বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাক্ষাৎকার

প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে চান সাঈদ

ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ কেন্দ্র পল্টন ময়দান। এক সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম নিয়ে যখন ফুটবল ও ক্রিকেটের মধ্যে কাড়াকাড়ি চলেছে, তখন মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম এককভাবে হকির জন্য বরাদ্দ। কিন্তু এ রকম একটি স্টেডিয়াম পেয়েও হকিতে প্রাণচাঞ্চল্য নিয়ে আসা সম্ভব হয়নি। লিগ হয়ে পড়ে অনিয়মিত। অনেক বিলম্বে সেখানে ফিরে আসে প্রাণচাঞ্চল্য। আর এটি সম্ভব হয়েছে ২০১৯ সালে হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মুমিনুল হক সাঈদ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসার পর। কিন্তু মাঝে তিনি বেশ কিছু দিন সময় দিতে না পারায় আবার ঝিমিয়ে পড়েছিল। এরই মাঝে তিনি বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি আবার ফিরে আসাতে, ফিরে আসতে শুরু করেছে হকির সেই প্রাণচাঞ্চল্য।

হকিতে আবার ফিরে আসার পর অনূর্ধ্ব-১৯ হকি দল বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলতে যাওয়ার আগে ভারত পাঠিয়ে অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করেছেন। মেয়েদের হকি লিগ শুরু করতে যাচ্ছেন সহসাই। দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাবগুলকে নিজেরে পকেটের টাকা দিয়ে লিগ খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশে তৈরি করতে চান স্মার্ট হকি খেলোয়াড়। সামনে আবার হকি ফেডারেশনের নির্বাচন। হকি সংশ্লিষ্ট অধিকাংশই চান তিনি যেন আবার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে আসেন। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি হকির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসাতে হকিতে আবার প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। কীভাবে দেখছেন বিষয়টিকে?

সাঈদ: একজন সংগঠকের দক্ষতা তার সংগঠনিক পরিচয় বহন করে। আমি একজন সংগঠক হিসেবে শুধু হকি নয়, বেশ কিছু ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত আছি। আমি যেখানে যখন যে দায়িত্ব পেয়েছি, চেষ্টা করেছি আমার মেধা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে সেটিকে উজ্জীবিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। আমি মনে করি এটি আমার দক্ষতা। আজকের এই প্রাণপাঞ্চল্য বলেন আর উৎসাহ-উদ্দীপনা বলেন আমি আমার সংগঠনিত অভিজ্ঞতা-দক্ষতা থেকে এটি করতে পেরেছি বলে মনে করি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি যখন প্রথম নির্বাচিত হয়ে হকি ফেডারেশনে আসেন, তখনো দেখা গিয়েছিল একই রকম প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। তাহলে এটা কি বলা যায় হকি আপনার উপর বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে?

সাঈদ: আমি দায়িত্ব পাওয়ার পর হকিতে নতুন উদ্যোমে, নতুন করে যে কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখনো আছে।সামনের দিনেও এই বিষয়গুলো অব্যাহত থাকবে। আমি এসে ফিজিক্যালি চেষ্টা করছি। ক্লাবগুলোর যে দাবি দাওয়ার বিষয় ছিল, জেলা-বিভাগের যে দাবি দাওয়ার বিষয়গুলো ছিল, তারা আশা করে থাকে তা পূরণের। আমি অবস্থান বিশ্লেষন করেই সেগুলো শুনেছি,পর্যলোচনা করেছি। তাদের আশ্বস্ত করেছি। কিন্তু আবার জাগরণে মতোই হকি মাঠে গড়াচ্ছে।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি না থাকার সময় হকি আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল। এই সমস্যা এখন কি কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন?

