কুমিল্লায় চলছে সপ্তাহব্যাপী চারুকলা প্রদর্শনী
কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির সুপরিসর চার দেয়ালে ঝুলছে বৈচিত্র্যময় নানা ছবি। জলরং থেকে শুরু করে তেলরং কিংবা মিশ্র মাধ্যমসহ নানা করণকৌশলের আশ্রয়ে সৃজিত হয়েছে চিত্রকর্মগুলো। এর মাঝে আবার বিশেষভাবে নজর কেড়ে নেয়, পেন্সিল স্কেচ, মোমের রং, এচিং বা ড্রাই পয়েন্টে আঁকা ছাপচিত্রগুলো।
নারীদের বৈষম্য, নারী অধিকার, গ্রামীণ সমাজচিত্র ছবিগুলোর সঙ্গে পৃথক সৌন্দর্য নিয়ে উপস্থাপিত হয়েছে সিরামিক, সিমেন্ট, পাথর বা কাঠ খোদাইকৃত ভাস্কর্যগুলোও। এখানেই শেষ নয়, এই শিল্পযজ্ঞে ঠাঁই করে নিয়েছে কুমিল্লার স্থানীয় রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিদের ছবিও।
গত শুক্রবার (১৮ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া কুমিল্লা চারুকলা প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৫ র্মাচ শুক্রবার পর্যন্ত। এসব চিত্র দেখতে প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভিড় জামাচ্ছেন দশনার্থীরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমি এবং পথিকৃৎ কুমিল্লা চারুশিল্পী পরিষদের যৌথ আয়োজনে চারুকলা প্রদর্শনীতে ৭১ জন নবীন-প্রবীণ শিল্পীদের দুই শতাধিক চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
নবীণ চিত্রশিল্পী সায়মা ইসলাম বলেন, 'আমি এ বছর প্রথম চারটি চিত্র প্রদর্শনী করেছি। দশনার্থীরা প্রতিদিন আমাদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। খুবই ভালো লাগছে চারুকলা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করতে পেরে। আমার শিল্পকর্মগুলো গ্রামীণ সমাজের নারীদের বৈষম্যের চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।'
প্রবীণ চিত্রশিল্পী মুজিবুর রহমান রিপন বলেন, 'নবীনরা বুদ্ধিদীপ্ত ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতার পরিপূর্ণ ব্যবহার করছে। ভাবনার জগতেও প্রবীণদের মতোই সমানতালে কাজ করছে নবীণরা। নবীণদের উৎসাহ করতে চারুকলা প্রদর্শনী করছি প্রতিবছর। জেলায় একটি আর্ট গ্যালারি থাকলে কুমিল্লায় চিত্রশিল্পীদের বিকাশ ঘটত।
কুমিল্লা জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ মুহম্মদ আয়াজ মাবুদ বলেন, শিল্পকর্মের মাধ্যমে মানুষের মন ও ভাবনার আত্মপ্রকাশ পায়। আমাদের বৃহত্তর কুমিল্লাকে তুলে ধরা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে। শুধু কুমিল্লা নয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি সম্পন্ন কৃতি সন্তানরা তাদের শিল্পকর্ম দিয়ে প্রদর্শনীতে অংশ নিয়ে যাচ্ছেন, এটা আমাদের বড় পাওয়া।
টিটি/