বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আরব আমিরাতের মরুভূমিতে উৎপাদিত হচ্ছে কৃত্রিম হীরা

ছবি সংগৃহিত

দুবাই মাল্টি কমোডিটি সেন্টারের সিইও ও নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, “আরব আমিরাতের একটি শীর্ষ হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবসার পাশাপাশি বৈচিত্র্য আনতে ল্যাবে-উত্পাদিত হীরা শিল্পে প্রসারিত করা অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।”

পৃথিবীর দুর্লভ ধাতুগুলোর মধ্যে অন্যতম হীরা। হাজারো বছর ধরে হীরার সন্ধানে মানুষ পৃথিবীর গভীরে খনন করেছে। এই খনন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ের ওপরই ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে।

হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ হীরার সন্ধানে পৃথিবীর গভীরে খনন করেছে। যার ফলশ্রুতিতে রাশিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবসৃষ্ট গর্তের তৈরি হয়েছে। গভীরতার দিক থেকে যা ৬২৫ মিটার কিংবা ২,০৫০ ফুট।

হীরা খুঁজতে গিয়ে খনন প্রক্রিয়ায় প্রকৃতি ও মানুষ উভয়ের প্রতিই ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ছে। এই কাজটি একদিকে যেমন বিপজ্জনক; অন্যদিকে এটি বাস্তুতন্ত্রের ক্ষতি করছে।

কিন্তু হীরার চাহিদা মেটাতে খননই একমাত্র সমাধান নয়। বরং পাশাপাশি ভিন্ন উপায়ও রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল জেম সোসাইটি তথ্যমতে, ১৯৫০-এর দশকে প্রথম ল্যাবে হীরা উৎপাদন করা হয়েছিল।

সময়ের সাথে সাথে ল্যাবে তৈরি হীরার প্রযুক্তিটি বিকাশ লাভ করেছে। বর্তমানে ল্যাবগুলি প্রায় ৮০ ভাগ সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের হীরা তৈরি করছে। এতে খনন কিংবা নেতিবাচক প্রভাবের মতো জটিলতা নেই।

কৃত্রিমভাবে হীরা উৎপাদনের সুবিধা হচ্ছে এটি যেকোনো অঞ্চলেই করা যেতে পারে। এমনকি মরুভূমির মতো জায়গায়ও তা করা সম্ভব।

সংযুক্ত আরব আমিরাত হীরা আমদানি ও রপ্তানিতে প্রথমসারির দেশগুলোর মধ্যে একটি। তবে আপাতত সেখানে হীরার কোনো প্রাকৃতিক খনি নেই। তাই দেশটির উদ্যোক্তা মোহাম্মদ সাবেগ শুধু হীরার ব্যবসাই নয়, বরং এটিকে উৎপাদন করার সম্ভাবনাও দেখেছেন।

তারই ধারাবাহিকতায় সাবেগ ২০২২ সালে দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ২ডিওটি৪ ডায়মন্ডস প্রতিষ্ঠা করেন। এটিই আরব আমিরাতের প্রথম কোম্পানি যেটি ল্যাবে উৎপাদিত হীরা তৈরি, কাটা এবং পালিশের কাজ করে থাকে।

এ সম্পর্কে সাবেগ বলেন, "আমাদের ধারণা ছিল হীরাকে বরং ভোক্তাদের কাছে সহজলভ্য করা। এক্ষেত্রে সারা বিশ্ব থেকে হীরা নিয়ে আসার পরিবর্তে বরং স্থানীয়ভাবে তা উত্পাদন ও বিক্রি করা।"

ডায়মন্ড তৈরি

কৃত্রিমভাবে ডায়মন্ড তৈরি বিষয়টিও বেশ জটিল। এ সম্পর্কে সাবেগ বলেন, "প্রাকৃতিক ডায়মণ্ডের সাথে এর মূল পার্থক্য হচ্ছে আমরা চাপ, তাপ ও গ্যাস নিজেরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকি। কিন্তু খনির হীরায় তার প্রয়োজন হয় না। বরং তা প্রাকৃতিকভাবেই হয়ে থাকে।"

সাবেগ জানান, একটি ডায়মন্ড উৎপাদন করতে আরেকটি ডায়মন্ডের দরকার হয়। সেটা ল্যাবে উৎপাদিত কিংবা প্রাকৃতিক একটা হলেই চলে। এটিকে বলা হয়ে থাকে সীড; যা সাধারণত প্রায় ০.৩ থেকে ০.৬ মিলিমিটার পুরু হয়ে থাকে।