সাঈদ: আসলে এটিকে অস্বীকার করার উপায় নেই ‘মানি ইজ সেকেন্ড গড’ কিংবা আমি-আপনি কেউ এটি বাদ দিয়ে চলতে পারব? পৃথিবীতে অর্থটাকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেওয়া হয়। এখানে ফিন্যান্সিয়াল বিষয়টা আপনাকে দেখতে হবে। ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে চেয়ার দখল করে বসে থাকলেতো চলবে না। আপনাকে পকেটের অর্থ খরচ করতে হবে। কোথাও যাতে কোনো কিছু আটকে না থাকে, সে চেষ্টা করতে হবে।

আসলে গার্জেনের উপর সব কিছু ডিপেন্ড করে। করোনাকালীণ সময়ে আমার ব্যক্তিগত কিছু সমস্যার কারণে, আমার শারীরিক অসুস্থার কারণে, ফ্যামিলের মেম্বারদের অসুস্থার কারণে মাঝখানে বেশ কিছুদিন আমি সময় দিতে পারিনি। সে সময় আসলে অভিভাবক না থাকার কারণ, অর্থ না থাকার কারণে সব কিছু মন্থর গতিতে এগোচ্ছিল। আমি এসে যতটুকু পেরেছি, সেখান থেকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ হকি লিগ শেষ হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এই সব ক্লাবগুলোকে আপনি ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে মাঠে নামানোর ব্যবস্থা করেছেন?

সাঈদ: ক্লাবগুলোর অর্থনৈতিক যে সমস্যা আছে তা আমি আন্তরিকতা দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করেছি। আমাদের দুভার্গ্য যে বর্তমান অর্থনীতি বিশ্লেষণ করলে লোকজন ডোনেট করত। এখন আর ক্লাবগুলোকে কেউ ডোনেশন করতে চায় না। জেলাগুলোতে কিছু বরাদ্দ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে থাকলেও ক্লাবগুলো জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এ জন্য অনেক ক্লাব প্রতিকুল অবস্থায় রয়েছে। সেজন্য ক্লাবগুলোর কিছু দাবি-দাওয়া থাকে। কিছু সমস্যা থাকে। আমি আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধুদের, আমার কমিটির সদস্যদের সাহায্য নিয়ে সেসব সমস্যা পূরণ করে হকিকে মাঠে রাখার জন্য।

ঢাকাপ্রকাশ: প্রিমিয়ার লিগ নিয়মিত হচ্ছে না। এটা নিয়মিত করার উদ্যোগ নেবেন কি?

সাঈদ: প্রিমিয়ার লিগ আমার সর্বোচ্চ আসর। কিন্তু আমি যদি তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তৈরি না করি, আমি যদি পাইওনিয়ার লিগ না করে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগ লিগ না করে, শুধু প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে বসে থাকি, তাহলে জাতীয়ভাবে কোনোকিছু হবে না। আপনি যদি জাতীয় দলের খেলোযাড়দের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, পাইপ লাইনে খেলোয়াড় না থাকে. তাহলে তারা আপনার উপর চেপে বসবে। তারা যা বলবে তাই হবে। আপনাকে সবদিক নিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে দেশের হকি এগিয়ে যাবে। এটি ঠিক প্রিমিয়ার লিগ সর্বোচ্চ। দেখা যাচ্ছে একটা বছর প্রিমিয়ার লিগ হয়েছে, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ লিগ হলো না। আপনি যদি ফুল লিগ শেষ করতে না পারেন, পরের লিগটা শুরু করতে পারছেন না। করোনার সময় আমাদের একটা গ্যাপ পড়ে গিয়েছিল। এই কারণে নিয়মিত হয়নি। আমি আস্বস্থ করতে পারি। নেক্সট ইয়ার থেকে প্রিমিয়ার লিগ প্রতি বছরই অনুষ্ঠিত হবে। ইয়ারলি যে ক্যালেন্ডার করেছি। সে অনুযায়ী হকিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই মেয়েদের হকিতে প্রাণচাঞ্চল দেখা গিয়েছিল। আপনার অনুপস্থিতকালীন তা আবার ঝিমিয়ে পড়ে। মেয়েদের হকিটা আসলে এখন কী পর্যায়ে আছে?

