স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে লাল ইটের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি
স্মৃতি হয়ে যাচ্ছে শাহবাগের লাল ইটের প্রশস্ত সিঁড়ির নান্দনিক স্থাপত্যের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরি। কীর্তিমান স্থপতি মাজহারুল ইসলামের অনুপম সৃষ্টি এই ভবন ভেঙ্গে নির্মাণ করা হবে সুরম্য ভবন। নেওয়া হয়েছে নতুন প্রকল্প।
শাহবাগের কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিতে অবস্থিত গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগার এরই মধ্যে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর স্থানান্তর হয়েছে মিন্টো রোডের ১ নম্বর সড়কের বিএসএল ভবন-৩এ। আর সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগার স্থানান্তর হয়েছে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ১৩ তলায়।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের ১৩ তলায় এরই মধ্যে সুফিয়া কামাল জাতীয় গ্রন্থাগারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) নতুন স্থানে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শনিবার (১৬ এপ্রিল) পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ব্যতীত অন্যান্য দিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত লাইব্রেরির কার্যক্রম পাঠকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জাতীয় গণগ্রন্থাগারের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। মহাপরিচালক আবুবকর সিদ্দিক জানিয়েছেন, এখানে ২০০ জন পাঠক এক সঙ্গে বই পড়ার সুযোগ পাবেন।
এদিকে, শাহবাগের জাতীয় গণগ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে অত্যাধুনিক বহুতল ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ভবন ও জাতীয় জাদুঘর ভবনকে সমন্বিত করে নতুন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। ‘গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের বহুতল ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ভবনটি নির্মিত হবে। প্রকল্প বাজেট হচ্ছে ৫২৪ কোটি ২৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ জুন। প্রকল্পের আওতায় ১০ তলা আবাসিক ভবন নির্মাণ, অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, বই ও সাময়িকী কেনা, কম্পিউটার ও যন্ত্রাংশ এবং মোটরযান কেনা, অফিস সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গেছে।
এপি/