শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত হাসান আরিফ

কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে আবৃত্তি করে মুগ্ধ করতেন সবাইকে। অপশাসন, অনিয়ম, অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে সাংস্কৃতিক জাগরণের ডাক দিতেন। সংগঠিত করে নিয়ে আসতেন তরুণ প্রজন্মকে। দেশবরেণ্য মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করতেন সুচারুভাবে। আজও চিরচেনা সেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এলেন তিনি। তবে একদম প্রাণহীন, নিথর দেহে। মাইকে বাজছে তার বজ্রকণ্ঠের আবৃত্তি। এভাবে নিথর দেহে তাকে দেখে অশ্রুসিক্ত পরিবার, স্বজনসহ তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও সাংস্কৃতিক যোদ্ধারা।

খ্যাতিমান আবৃত্তিশিল্পী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফের মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয় শনিবার (২ এপ্রিল) সকাল ১১টা ১০ মিনিটে। বেলা ১টা পর্যন্ত সংস্কৃতিসেবী, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের শ্রদ্ধা ভালোবাসায় সিক্ত হলেন দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রসেনানী হাসান আরিফ।

শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। প্রথমেই শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি। এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। সবার প্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠক হাসান আরিফের শেষ যাত্রায় শ্রদ্ধা জানাতে কেবল ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার সাংস্কৃতিক জোটের কর্মীরাও জড়ো হন শহিদ মিনারে। শ্রদ্ধা জানাতে আসা অনেককেই নীরবে অশ্রুপাত করতে দেখা গেছে।

মাহবুবুল হক হা‌নিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, শ‌ফিউল আলম না‌দেল, আফজাল হো‌সে‌নের নেতৃ‌ত্বে আওয়ামী লীগ শ্রদ্ধা নিবেদন করে। এ ছাড়াও আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী’র বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা জানায় কেন্দ্রীয় যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছা‌সেবক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

শ্রদ্ধা জানায় বাংলা‌দেশ ক‌মিউ‌নিস্ট পার্টি, সংগীত সংগঠন সমন্বয় প‌রিষদ, জাতীয় ক‌বিতা প‌রিষদ, গণসংগীত সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ পথনাটক পরিষদ, নৃত‌্যশিল্পী সংস্থা, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, সেক্টর কমান্ডরস ফোরাম, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল ক‌মি‌টি, জয়বাংলা সাংস্কৃ‌তিক ঐক্যজোট, ম‌হিলা প‌রিষদ, সংস্কৃ‌তি মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, কণ্ঠশীলন, ব‌হ্নি‌শিখা‌, ঋষিজ, ক্রা‌ন্তি; দ‌নিয়া সাংস্কৃ‌তিক জোট, ক‌চিকাঁচার মেলা, মহাকাল, বাংলা‌দেশ পু‌লিশ থি‌য়েটার, পদা‌তিক নাট‌্য সংসদ, সংস্কৃ‌তি সংসদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মু‌জিব বিশ্ব‌বিদ‌্যালয় কি‌শোরগঞ্জ, শ্রু‌তিঘর, সংস্কৃ‌তি বিকাশ কেন্দ্র, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃ‌তিক জোট, দেশ নাটক, স‌ত্যেন‌ সেন শিল্পী গোষ্ঠী, সুরতান, বঙ্গবন্ধু শিল্পী‌গোষ্ঠী, সুরসাগর ল‌লিতকলা একা‌ডে‌মি, ঢাকা পদা‌তিক, রোভার স্কাউট, ঢাকা থি‌য়েটার, বাংলাদেশ গ্রাম থি‌য়েটার, বাক শিল্পাঙ্গন, ডি‌রেক্টরস গিল্ড, কথা আবৃ‌ত্তি চক্র, ইউনিভার্সেল থিয়েটার, ঝিনাইদহ স‌ম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট. কক্সবাজার সাংস্কৃতিক জোট, গা‌জিপুর সাংস্কৃ‌তিক জোট, সাভার সাংস্কৃতিক জোট, গাজীপুর সাংস্কৃতিক জোট, আরণ‌্যক নাট‌্যদল, দ‌নিয়া পাঠাগার, কথক থি‌য়েটার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক ফোরাম, মুক্তবাক, ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যালয়, ঢাকা রি‌পোর্টার্স ইউনিটি, থি‌য়েটার, সম্প্রী‌তি বাংলা‌দেশ, বেঙ্গল ফাউ‌ন্ডেশন, নাগ‌রিক নাট‌্য সম্প্রদায়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, স্বরকল্পন, প্রজন্ম একাত্তর, শর্ট ফিল্ম ফোরাম, ছায়ানট, জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত স‌ম্মিলন প‌রিষদ, বোধন চট্টগ্রাম, বাংলাদেশ শিল্পকলা একা‌ডে‌মি, সাত‌ক্ষিরা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্রমৈত্রী, সহজপাঠ, স্বরশ্রতি প্রভৃতি সংগঠন।