সাঈদ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে আমার হাত ধরেই মেয়েরা আর্ন্তজাতিক হকিতে প্রথম অংশগ্রহণ করে। মেয়েদের ফেডারেশনে রেখে, ভারত থেকে কোচ এনে, দীর্ঘদিন অনুশীলন করিয়ে, এমনকি ভারত থেকে দল এনে অনুশীলন ম্যাচ খেলিয়ে মেয়েদের নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি প্রথম টুর্নামেন্টেই আমরা একটি ম্যাচে জয়লাভ করেছিলাম। আমাদের কিন্তু প্রাপ্তি ছিল। আমরা শূন্য হাতে ফিরে আসিনি। আমার প্রচেষ্টার কারণেই কিন্তু বিকেএসপিতে মেয়েদের যুক্ত করেছে। ইতিমধ্যে আমি মহিলা লিগ নিয়ে আলোচনা করেছি। অচিরেই ২/১ মাসের মাঝে মহিলা লিগ শুরু হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রিমিয়ারের টপ পাঁচটি ক্লাবকে নিয়ে এই লিগ শুরু করব। এতে করে মেয়েদের অর্থনৈতিকভাবে সলভেন্ট হবে। প্রতি বছর লিগ হলে আমরা আর্ন্তজাতিক টূর্নামেন্টের জন্য আমাদের দলও গঠন করতে পারব। কিন্তু একট টূর্নামেন্ট করলাম। টুর্নামেন্ট শেষে তারা আবার চলে গেল তাতে লাভ হবে না। ক্লাবকে অ্যাক্টিভ করতে হবে, জেলাগুলোকে অ্যাক্টিভ করতে হবে। আমি যতদিন আছি, ইনশাল্লাহ চেষ্টা করব এই ইভেন্টটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।

ঢাকাপ্রকাশ: দেখা যায় যখনই নির্বাচন আসে, জেলাগুলো থেকে নিয়মিত কাউন্সিলার আসে। কিন্তু অনেক জেলাতেই নিয়মিত লিগই হয় না?

সাঈদ: একজন সংগঠক হিসেবে আমি চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছি। দেখুন হকি কিন্তু সাধারণ কোনো খেলা না। অনেক ব্যয়বহুল, আপানাকে মানতেই হবে। একটা ফুটবল দিয়ে ২২ জন খেলতে পারে। আপনি যদি ক্রিকেটের কথা চিন্তা করেন, সেখানেও কিন্তু এক সেট দিয়ে খেলা সম্ভব। কিন্তু হকিতে ২২ জনের জন্য ২২টা স্টিক লাগে।

গোলরক্ষকের গিয়ার্সের দাম লক্ষাধিক টাকার উপরে। চাইলেই প্রতি জেলা আয়োজন করতে পারে না। এ ছাড়া, সমান মাঠও লাগে। হকিটা ব্যয়বহুল হয়ে যাওয়ার কারণে জেলাগুলো নিয়মিত আয়োজন করতে পারে না। তারপরও আমার চেষ্টা আছে। আমি মাননীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছি। আমাদের যে ক্রীড়া বান্ধব প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট খেলোয়াড় তৈরি করার জন‌ যে ভিশন নিয়ে তিনি কাজ করছেন, আমার মনে হয় আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নকে স্বার্থক করতে পারব। স্মার্ট বাংলাদেশে স্মার্ট হকি খেলোয়াড় তৈরি করতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিত কালীন সময়ে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের কার্যক্রমকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন।

সাঈদ: আমার ব্যক্তিগতভাবে দেখার কিছু নেই। কারও জন্য কিন্তু কোনো কাজ থেমে থাকবে না। কাজ চলবে। ওই সময়টা সুন্দরভাবে ফেডারেশন চলেছে। আমার সঙ্গে সব সময়ই যোগাযোগ ছিল। ফিজিক্যালি উপস্থিত হতে না পারলেও যে সকল পেপার্সে আমার সিগনেচারের প্রয়োজন ছিল, কিংবা যে বিষয়ে সিদ্ধান্তের প্রয়োজন ছিল আমি অনলাইনে সেগুলো করেছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার অনুপস্থিতিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ হয়েছে। ফ্যাঞ্চাইজি লিগকে আপনি হকির এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কতটা সুফল বগে আনবে?

