জমকালো আয়োজনে ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’
ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছেন প্রধানমন্ত্রী
বিশাল মঞ্চ। আলো আঁধারি খেলা। কখনো গান, কখনো নৃত্য। আবার কখনো আবৃত্তি ও গীতিনাট্য। মাঝে মাঝে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বঙ্গবন্ধুর গুরুত্বপূর্ণ ভাষণের অংশ বিশেষ। ভেসে আসে ‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট বর্ণনার সঙ্গে আবার একঝাঁক শিল্পীদের অনন্য পরিবেশনা। সবমিলিয়ে হৃদয়কাড়া এক বর্ণিল আয়োজন ও পরিবেশনা।
এ সব ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী উপলক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজ শনিবার (২৬ মার্চ) আয়োজিত ‘জয়বাংলার জয়োৎসব’ এর দ্বিতীয় দিনের আয়োজন।
অনুষ্ঠানে সমবেত কণ্ঠে রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, তিমির নন্দিসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা পরিবেশন করেন ‘রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি, বাংলাদেশের নাম’ গানটি। এরপর দেশের গান পরিবেশন করেন বাপ্পা মজুমদার, পান্থ কানাই, অদিতি মহসিন, জয়িতা।
আবৃত্তি করেন কবি নির্মলেন্দু গুণ, লায়লা আফরোজ। শিশু-কিশোররা সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানটি। দলীয়ভাবে গীতিনাট্য পরিবেশন করেন ‘ওরা আমার মুখের ভাষা কাইরা নিতে চায়’। এছাড়া সমবেত কণ্ঠে গান পরিবেশন করেন ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে গানটি’। ‘জয় হবে জয় হবে জয়’ গানটির সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন একঝাঁক নৃত্যশিল্পী।
দিনের শেষ আয়োজন ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধ কনসার্ট’। অংশ নেয় দেশের চারটি জনপ্রিয় ব্যান্ড নেমেসিস, আরবোভাইরাস, দলছুট ও আর্টসেল।
দ্বিতীয় দিনের এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠান উপভোগও করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল মঞ্চে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এছাড়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সদস্য সচিব ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সমাপনী আয়োজনের প্রথম দিনে শুক্রবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
পাঁচ দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান শেষ হবে মঙ্গলবার (২৯ মার্চ)। এ কর্মসূচির প্রথম চারদিনের অনুষ্ঠান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে। পঞ্চম দিনের সমাপনী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে হাতিরঝিলে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করায় এ উদযাপনের নামকরণ করা হয়েছে ‘জয় বাংলার জয়োৎসব’।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের বেশকটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সরাসরি সম্প্রচার করছে।
এএম/আরএ/