথাটি অনেক জোরালভাবে সারা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছিল।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল বারী, অন্যদিনের সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, অভিনেত্রী ও হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী মেহের আফরোজ শাওন, বিশ্বজিৎ চৌধুরী ও সৈয়দ আজিজুল হক।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— রামেন্দু মজুমদার, মোহিত কামাল, সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ইমদাদুল হক মিলন, গোলাম কুদ্দুসসহ আরও অনেকেই।
উল্লেখ্য, প্রয়াত কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের স্মরণে দেশের নবীন-প্রবীণ কথা সাহিত্যিকদের শিল্প সৃষ্টিতে প্রেরণা যোগাতে ২০১৫ সালে প্রবর্তিত হয় ‘এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিন হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার।’
আরএ/