সাঈদ: আমরা সবাই সুন্দরের পূজারি। চাকচিক্যকে আমরা সবাই ভালোবাসি। বাংলাদেশে আমরাই দ্বিতীয় ফেডারেশন যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ করতে পেরেছি। বর্তমান অবস্থাকে বিশ্লেষণ করে, আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চলমান রাখার সর্বাত্নক সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং এটা চলমান থাকবে বলে আমি আশা করি।

ঢাকাপ্রকাশ: ফুটবল ও ক্রিকেটে আমরা দেখে থাকি যে তাদের মাদার সংগঠন ফিফা-আইসিসি বেশ ভালো পরিমান টাকা দিয়ে সহায়তা করে থাকে। এ ক্ষেত্রে হকি তাদের মাদার সংগঠনের কাছ থেকে কি পরিমান আর্থিক বা অন্যান্য সহয়তা পেয়ে থাকে।?

সাঈদ: ফিফা বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী একটি সংগঠন। তাদের অর্থনৈতিক আয়ের কথা কল্পনাও করা যায় না। ক্রিকেটের সব দেশ কিন্তু আবার ধনী না। আমরা যেহেতু আর্ন্তজাতিক টুর্নামেন্ট করতে পারি, তাই টেলিকাস্ট থেকে আয় করে আমাদের ক্রিকেট বোর্ডও কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটা অবস্থানে আছে। এটা তারা নিজেদের যোগ্যতায় পৌঁছেছে। এটা কিন্তু আইসিসি থেকে কোনো বরাদ্দ পাওয়ার মাধ্যমে পৌঁছায়নি। আমাদের যে সংস্থাগুলো রয়েছে এফআইএইচ, এএইচএফ উনারা যে কিঞ্চিৎ বাৎসরিক অনুদান দেন, তার সম্পূর্ণটাই ইন্সট্রুমেন্টে চলে যায়। তা আমরা সারা দেশের হকির বিস্তারে কাজ করি। অর্থনৈতিকভাবে আমাদের মাদার সংগঠনগুলো স্ট্রং না। সে ক্ষেত্রে এই বিষয়ে আমার বলার কিছু নেই।

ঢাকাপ্রকাশ: হকির মতো একটি ব্যয়বহুল খেলাকে এগিয়ে নিতে সরকারি সহযোগিতা কি আরও বাড়ানো প্রয়োজন?

সাঈদ: প্রত্যোক দেশের হকি সরকারের সাহায্য-সহযোগিতায়ই এগিয়ে যায়। বেশ কিছু দিন আগে উড়িষা রাজ্য সরকার ভারতে হকি ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি করেছে ৮০০ কোটি রূপির। ইমাজিং, এটা চিন্তা করা যায়, একটা স্টেট হকির উন্নয়নের জন্য এভাবে চুক্তি করেছে। প্রত্যোক দেশই সরকারের তহবিল দিয়ে এগিয়ে যায়। সেভাবেই সারা বিশ্বে হকি এগিয়ে আসছে। আমাদেরও এই ধারাবাহিকতা আছে। সামনে এটি যদি আরও বৃদ্ধি হয়, স্পন্সরের যে সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যাগুলো যদি আমরা শেষ করতে পারি, আর প্রধানমন্ত্রী আমাদের আস্বস্ত করেছেন হকি ফেডারেশনের জন্য তিনি একটা বরাদ্দ করবেন। সেটা যদি আসে, আমাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কোনো কিছু আটকে থাকবে না। আমাদেরকে আর বলতে হবে না আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। তখন আমরা প্রানবন্তভাবে হকিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব।

ঢাকাপ্রকাশ: বাংলাদেশ থেকে প্রথম সংগঠক হিসেবে এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এটা বাংলাদেশের হকির উন্নয়নে কতটা ভুমিকা রাখতে পারবে বলে মনে করেন?

