বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আপনাদের ভোটের কারণেই আমি এতো বড় সম্মানের জায়গায় যেতে পেরেছি। আপনাদের মাথা হেট হয় এমন কোনো কাজ আমি কখনও করিনি। অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে।

চাঁদপুর শহরের কদমতলায় মন্ত্রীর বাসভবনে জেলা সদর উপজেলার আওতাধীন মসজিদের খতীব ও ইমামদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সমাজের কাছে আপনাদের (ইমামদের) কথা গুরুত্ব বহন করে। সঠিক পথে রাখা আপনাদের দায়িত্ব। একটি চক্র বর্তমানে বইয়ের মাধ্যমে ইসলাম ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আপনাদের ভোটের কারণেই আমি এতো বড় সম্মানের জায়গায় যেতে পেরেছি। আপনাদের মাথা হেট হয় এমন কোনো কাজ আমি কখনও করিনি। অভিযোগ উঠলে তার সত্যতা যাচাই করতে হবে। মিথ্যা প্রচারে অংশ নিলে নিজের দায়িত্ব পালন করা হলো না।

ডা. দীপু মনি আলেমদের উদ্দেশ্যে বলেন, যখন সমাজের মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন বা পথপ্রদর্শন করবেন তখন সঠিক কথা বলবেন। আজ পর্যন্ত ধর্মের ক্ষতি হয় এমন কোনো কথা বা কাজ বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা করেননি।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান। এতে নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এবং আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেস।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলায় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে আফগান সংবাদমাধ্যম খামা প্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, পাকতিকা প্রদেশের বারমাল জেলার লামানসহ সাতটি গ্রামকে লক্ষ্য করে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসব বিমান হামলা চালায় পাকিস্তান। হামলায় একটি পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হন।

প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, বিমান হামলায় বারমাল জেলার মুর্গ বাজার এলাকার একটি গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া বিমান হামলার ফলে বেসামরিক মানুষ গুরুতরভাবে হতাহত হয়েছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটেছে, যা এই অঞ্চলে চলমান উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। হামলার পর উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 

এদিকে পাকতিকার বারমালে বিমান হামলার পর তালেবানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আফগান এই মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের ভূখণ্ড এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা তাদের বৈধ অধিকার। একইসঙ্গে তারা এই হামলার নিন্দা করেছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানি কর্মকর্তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত না করলেও পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটির সামরিক বাহিনীর ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা সূত্রগুলো ইঙ্গিত দিয়েছে, সীমান্তের কাছে তালেবানদের আস্তানাকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে।

আফগান ভূখণ্ডে পাকিস্তানের এই হামলার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল যখন পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিশেষ করে আফগানিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিদের উপস্থিতি নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাহাজের ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়: র‍্যাব

ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে সাত জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঘাতক আকাশ মন্ডল ইরফানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।

তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।

কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতো। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।

তিনি জানান, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ঔষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবাইকে কোপানের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান। মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলায় ইরফান তাদেরও হত্যা করে বলে জানান এই র‌্যাব কর্মকর্তা।

এর আগে গত সোমবার চাঁদপুরের মেঘনা নদীর হাইমচর উপজেলার ইশানবালা এলাকায় এমভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী একটি জাহাজ থেকে ৫ জনকে মৃত ও ৩ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

পণ্যবাহী জাহাজটি গত রোববার সকাল ৮টার দিকে চট্টগ্রামের কাফকো সার কারখানার ঘাট থেকে যাত্রা করে। এরমধ্যে কোম্পানির মালিক শিপন বাখেরা জাহাজে ফোন করে কাউকে পাননি। এতে সন্দেহ হয় মালিকপক্ষের। জাহাজের অবস্থান এবং পরিস্থিতি সম্পর্কে জেনে মেসার্স বৃষ্টি এন্টারপ্রাইজের অন্য জাহাজ মুগনি-৩ থেকে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়। ওই সময় মুগনি-৩ জাহাজটি মাওয়া থেকে ঘটনাস্থল দিয়ে অতিক্রম করার সময় বাখেরা নামক জাহাজটিকে দেখতে পায়। ওই সময় তারা জাহাজের লোকদের রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল দেন। ফোন পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জাহাজ থেকে নিহত ও আহতদের উদ্ধার করেন। তারা যখন জাহাজটিতে উঠেছিলেন, তখন ইঞ্জিন বন্ধ ছিল।