সীডটিকে মূলত একটি চুল্লির ভেতরে রাখা হয়। পরবর্তীতে এটিকে হাইড্রোজেন, মিথেন, অক্সিজেন ও আর্গনের মতো গ্যাসের সংস্পর্শে আনা হয়। এটিকে ১৮০ টর পর্যন্ত চাপ দেওয়া হয়; যা মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায় চাপের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ। একইসাথে ১ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় নিয়ে যাওয়া হয়। এইভাবে ধীরে ধীরে পাতলা স্লাইসে কার্বন জমা হয়। এরপর এটি আয়তনে যেন আরও বাড়ে সেটির জন্য অপেক্ষা করা হয়।

সাবেগ বলেন, "বিভিন্ন প্যারামিটারের ওপর ভিত্তি করে ডায়মন্ডের উৎপাদনের সময় ঠিক করা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদনে গতি যত কম হবে মান তত বৃদ্ধি পাবে।"

২ডিওটি৪ কোম্পানিটি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ০.০১ মিলিমিটার গতিতে হীরা উৎপাদন করে। অর্থাৎ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় খণ্ডটি দুটি কাগজের শিটের পুরুত্বের সমপরিমাণ দৈর্ঘ্যে বৃদ্ধি পায়।

এক্ষেত্রে হীরাটির উচ্চতা কমপক্ষে পাঁচ মিলিমিটার হয়ে গেলে টুকরোটিকে 'ব্লক' বলা হয়। তখন তিনটি কাজ করা যেতে পারে। এক, এটিকে সীড তৈরির জন্য আরও কাটা যেতে পারে; যা থেকে চুল্লিতে আরও হীরা উৎপাদন করা যাবে।

দুই, চাহিদার উপর ভিত্তি করে রত্নটি কেটে পালিশ করা যেতে পারে। এটি তখন হয় জুয়েলার্স ও ডিজাইনারদের কাছে বিক্রি করা যেতে পারে। তিন, ডায়মন্ডটিকে ঘরে ডিজাইন করা একটি গহনার টুকরোয় পরিণত করা যেতে পারে।

হীরা শিল্পের বিশ্লেষক ও পরামর্শদাতা মার্কিনি পল জিমনিস্কির মতে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারত ল্যাবে তৈরি হীরা উৎপাদনে সবচেয়ে আধিপত্য বিস্তার করছে। এক্ষেত্রে চীন ও ভারত বিশ্বব্যাপী হীরা উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশ বাজার দখল করে রেখেছে।

গহনা ছাড়াও ল্যাবে উৎপাদিত হীরা একাধিক শিল্পে ব্যবহার করা হয়। বিশেষত কংক্রিট ও মার্বেলের মতো ঘন উপাদানগুলিকে কেটে সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা হয়।

জিমিনিস্কি বলেন, "চীনের কয়েক দশক ধরেই শিল্পে বস্তু থেকে কিছু ঘষে তুলে ফেলতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদন করা হয়। পাশাপাশি গয়নায় ব্যবহারের জন্যও দেশটিতে কৃত্রিম হীরা উৎপাদনের পরিকাঠামো আছে।"

অন্যদিকে ভারত হীরা কাটা ও পালিশ করার ক্ষেত্রে বেশ সাফল্য দেখিয়ে চলছে। এমনকি বৈশ্বিক বাজার দখল করতে দেশটি ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তিও ব্যবহার করছে। গত বছর দেশটির এই শিল্পে কর সংক্রান্ত সংস্কার হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম হীরা শিল্পকে আরও প্রসারিত করতে অতিরিক্ত তহবিলের আহ্বান জানিয়েছে।

দুবাই মাল্টি কমোডিটি সেন্টারের সিইও ও নির্বাহী চেয়ারম্যান আহমেদ বিন সুলায়েম বলেন, "আরব আমিরাতের একটি শীর্ষ হীরা ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে পরিচিত। এক্ষেত্রে তেলের ব্যবসার পাশাপাশি বৈচিত্র্য আনতে ল্যাবে-উত্পাদিত হীরা শিল্প প্রসারিত করা অর্থনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে।"

