১৯ বিশিষ্ট নাগরিকদের বিবৃতি, তেঁতুলতলা খেলার মাঠ হিসাবেই দেখতে চাই
রাজধানীর তেঁতুলতলা খেলার মাঠ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী সৈয়দা রত্না ও তার পুত্র প্রিয়াংশুকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার থানায় বন্দী রাখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন ১৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক।
সংবাদ মাধ্যমে সোমবার (২৫ এপ্রিল) পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘যদিও ২৪ এপ্রিল মধ্যরাতে জনমতের চাপে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে যে কেন কোন প্রকার প্রতিবাদ করলে সাথে সাথে সেই প্রতিবাদকারীকে এদেশে গ্রেফতার হতে হয়। এভাবে মত প্রকাশে বাঁধা দেশকে স্থবির করে দিচ্ছে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘পুলিশ সৈয়দা রত্না ও প্রিয়াংশুকে খেলার মাঠ দাবি আদায়ের আন্দোলন থেকে সরে আসবে এরকম মুচলেকায় ন্যাক্কারজনকভাবে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের মুক্তি দিয়েছে বলে আমরা গনমাধ্যম মারফত জানতে পেরেছি। আমরা এই হীন মুচলেকার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি ও একই সাথে তা প্রত্যাহারের দাবী জানাই। আমরা কলাবাগান তেঁতুলতলা খেলার মাঠ হিসাবেই দেখতে চাই। কলাবাগান থানা ভবনের জন্য অন্য কোন জায়গা খুঁজে ভবন নির্মাণের পরামর্শ দিচ্ছি। ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পুলিশ প্রশাসনকে কলাবাগান থানা ভবনের জন্য অন্য কোথাও স্থান নির্ধারণের যে পরামর্শ দিয়েছেন তা আমরা সমর্থন করি।’
বিবৃতিতারা বলেন, ‘আমরা এ প্রসঙ্গে ঢাকাসহ দেশের সকল শহরে শিশু কিশোরদের পরিপূর্ণ বিকাশের উপযুক্ত মাঠ ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত স্থানের অপ্রতুলতার কথা সরকার ও প্রশাসনকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে এর আশু সমাধানের দাবি জানাই। সবশেষে আমরা সৈয়দা রত্না ও তাঁর পুত্র প্রিয়াংশুকে তাদের প্রতিবাদ ও সাহসী সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির জন্য সাধুবাদ ও অভিবাদন জানাই।’
বিবৃতিদাতারা হলেন, লেখক-সাংবাদিক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, অধ্যাপক অনুপম সেন, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, ডা. সারওয়ার আলী, সাংবাদিক আবেদ খান, কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন, অধ্যাপক আবদুস সেলিম, সংস্কৃতিজন লায়লা হাসান, লেখক মফিদুল হক, নাট্যজন মামুনুর রশীদ, অধ্যাপক শফি আহমেদ, লেখক-সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, নাট্যজন নাসির উদ্দীন ইউসুফ, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ ও সাংবাদিক হারুন হাবীব।
এপি/