প্রস্তুতি চলছে মঙ্গল শোভাযাত্রার
কোথাও বাঁশ-পেরেকের ঠুকঠাক শব্দ, আবার কোথাও গভীর মনোযোগে তুলির আঁচড় পড়ছে মাটির সরায়। কেউ বানাচ্ছেন কাগজের পাখি, বাঘ, রাজা, রানি ইত্যাদি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অঙ্গণের ব্যস্ততা এটি। গত ৩১ মার্চ থেকে দিন যত যাচ্ছে, এখানকার ব্যস্ততাও তত বাড়ছে। এই ব্যস্ততা চলবে আগামী ১৩ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত। কারণ পরের দিন ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ-১৪২৯ বা পয়লা বৈশাখ।
রাজধানী ঢাকার নববর্ষ উদযাপনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের পয়লা বৈশাখ আসতে বাকি আর মাত্র ১১ দিন। রবিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে চারুকলা অঙ্গণে গিয়ে দেখা যায় শোভাযাত্রার আয়োজন নিয়ে চারুকলার শিক্ষার্থীদের নানা ব্যস্ততা।
তারা জানালেন, শোভাযাত্রার এবারের থিম এখনো ঠিক করা হয়নি। আর এবারের শোভাযাত্রার আয়োজন করছে যৌথভাবে ২২তম ও ২৩তম অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
জানতে চাইলে ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসান ঢালী অনন্যা ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘থিম এখনো ঠিক করা হয়নি। তবে ২-৩ দিনের মধ্যে থিম ঠিক করা হয়ে যাবে। প্রস্তুতি অন্যান্য বছরের মতোই এগুচ্ছে। তবে আয়োজনে কিছুটা ভিন্নতা তো থাকবেই। থিম নির্ধারণ হয়ে গেলে আয়োজন আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে।’
তিনি জানান, ‘অন্যান্য বছরের মতো এবারও চারুকলার শিক্ষার্থীদের নকশা করা মাটির সরা, কাগজের পাখি, বাঘ, রাজা, রানি ইত্যাদি শিল্পকর্ম বিক্রি করে শোভাযাত্রা আয়োজনের ব্যয় মিটানো হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যদিও রমজান মাস, তবুও আশা করি, যারা শোভাযাত্রায় আসার, তারা আসবেই।’ শোভাযাত্রা সফল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
২৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. আনমোন বলেন, ‘একেক বছর একেক ব্যাচ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। তবে এবার আমরা ২২ ও ২৩তম ব্যাচ যৌথভাবে আয়োজন করছি। কারণ গত বছর সীমিত পরিসরে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়েছিল। অন্যান্য ব্যাচের মতো করে শোভাযাত্রা আয়োজনের সুযোগ পায়নি ২২তম ব্যাচ।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত ৩১ মার্চ থেকে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। যদিও রমজান মাসে শোভাযাত্রা হবে কি না, এই নিয়ে একটু অনিশ্চয়তা ছিল। তাই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে দেরিতে। তবে আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।’
এমএ/এসএ/