Header Ad
Header Ad

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচজন আটক

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচজন আটক। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও বিশ্লেষণ করে তাদের শনাক্ত করা হয়।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম আক্তার উজ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতভর চৌদ্দগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে আটক করা হয়। তবে প্রধান দুই অভিযুক্ত, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে টানাহেঁচড়া ও জুতার মালা পরানোর নেতৃত্ব দিয়েছিল, এখনো অধরা।

আটক ব্যক্তিরা হলেন—বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা গ্রামের ইসমাইল হোসেন মজুমদার (৪৩), মো. জামাল উদ্দিন মজুমদার (৫৮), ইলিয়াছ ভূঁইয়া (৫৮), রায়কোট গ্রামের মসজিদের ইমাম আবুল কালাম আজাদ (৪৮), এবং চাঁদপুরের মইশাদী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে ইমতিয়াজ আবদুল্লাহ সাজ্জাদ (১৯)। ইমতিয়াজ অভিযুক্ত আবুল হাশেমের ভাগনে।

ওসি আক্তার উজ জামান জানান, রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা সামনে আসার পর তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানকে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হয় এবং ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছেন, আবদুল হাইয়ের সঙ্গে প্রধান অভিযুক্ত আবুল হাশেমের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। ২০০৮ সালে স্থানীয় কুলিয়ারা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে আবদুল হাই হাশেমের বড় ভাইকে মারধর করেন, যা থেকে এই শত্রুতা শুরু হয়। ঘটনার দিন পাতড্ডা বাজার থেকে আবুল হাশেম মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাইকে ধরে কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে যান। সেখানে উপস্থিত জনতার সঙ্গে আলোচনা করে হাশেম তাকে অপমান করার সিদ্ধান্ত নেয়।

ওসি আক্তার উজ জামান জানিয়েছেন, এখনও এই ঘটনায় মামলা হয়নি। তবে তার হোয়াটসঅ্যাপে একটি এজাহার জমা দেওয়া হয়েছে। আটক অন্যদের খুঁজে বের করতে পুলিশের একাধিক দল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আফগানিস্তানে বিমান হামলা চালাল পাকিস্তান, নারী-শিশুসহ নিহত ১৫
ঘুমের ওষুধ খাইয়ে জাহাজের ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়: র‍্যাব
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় পাঁচজন আটক
ফরিদপুর মেডিকেলে চিকিৎসকের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা
চাঁদপুরে জাহাজে ৭ খুনের ঘটনায় একজন গ্রেপ্তার
আবারও চিরকুটে ভাঙন, ব্যান্ড ছাড়লেন জাহিদ নিরব
আজ শুভ বড়দিন
আন্দোলনে নামলেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা
যার যার ধর্মের শান্তির বাণী নিজের মধ্যে স্থাপন করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ, বাংলাদেশের প্রথম প্রতিপক্ষ ভারত
গণহত্যায় জড়িতদের বিএনপিতে নেওয়া হবেনা: মির্জা ফখরুল
কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পিকে হালদারসহ ৬ সহযোগী
প্রেমিকাকে বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস
পদ্মা সেতু ও নভোথিয়েটার দুর্নীতি মামলার পুনরায় তদন্ত করবে দুদক
বড় পরিবর্তন আসছে আইইএলটিএস পরীক্ষায়, ২৫ জানুয়ারি থেকে কার্যকর
বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ২৬ বাংলাদেশি
আওয়ামী লীগ এই দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে: শফিকুর রহমান
বাংলাদেশিদের জন্য চালু হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভিসা
এস আলম গ্রুপের ৬ কারখানা বন্ধ ঘোষণা, শ্রমিকদের বিক্ষোভ
বিমানবন্দরে বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক আটক