সাঈদ: আমি বাংলাদেশে থেকে সর্বপ্রথম ভোটে এএইচএফের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমি এশিয়ান হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের কাউন্সিলার হিসেবে। আমি ব্যক্তি সাঈদ সেখানে নির্বাচিত হইনি। আমি বিশ্বাসও করি না ব্যক্তি সাঈদের সেখানে কোনো অবস্থান হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ হকি যে সব কাজ করেছে, সেসব বিবেচনা করেই ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। আমি আমার মেধা দিয়ে যতটুকু সম্ভব যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। আমার এখন আরও বড় পরিসরে কাজ করার সুযোগ রয়ে গেছে। আমি এএইচএফ থেকে আম্পায়ার, কোচিং, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট রয়েছে এসব সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবো। সর্বোপরি আমার দেশকে, আমার ৩০ লাখ শহীদের জাতীয় পতাকাকে সম্মানিত করার জন্য, আমার দেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করার জন্য যা যা করতে হয়, আমি সেই চেষ্টা করে যাব।

ঢাকাপ্রকাশ: অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে অনুশীলনের জন্য ভারতে পাঠাতে একে পর্যায়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। কারণ কী ছিল?

সাঈদ: ওয়ার্ল্ডকাপ কোয়ালিফাই যেহেতু আমার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট, আমি চেয়েছি ছেলেরা যাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে যেতে পারে। আপনারা জানেন যে ভারতের ভিসা পেতে এখন কতদিন সময় লাগে। কে বা কাহারা আমরা দল পাঠাবো না বলে মনগড়া খবর প্রকাশ করে। আমরা সে ব্যাপারে কোনো কিছু জানিও না। আমরা যখন আমাদের ভিসা হাতে পেয়েছি, ঈদের পরেই আমরা আমাদের দল পাঠিয়ে দিয়েছি। ৭টি ম্যাচ খেলে আমরা ৫টিতে জিতেছি। ২টিতে হেরেছি। পুরোদমে সেখানে আমাদের প্র্যাকটিস ম্যাচ হয়েছে। আমি আসলে হ্যাপি যে প্র্যাকটিস করার জন্য আমরা বাইরে দল পাঠাতে পেরেছি। যেভাবে হোক না কেন, যার হাত ধরেই হোক না কেন, আমরা যে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি, এবং আমাদের যে পরিকল্পনা ও ইচ্ছেগুলো রয়েছে সেগুলো ফোকাস করতে পারছি। আমি স্বপ্ন দেখি ওয়ার্ল্ডকাপে কোয়ালিফাই করবে এবং বাংলাদেশের যুবারা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করে দেশের মুখকে উজ্জ্বল করে তুলবে।

ঢাকাপ্রকাশ: দল পাঠানোর খরচ কি আপনি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বহন করেছেন, না স্পন্সরের মাধ্যামে?

সাঈদ: এ মুহূর্তে আমাদের হকি ফেডারেশনের সঙ্গে যে দুইট স্পন্সর ছিল তারা তাদের ব্যবসায়িক কারণে এই টুর্নামেন্টে আমাদের সাপোর্ট দিচ্ছে না। আমরা আমাদের নিজস্ব তহবিল থেকে, ব্যক্তিগত তহবিল থেকে, আমাদের কমিটির লোকজন প্রাণবন্তভাবে কাজ করেছে দলকে ভারত পাঠানো নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: হকি ফেডারশেনের নির্বাচন সামনে। আপনি কি আগামীতে আবার এই পদে দেখা যাবে?

সাঈদ: এনএসসি যখন তফসিল ঘোষণা করবে তখন সেটা পরবর্তি বিষয়। সেরকম কোনো চিন্তা-ভাবনা আমার এখন নেই। যেহেতু এখানে প্রক্রিয়ার বিষয় আছে, সেগুলো যখন সম্পন্ন হবে, ডিক্লেয়ারেশন আসবে, তখন দেখা যাবে। এ মুহূর্তে আমি টোটালি ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত আছি। দল কীভাবে সাফল্য নিয়ে আসা যায় সে প্রক্রিয়াতে আমি কাজ করছি।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি ফিরে আসার পর ক্লাব, খেলোয়াড় মোট কথা কিছু সংখ্যক বাদ দিলে ম্যাক্সিমাম খুশি হয়েছেন। সবাই চাচ্ছে আপনি যদি আগামীতেও হকি লাভবান হবে?

