এবার নোয়াখালীতে খতনা করাতে গিয়ে সংকটাপন্ন শিশু নাহিয়ান
খতনা করাতে গিয়ে সংকটাপন্ন শিশু নাহিয়ান। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকায় খতনা করাতে গিয়ে দুই শিশুর মৃত্যুর রেশ কাটতে না কাটতেই একইভাবে আরেক শিশুর জীবন সংকটে পড়েছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খতনা করাতে গিয়ে শিশুর গোপনাঙ্গের মাথা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিশুর জীবন সংকটে পড়েছে।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই সংশ্লিষ্ট পালিয়েছেন।
জানা যায়, ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশুটির খতনা করাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার পরিবারের লোকজন। পরে সৌরভ হোসেন নামের এক মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট শিশুটির খতনা করে। এ সময় তিনি শিশুটির পুরুষাঙ্গের কিছু অংশ কেটে ফেললে সে চিৎকার করতে থাকে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় শিশুর স্বজনেরা উত্তেজিত হয়ে ওঠেন।
পরে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর হাসপাতালে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আবু নাছের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ সেলিমকে বিষয়টি অবহিত করলে তাত্ক্ষণিক শিশু আল-নাহিয়ান তাজবীরকে হাসপাতালের ৩য় তলার মুক্তিযোদ্ধা কেবিনে চিকিত্সার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোঃ সেলিম বলেন, এসময় জরুরী বিভাগে কর্মরত ছিলেন, উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বিজয় কুমার দে। তার অনুপস্থিতে শিক্ষানবিশ উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সৌরভ ভৌমিক তড়িঘড়ি করে খত্না করতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।
সেলিম বলেন, পুরো ব্যাপারটা সিভিল সার্জনকে জানিয়েছি। সিভিল সার্জন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেছেন।
শিশুটির পিতা আলমগীর হোসেন বলেন, তাদের জিজ্ঞেস করলাম ডাক্তার কোথায়? তারা বলে ডাক্তার লাগবে না আমরা পারব। আমার ছেলেকে তড়িঘড়ি করে খত্না করতে গিয়ে তার লিঙ্গের মাথা কেটে ফেলে। এতে রক্তে পুরো বেড ভেসে যায়। পরে আমি তাদেরকে ধরতে গেলে সৌরভ ভৌমিকসহ ৩জনই পালিয়ে যায়। পরে ডাক্তার এসে আমার ছেলেকে ৩য় তলায় ভর্তি করে। আমার ছেলের অবস্থা আশংকাজনক। আমি এদের বিচার চাই।