বিন সুলায়েম বলেন, "ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড প্রযুক্তি ও বাণিজ্যের সাথে সংযোগের প্রতীক। এটির বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা এই রূপান্তরের যুগে দুবাইকে একটি অগ্রগামী শক্তি হিসাবে দেখতে উচ্ছ্বসিত।"

বিল সুলায়েম আরও বলেন, "ষাট বছর আগে কাউকে ল্যাবে উৎপাদিত হীরার কথা বললে তারা আপনার দিকে ফিরেও তাকাতেন না। কিন্তু বর্তমানে তরুণ প্রজন্ম খনির সাথে যুক্ত নৈতিক ও পরিবেশগত সমস্যাগুলির বিষয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে বিলাসবহুল পণ্যের ক্রয়ক্ষমতার দিকে মানুষ ক্রমেই আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই এই শিল্পকে মানিয়ে নিতে হবে।"

তবে জিমনিস্কির মতে, ল্যাবে উৎপাদিত ডায়মন্ড শিল্পে নিজেদের অবস্থান তৈরি করা আরব আমিরাতের জন্য খুব একটা সহজ হবে না। কেননা দেশটিকে এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।"

উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের অন্যান্য কোম্পানি ২ডিওটি৪ এর দেখানো পথই অনুসরণ করছে। যার মধ্যে এইচআরএ গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত ইভিকিউএ ডায়মন্ডস অন্যতম; যা এইচআরএ গ্রুপের একটি অংশ। কোম্পানিটি মাত্র কয়েক মাস আগে আমিরাতে নিজেদের ল্যাব স্থাপন করেছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় ব্র্যান্ড ইটিকা ও ইয়াইনি শুধু ল্যাবে তৈরি ডায়মন্ড ব্যবহার করে তাদের ডিজাইন বাজারজাত করছে।

বিন সুলায়েম বলেন, "ল্যাবে উৎপাদিত হীরা শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি যে, হীরা বিক্রি করে আপনার সময় নষ্ট করবেন না। বরং চূড়ান্ত শিল্পের দিকে মনোনিবেশ করুন।"

তবে সাবেগের জন্য আশার বিষয় হল, ২ডিওটি৪ এমন একটি দেশে ল্যাবে তৈরি হীরা উৎপাদনের যাত্রা শুরু করেছে যেটি বর্তমানে বিশ্বের অন্য যেকোনো স্থানের চেয়ে বেশি হীরা আমদানি করে। এ সম্পর্কে তিনি বলেন, "এখন আমাদের উচিত হবে শিল্পটিতে একটি মান নির্ধারণ করা।"

Header Ad

কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ শতাধিক

পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় ভারী বর্ষণ ও বন্যায় ১৬৯ জন নিহত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় আরও ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আফ্রিকার এই দেশটিতে তাদের মৃত্যু হয়। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়াও এখনও নিখোঁজ রয়েছে শতাধিক মানুষ।

কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বুধবার (১ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে মঙ্গলবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এতে করে গত ১ মার্চ থেকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৬৯ জনে। এছাড়া দেশটিতে এখনও ৯১ জন নিখোঁজ রয়েছেন।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার কাদা ধসের ঘটনায় বেশ কয়েকটি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এতে করে মৃতের সংখ্যা ১৬৯ জনে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারা দেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি এবং এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ছয়জন শিশু রয়েছে।’

তিনি আরও বলেছেন, ‘বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’

এদিকে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসাবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সমস্ত বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা কাদা ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

মূলত ভারী বৃষ্টিপাত এবং নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো মারাত্মক বন্যা মোকাবিলায় মঙ্গলবার বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করেন। এদিকে মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনের চেয়ারপারসন মুসা ফাকি মাহামত দেশজুড়ে বিপর্যয়কর বন্যার ধ্বংসযজ্ঞের পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং কেনিয়ার জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা ও সংহতি প্রকাশ করেছেন।

এর আগে কেনিয়ার নাকুরু কাউন্টিতে গত সোমবার একটি বাঁধ ফেটে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়। রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার (৩৭ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত নাকুরু কাউন্টির মাই মাহিউতে ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ২

টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ধনবা‌ড়ীতে ট্রাক-অটো‌রিকশার সংঘ‌র্ষে নারীসহ দুইজন নিহত হ‌য়ে‌ছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