সাঈদ: এটা আমি বলতে পারব না তারা কি চাচ্ছে। তারা বিশ্লেষন করতে পারেন। তাদের কাছ থেকে আপনারা তথ্য নিতে পারবেন। এখন আমাকে যদি প্রশ্ন করেন সবাই আমাকে পছন্দ করে কি না? ভালো জানে কি না-এর উত্তর দেয়ার মত যোগ্যতা আমার আছে কি না আমি জানি না। আমি কাজ করে যাব। আমি বিশ্বাস করি কাজ করলে সৃষ্ট কর্তা সেই কাজের মূল্যায়ন করেন। সমাজও সেই কাজের মূল্যায়ন করে।

এমপি/এএস

Header Ad

ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

এবার ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ। মঙ্গলবার (৭ মে) নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এছাড়া গ্রিসের পার্লামেন্টের সামনে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মানুষ। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।

এদিকে গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের রাস্তায় নেমে আসেন শতশত মানুষ। দেশটির পার্লামেন্টের সামনে ইসরায়েলবিরোধী স্লোগান দেন তারা। এ সময় তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনকারীরাও পুলিশের ওপর চড়াও হন। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

অপরদিকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে নতুন করে হামলা ও মানবিক সহায়তা বন্ধের খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে প্যারিসের সাইন্স পো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় ইসরায়েলের সঙ্গে কাজ করে এমন স্থাগুলোর সঙ্গে ফ্রান্সের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান তারা।

একইদিন নেদারল্যান্ডসের আমস্টারড্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারীদের ক্যাম্প ভেঙে দেয় ডাচ পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় অর্ধশত বিক্ষোভকারীকে। এছাড়া অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে প্রায় ২০টি তাঁবু গেড়ে বসেন বিক্ষোভকারীরা। ফিলিস্তিনদের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেন তারা।

বিক্ষোভে উত্তাল স্পেনও। গাজায় হামলা বন্ধের পাশাপাশি তেল আবিবের সঙ্গে মাদ্রিদের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানান কম্পুলটেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন হয়েছে ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক এমনকি অক্সফোর্ড, ক্যামব্রিজসহ যুক্তরাজ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত ১৭ এপ্রিল ক্যাম্পাসে তাঁবু গেড়ে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এরপর দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে। এই সময়ে ইসরায়েলকে সহায়তা বন্ধের দাবি জানাতে গিয়ে আটক হয়েছেন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থী। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। তবুও দমে যাননি শিক্ষার্থীরা। পুলিশের দমন-পীড়ন, ধরপাকড় উপেক্ষা করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর মান্দায় বজ্রপাতে বাবুল হোসেন (৩৫) নামে এক ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার নুরুল্লাবাদ ইউনিয়নের চকহরিনারায়ণপুর গ্রামের মাঠে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবুল চকহরিনারায়ণপুর গ্রামের দিলবর রহমানের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চকহরিনারায়ণপুর গ্রামের মাঠে ধানকাটার কাজ করছিলেন বাবুল হোসেন। দুপুরে সাড়ে ১২টার দিকে পশ্চিম আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায়। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. বিজয় কুমার রায় বলেন, ‘হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শ্রমিক বাবুল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে।’

মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘পরিবারের কারো কোন অভিযোগ না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহত বাবুল হোসেনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি

ছবি: সংগৃহীত

শিখ নেতা হত্যাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-কানাডার দ্বন্দ্ব চরমে। বিশেষ গতকাল তিন ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করার পর এই দ্বন্দ্ব আরও চরম আকার ধারণ করে। কানাডা বেশ কয়েকমাস ধরে ভারতীয়দের ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ করেছেন। অন্যদিকে ভারত প্রকাশে কানাডাকে হুমকি দিচ্ছে। তবে কানাডা সাফ জানিয়ে দিয়েছে তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারো কথা তারা শুনবে না।