বিশিষ্টজনদের মধ্যে ম‌ফিদুল হক, আবৃ‌ত্তিশিল্পী ভাস্বর ব‌ন্দোপাধ্যায়, ডা‌লিয়া আহ‌মেদ, শিমুল মোস্তাফা, কণ্ঠশিল্পী র‌ফিকুল আলম, তি‌মির নন্দী, সা‌বেক ছাত্রনেতা শ‌ফি আহমদ, চিত্রশিল্পী কামাল পাশা চৌধুরী, লেখক শাকুর ম‌জিদ, অধ‌্যাপক কামরুল আহসান খান, চিত্রশিল্পী অধ্যাপক নিসার হো‌সেন, সাংবাদিক হারুন হাবীব, লেখক সাংবা‌দিক শাহরিয়ার ক‌বির, কাজল দেবনাথ, ড. মুহাম্মদ সামাদ, লিয়াকত আলী লাকি, ক‌বি তা‌রিখ সুজাত, সুভাস সিংহ রায়, এনামুল হক ওমর, অভিনেতা কেরামত মওলা, শংকর সাওজাল, ঝুনা চৌধুরী, ত্রপা মজুমদার, কামাল বায়জিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান প্রমুখ।

শেষ পর্যায়ে হাসান আরিফের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক সভাপতি রা‌মেন্দু মজুমদার, না‌সিরউদ্দীন ইউসুফ ও বর্তমান সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। পরিবরের পক্ষ থেকে কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন হাসান আরিফের ছোট বোন তুলি।

শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানো শেষে জাতীয় পতাকা সামনে রেখে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স যাত্রা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের উদ্দেশে। সেখানে বাদ জোহর হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মরদেহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ অনাটমি বিভাগের শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিয়ে হাসান আরিফের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, হাসান আরিফের মতো মানুষদের মরণোত্তর দেহদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এর আগে শনিবার সকাল ৯টায় ধানমন্ডির বাসার পাশের মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২ ডিসেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন হাসান আরিফ। তিনি দীর্ঘদিন হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এরপর থেকে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন এই আবৃত্তিশিল্পী।

বিগত শতাব্দীর আশির দশক থেকে এ দেশের সাংগঠনিক আবৃত্তিচর্চা ও প্রশিক্ষণে অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে দেশের সব গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সামনে থেকে তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছিলেন।

এএম/এপি/

এ সম্পর্কে আরও পড়ুন :

শহীদ মিনারে হাসান আরিফের মরদেহ, শ্রদ্ধাঞ্জলি শুরু

হাসান আ‌রিফ স্মরণীয় থাক‌বেন

হাসান আরিফের মৃত্যুতে ১৯৯০ এর ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের শোক

হাসান আরিফের মৃত্যুতে নির্মূল কমিটির শোক প্রকাশ

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা শনিবার : মরণোত্তর দেহদান করে গেছেন হাসান আরিফ

হাসান আরিফের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

হাসান আরিফ চলে গেলেন অনন্তের পথে

Header Ad

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ১১টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন তারা। তাদের মধ্যে ৭৬ জন সম্পূর্ণ সরকারি ব্যয়ে ও ছয়জন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে দেশে ফিরেন। এ নিয়ে ১১টি ফ্লাইটে এখন পর্যন্ত ৬৯৭ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার সহযোগিতায় তাদের দেশে ফেরত আনা হয়েছে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে আসা ৮২ বাংলাদেশির মধ্যে ৭৬ জন লেবাননের বৈরতে বাংলাদেশ দূতাবাসে রেজিষ্ট্রেশন করেন। আর বাকি ছয়জন রেজিস্ট্রেশন করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থায়। এ পর্যন্ত ১১টি ফ্লাইটে ৬৯৭ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রত্যাবাসন করা এসব বাংলাদেশিকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা।

এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোস্তফা জামিল খান যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

প্রসঙ্গত, লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যতজন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সবাইকে সরকার রাষ্ট্রীয় খরচে দেশে ফেরত আনার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫

ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একাধিক যাত্রীবাহী গাড়িতে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়, যার ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আফগানিস্তানের সীমান্তের কাছের কুররম অঞ্চলে এই হামলা ঘটে। পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মহসিন নকভি নিশ্চিত করেছেন যে, হামলার স্থানটি আফগান সীমান্তের কাছাকাছি। জেলা পুলিশ এবং স্থানীয় হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নারী ও শিশুরাও রয়েছে। তাদের আশঙ্কা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

পুলিশ এখনো আততায়ীদের খুঁজে বের করার জন্য অভিযান শুরু করেছে। কুররম জেলা সম্প্রতি শিয়া এবং সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে সম্প্রদায়গত সহিংসতার জন্য পরিচিত। তবে এই হামলার দায় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এখনও স্বীকার করেনি।

এই অঞ্চলে সম্প্রতি জমি নিয়ে বিতর্ক এবং সশস্ত্র সংঘর্ষের কারণে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। আগস্ট এবং অক্টোবর মাসে জমি নিয়ে বিতর্কে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলেছিল এবং এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। এছাড়া, গত কয়েক সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় পাকিস্তানি সেনাদের মধ্যে ২০ জন নিহত হয়েছেন।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসে পাকিস্তানজুড়ে একাধিক সন্ত্রাসী হামলায় ৬০ জনেরও বেশি নিরাপত্তা কর্মী নিহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশিরভাগ সহিংসতার দায় তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) সংগঠনটি স্বীকার করেছে। এই গোষ্ঠীকে বৈশ্বিক সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে জাতিসংঘ তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসলামাবাদ অভিযোগ করেছে যে, আফগানিস্তানের তালেবান শাসনের অধীনে থাকা ‘অভয়াঞ্চল’ থেকে টিটিপি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুমতাজ বালোচ বৃহস্পতিবার বলেন, তাদের সরকারের দীর্ঘদিনের অভিযোগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, আফগান ভূখণ্ডে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আফগান তালেবান কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তালেবান নেতারা দাবি করেছেন, তারা টিটিপি বা অন্য কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় দেন না এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার জন্য কাউকে সুযোগও দেন না।

এই হামলার ঘটনা পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্রতার একটি নতুন উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে পদাধিকারবলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র এ কমিটির সদস্য থাকবে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা হলেন- মো. মাহিন সরকার, রশিদুল ইসলাম রিফাত, নুসরাত তাবাসসুম, লুৎফর রহমান, আহনাফ সাঈদ খান, তারেকুল ইসলাম (তারেক রেজা), তারিকুল ইসলাম, মো. মেহেরাব হোসেন সিফাত, আসাদুল্লাহ আল গালিব, মোহাম্মদ রাকিব, সিনথিয়া জাহিন আয়েশা, আসাদ বিন রনি, নাইম আবেদীন, মাহমুদা সুলতানা রিমি, ইব্রাহিম নিরব, রাসেল আহমেদ, রফিকুল ইসলাম আইনী ও মুঈনুল ইসলাম।

১৮ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কমিটির তালিকা। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গত ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলন একপর্যায়ে গণ–অভ্যুত্থানে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার সেই অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আন্দোলন পরিচালনায় ৮ জুলাই ৬৫ সদস্যের সমন্বয়ক টিম গঠন করেছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। পরে ৩ আগস্ট তা বাড়িয়ে ১৫৮ সদস্যের করা হয়। ২২ অক্টোবর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক টিম বিলুপ্ত করে চার সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

কমিটিতে হাসনাত আবদুল্লাহকে আহ্বায়ক, আরিফ সোহেলকে সদস্যসচিব, আবদুল হান্নান মাসউদকে মুখ্য সংগঠক ও উমামা ফাতেমাকে মুখপাত্র করা হয়। এই কমিটি দিয়ে এতদিন সংগঠনটির কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৮২ বাংলাদেশি
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা, নিহত ৪৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৮ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন
তামিমকে অধিনায়ক করে বাংলাদেশের দল ঘোষণা
নতুন নির্বাচন কমিশন শপথ নেবে রোববার
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার