চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহিরুল ইসলাম। ছবিঃ ঢাকাপ্রকাশ
হ্যাক হয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহিরুল ইসলামের ০১৭১৫ ০৪৯৭২৫ অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরটি।
এই নম্বর থেকে আজ মঙ্গলবার ( ৭ জানুয়ারি) সকাল ১০ টা ৫৮ মিনিটে হোয়াইটস আ্যাপে ম্যাসেজ আসে- আর্জেন্ট 15 হাজার টাকা লাগবে এখন এই নাম্বারে পাঠায় দিয়ে 01623692691=15,000 বিকাশ পার্সোনাল।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে এ ব্যাপারে জেলা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সবাই সতর্ক থাকার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। কেউ যেন ভুল করে কোন প্রতারকের খপ্পরে না পড়েন। কেউ যেন উল্লেখিত নম্বরে কোন টাকা না পাঠায়।
কানাডার টরেন্টোতে নিখোঁজের এক মাস পর নিধুয়া মুক্তাদির (১৯) নামের বাংলাদেশি এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্থানীয় সময় শনিবার (৪ জানুয়ারি) পোর্ট ব্রুস সৈকতের কাছে ইরি লেকের তীর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। কানাডা ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
নিধুয়া মুক্তাদির কানাডায় বাংলাদেশি লেখক ও উপস্থাপক সামিনা নাসরিন চৌধুরীর মেয়ে। তিনি মায়ের সঙ্গে স্কারবারোর ক্রিসেন্ট টাউনে থাকতেন।
মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করে অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ জানিয়েছে, পোর্ট ব্রুসের ইরি লেক থেকে পাওয়া মরদেহটি হলো ১৯ বছর বয়সি নিধুয়া মুক্তাদির, যিনি ডিসেম্বরের শুরুতে সেখানকার লন্ডন এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন।
কানাডার পুলিশ জানিয়েছে, কানাডার ফানশাওয়ে কলেজে নার্সিংয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন নিধুয়া। পোর্ট ব্রুসের ইরি লেক থেকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
পোর্ট স্ট্যানলি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে হক ক্লিফ রোড থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। ডুবুরি ও ড্রোনের সাহায্য তাকে খোঁজার চেষ্টা করে পুলিশ। শনিবার ওয়ানেটা বিচে একজন কানাডিয়ান নাগরিক নিধুয়ার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। মঙ্গলবার অন্টারিও প্রাদেশিক পুলিশ মরদেহ উদ্ধার।
নিধুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় সেখানকার আশেপাশের পরিস্থিতির তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ বলেছে, নিহতের শরীরে অস্বাভাবিক কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর কারণ তদন্ত করা হচ্ছে।
উগ্র আচরণের কারণে রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করেছে রয়্যাল স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন (আরএফইএফ)। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে গত শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে ভিনিসিয়ুস ৭৯ মিনিটে লাল কার্ড পান। ম্যাচের ওই পর্যায়ে গোলকিপার স্টোল দিমিন্ত্রিভস্কিকে ঘাড়ে ধাক্কা দেওয়ার জন্য তাকে রেফারি সোজা লাল কার্ড দেখান। এরপর রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রতিক্রিয়া জানান ব্রাজিলিয়ান এই তারকা, যার জন্য তাকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
ভিনিসিয়ুসকে লাল কার্ড দেখানোর পর রিয়াল ১০ জনের দলে পরিণত হলেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিতে মাঠ ছাড়ে। ৮৫ মিনিটে লুকা মদ্রিচের গোলে তারা সমতায় ফিরেছিল, এবং ৯৬ মিনিটে জুড বেলিংহ্যামের দুর্দান্ত গোল রিয়ালকে ২-১ ব্যবধানে জয় উপহার দেয়।
এদিকে, রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি ম্যাচের পর বলেন, ভিনিসিয়ুসকে লাল কার্ড দেওয়া ভুল ছিল এবং তিনি রেফারির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার পরিকল্পনা করছেন। লাল কার্ড দেখার পর, ভিনিসিয়ুস রেফারির দিকে তেড়ে গেলেও সতীর্থ রুডিগার এবং গোলকিপিং কোচ লুইস লোপিস তাকে থামিয়ে দেন। পরে নিজের অপ্রত্যাশিত আচরণের জন্য ক্ষমা চান ভিনিসিয়ুস।
নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী, ভিনিসিয়ুস আগামী ১৯ ও ২৬ জানুয়ারি লাস পালমাস এবং রিয়াল ভায়োদোলিদের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তবে ১০ জানুয়ারি স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে মায়োর্কার বিপক্ষে খেলতে পারবেন তিনি।
নওগাঁয় এক হালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২ টাকায়। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
শীতের বাহারি সব সবজির ভিড়ে ফুলকপির কদর যে আলাদা, তা নিয়ে তর্ক করার লোক খুব একটা পাওয়া যাবে না। তবে সেই ফুলকপি ভালো লাভের আশায় চাষ করে এখন বিপাকে নওগাঁর কৃষকরা। ভালো ফলনেও কপাল পুড়ছে তাদের। পাইকারি প্রতি পিস ফুলকপি সর্বনিম্ন ৫০ পয়সা সর্বোচ্চ ২ টাকা করে একহালি ২ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়ক সংলগ্ন ডাক্তারের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় ভোর থেকেই কৃষকরা তাদের জমিতে চাষ করা ফুলকপি বিক্রির জন্য নিয়ে আসে। কিন্তু ফুলকপি বিক্রি করতে এসেই পড়তে হচ্ছে বিপাকে। প্রতি পিস ফুলকপির দাম পড়ছে সর্বনিম্ন আটা আনা। এরপরেও অনেকেই অপেক্ষা করে ক্রেতার দেখা পাচ্ছেন না।
কৃষকরা বলছেন, গত বছর ফুলকপির ভালো দাম পেয়েছেন তারা। সে বিষয়টি ভাবনায় রেখে এ বছরও আবাদ করেছেন তারা। তবে ফুলকপির দাম যা দাঁড়িয়েছে তাতে লাভ তো দূরে থাক আসলও উঠে আসছে না। সবজির দামে ভোক্তারা স্বস্তি পেলেও খরচের টাকা তুলতে না পেরে পথে বসতে চলেছেন তারা। মৌসুমের শুরুতে আগাম জাতীয় এ সবজির উৎপাদন কম থাকায় দাম ছিল বেশ চড়া। বর্তমানে উৎপাদনের পরিমাণ বেশি হওয়ায় বাজারে এমন ধস নেমেছে বলে মনে করছেন তারা।
ফুলকপি বিক্রি করতে আসা আকবর হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করতে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এখনই ফুলকপি ১ থেকে টাকা ২ টাকা পিস বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কপি কেনার মত মানুষ নেই। এক বিঘা জমির কপি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকাও বিক্রি হচ্ছে না। তাহলে আমরা কি করে চলবো। ধার-দেনা করে ফুলকপি চাষ করেছি সেই টাকাই তো পরিশোধ করা সম্ভব নয়।’
এনামুল হক নামে আরেক ফুলকপি বিক্রেতা বলেন, ‘এক বিঘা জমির ফুলকপি চাষ করেছি। প্রতি কপির গাছে ৬ থেকে ৮ টাকা খরচ হয়েছে। এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে আট আনা, ১ টাকা, দেড় টাকা করে। বিক্রি করে ভ্যান খরচের টাকায় উঠবে না। এমন বাজার দেখে কলিজা ফেটে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে এখনো জমিতে যে ফুলকপি আছে সেগুলো গরুকে দিয়ে খাওয়ায়।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপির আবাদ হয়েছে। যা থেকে প্রায় ৬ হাজার ২০০ টন ফুলকপি উৎপাদনের সম্ভবনা।