জানা যায়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এতদিন যে ভাষায় কথা বলেছে, সেই একই ভাষায় এবার কানাডাকে সতর্ক করেছে ভারত। প্রচ্ছন্ন হুমকির সুরে কানাডা সরকারকে ভারত সরকার বলেছে, সহিংসাতাকে উৎসবের অঙ্গ করা কিংবা তার মহিমা কীর্তন করা কোনো সভ্য সমাজের কাজ নয়। কানাডার মাটিতে শিখ সন্ত্রাসীদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ভারতের বক্তব্য, গণতান্ত্রিক দেশ যারা আইনের শাসনকে মর্যাদা দেয়, তারা কখনই মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে কট্টরপন্থীদের প্রশ্রয় দেয় না।

এইদিকে এই বিতর্কের সূত্রপাত, কানাডার মালটনে শিখদের নগর কীর্তনে একটি মূকনাট্যকে (ট্যাবলো) কেন্দ্র করে। সেখানে খালিস্তানপন্থীরা শোভাযাত্রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কারাগারে শৃঙ্খলে বন্দিদশার প্রতিকৃতি বানিয়ে মুকনাট্য বের করে। এতে ভারত চরম ক্ষব্ধু হয়। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখায় তারা। কিন্তু কানাডা এ ব্যাপারে নিশ্চুপ।এই ঘটনার পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল সাংবাদিকদের বলেন, কানাডা সরকারের প্রতি অনুরোধ অপরাধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিকে নিরাপদ আশ্রয় ও রাজনৈতিক মদত দেওয়া বন্ধ করা হোক।

বেশ কয়েকমাস আগে খুন হওয়া খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত তিন ভারতীয় যুবককে গতকাল গ্রেফতার করে কানাডা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ফার্স্ট ডিগ্রি হত্যার মামলা দায়ের হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, আপনারা সকলেই জানেন, আমরা বারবার আমাদের উদ্বেগের কথা কানাডা সরকারকে জানিয়েছি। আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে পুতুল বানিয়ে শোভাযাত্রা বন্ধ করা হোক। কিন্তু, সে দেশের সরকার বিচ্ছিন্নতাবাদী উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে ভারতে আততায়ীদের হাতে নিহত এক প্রধানমন্ত্রীর খুন করার দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছিল একটি মুকনাট্যে। শুধু তাই নয়, কানাডায় কাজ করা ভারতীয় দূতদের ছবি নিয়ে তারা রাস্তায় বের হয়। এতে তাদের প্রাণনাশের ভয় থাকে। তাতেও পদক্ষেপ নেয়নি কানাডা পুলিশ।

এ বছর এপ্রিলের শেষে বৈশাখী উৎসবে শিখদের জমায়েতে ভাষণ দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তার ভাষণ চলাকালেই সমাবেশ থেকে খালিস্তানপন্থী স্লোগান উঠেছিল। তার পরই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লিতে নিয়োজিত কানাডার ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানায়। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা

সর্বশেষ সংবাদ

ইউরোপে ছড়িয়ে পড়েছে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ
নওগাঁয় বজ্রপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব চরমে, পাল্টাপাল্টি হুঁশিয়ারি
জামিন পেলেন না মিল্টন সমাদ্দার
চীনের আগে ভারত সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী : হাছান মাহমুদ
গাজায় আরো এক গণকবরের সন্ধান, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার
মংডুতে তুমুল সংঘর্ষ, টেকনাফ সীমান্তে ফের আতঙ্ক
ভারতে বেড়েছে মুসলিম, কমছে হিন্দুদের সংখ্যা: রিপোর্ট
নির্বাচনে হেরে গেলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাকের খালাতো ও মামাতো ভাই
শুক্রবার টুঙ্গিপাড়ায় যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
'পুনর্জন্ম'র প্রযোজক রূহানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ তিনজনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামে বিধ্বস্ত হওয়া প্রশিক্ষণ বিমানের এক পাইলট নিহত
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের বৈঠক
২১৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১২ রানেই অলআউট
পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত
সন্ধ্যার মধ্যে ৬ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা
ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ১০০, নিখোঁজ শতাধিক
বায়ার্নকে কাঁদিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