নিহতরা হ‌লেন- উপ‌জেলার খিলপাড়া গ্রামের মৃত দে‌লোয়ার হো‌সে‌নের ছে‌লে ও অটোরিকশা চালক বাবুল হো‌সেন (৪৫) এবং ব‌লিভদ্র গ্রামের আজিজুর রহমা‌নের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩১)। তিনি অটো‌রিকশার যাত্রী। আহতের নাম স্বপন মিয়া (২০)।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে উপ‌জেলার জামতলী পাথা‌লিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘ‌টে।

এ ঘটনায় ধনবাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) ইদ্রিস মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আইনি প্রক্রিয়া শে‌ষে নিহ‌তদের মরদেহ তা‌দের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হ‌বে।

শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। ছবি: সংগৃহীত

শিল্প ও শ্রমবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমিকের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বুধবার (১ মে) ‘মহান মে দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের শ্রমজীবী-কর্মজীবী মেহনতি মানুষের ঐক্য, সংহতি, সংগ্রাম ও বিজয়ের দিন মহান মে দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। ‘মহান মে দিবস- ২০২৪’ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে শ্রমিকের পেশাগত নিরাপত্তা ও সুস্থতা, শ্রমিক-মালিক সুসম্পর্ক, উন্নত কর্মপরিবেশসহ শ্রমিকের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণের কোনো বিকল্প নেই। মহান মে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক মালিক গড়বো দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ’ যথাযথ ও সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ে সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পরেই মে দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে দিনটিতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিতকল্পে তিনি মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামোর ঘোষণা দেন। ১৯৭২ সালে জাতির পিতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং আইএলও’র ৬টি কোর কনভেনশনসহ ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করে, শ্রমজীবী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার রক্ষায় যা ছিল এক অনন্য মাইলফলক।

বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি জাতির অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখতেন উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, তার সেই স্বপ্নপূরণের অন্যতম অনুষঙ্গ শ্রমজীবী মানুষের উন্নয়নে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শ্রমিক-মালিক সম্প্রীতি ও যৌথ প্রয়াস দেশের উন্নয়নকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, ‘টেকসই শিল্প ও বাণিজ্য খাত গড়তে বিনিয়োগ-বান্ধব পরিবেশ, শ্রমিকের একাগ্রতা এবং শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমজীবী মানুষের অধিকার, স্বার্থ ও কল্যাণের সঙ্গে মহান মে দিবসের অন্তর্নিহিত তাৎপর্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাদের জীবনমান উন্নয়ন এবং ন্যায্য অধিকার রক্ষায় সবাই স্ব স্ব ক্ষেত্রে ঐকান্তিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এ প্রত্যাশা করি।’

সবশেষে মহান মে দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।

সর্বশেষ সংবাদ

কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় নিহত বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ শতাধিক
টাঙ্গাইলে ট্রাক-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নারীসহ নিহত ২
শ্রমিকের কল্যাণে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে সরকার: রাষ্ট্রপতি
‘আমার জীবনটা এখানেই থেমে গেলো’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ: ভিনিসিয়ুসের জোড়া গোলে বায়ার্নকে রুখে দিলো রিয়াল
মহান মে দিবস: শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের দিন আজ
মহাদেবপুরে খাদ্যগুদামের ২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ফিলিপাইনে গরমে জেগে উঠল ৩০০ বছর আগে ডুবে যাওয়া শহর
দাম বাড়ল জ্বালানি তেলের
সুন্দরবনের খালে ভাসছে মরা বাঘ
তিন ইসলামি ব্যাংকের ‘ঋণ কেলেঙ্কারি’ তদন্তের নির্দেশ বাতিল
টাঙ্গাইলে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, হিট স্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু
অতি বাম-অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী
রাত ৮টার পর দোকান খোলা রাখলে বিদ্যুৎ সংযোগ কাটা হবে: মেয়র তাপস
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি
বড় চমক রেখে ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে শিক্ষামন্ত্রীর সুপারিশ
নেটদুনিয়ায় ঝড় তুলেছে ‘লাপাতা লেডিস’-এর ফুল
গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ, ৭০ শতাংশই ফেল
মুন্সীগঞ্জে হিট স্ট্রোকে ২ জনের মৃত্যু, অসুস্থ ৪