চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণ নিয়ে তথ্যচিত্র, মস্কোতে প্রিমিয়ার শো
মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২-১৯৭৪ পর্যন্ত তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়ার নৌ-বাহিনীর চট্টগ্রাম বন্দরের মাইন অপসারণের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে তথ্যচিত্র ‘ফ্রিডম ডাজ নট ব্রেথ মানি’। রাশিয়ার চলচ্চিত্রকার ইভগেনি বারখানভ পরিচালিত তথ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার শো গত ২৮ ডিসেম্বর মস্কোর সেন্ট্রাল সিনেমা হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, তথ্যচিত্রের পরিচালক ইভজেনি বারখানভ ও মাইন অপসারণের সঙ্গে জড়িত নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন (অব.) নিকোলায়েভিচ কোলোসকভ উপস্থিত ছিলেন বলে বুধবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার খবরে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান জানান, ৪৪ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু দুর্লভ ভিডিও ফুটেজ রয়েছে, যা এর আগে অনেকেই কখনো দেখিনি।
তথ্যচিত্রে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরের ঘটনা দেখানো হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকালের ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইনের জন্য চট্টগ্রাম নৌ-বন্দরটি চালু করা যাচ্ছিল না। সে সময় পশ্চিমা কোন দেশ এই বিষয়ে সাহায্য করার কোন আগ্রহ দেখায়নি। ১৯৭২ সালের ১ থেকে ৩ মার্চ মস্কোতে রাষ্ট্রীয় সফরের সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন ও সোভিয়েত কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি জেনারেল লিউনিভ ব্রেজনেভকে ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধার ও মাইন অপসারণে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন। সোভিয়েত সরকার বঙ্গবন্ধুর অনুরোধে সাড়া দিয়ে তাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌঘাঁটি থেকে সামরিক নৌ যানসহ প্রায় ৯শ’ নৌ-সেনাকে মাইন অপসারণ ও নিমজ্জিত জাহাজ উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামে পাঠায়।
তথ্যচিত্রটিতে এডমিরাল ইউরি কনস্ট্যান্টিনোভিচ সেনাটস্কি ও রাশিয়ান নৌ-বাহিনীর আরও দু’জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে মাইন অপসারণ ও প্রাসঙ্গিক ঘটনাগুলো দেখানো হয়েছে। এডমিরাল ইউরি চট্টগ্রাম নৌ-বন্দরে নিয়োজিত সোভিয়েত নৌ-বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এটি নির্মিত হয়েছে।
তথ্যচিত্রটি সংযুক্ত লিংকে দেখা যাবে- https://www.youtube.com/watch?v=aO6ObsqSj9c
এপি/