শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মধ্যরাত থেকে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা শুরু

আজ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সমুদ্রে শুরু হচ্ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরার উপর ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে এই সময়ে জেলার প্রায় ৪৯ হাজার নিবন্ধিত জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য বিভাগ।

বছরজুড়ে ইলিশের আকাল, ঘূর্ণিঝড় মোখায় এক সপ্তাহ অলস সময় পার এবং তার উপর মৎস্য বিভাগের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জেলেসহ ব্যবসায়ীরা।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সামুদ্রিক মাছের বাধাহীন প্রজনন ও সংরক্ষণে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই আইন অমান্য করে কেউ মাছ শিকার করলে বিভিন্ন অংকের জরিমানা অথবা নিয়মিত মামলার শিকার হবেন জেলেরা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, ইতিমধ্যে বৃহৎ মৎস্য বন্দর খ্যাত মহিপুরের পোতাশ্রয় শিববাড়িয়া নদীতে আশ্রয় নিয়েছে সহস্রাধিক মাছ ধরা ট্রলার। এসব ট্রলারের অনেকে তীরে ছেড়া জাল তুলছেন। কেউবা আবার বিছানা-বেডিং নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। অনেকে আবার ট্রলার মেরামতের কাজে ব্যস্ত। কেউবা আবার আড়ৎ ঘাটে লম্বা করে জাল সাজাচ্ছেন ছেড়া-ফাটা ঠিক করার জন্য। তীরে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে এসব জেলেদের অনেককে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। তবে এই বছর কাঙ্খিত ইলিশ ধরা না পড়ায় অনেকে জেলেই পেশা পরিবর্তনের চিন্তার কথা জানিয়েছেন।

মৎস্যভিত্তিক অর্থনীতির সুরক্ষায় এসব জেলেদের পেশা পরিবর্তন রোধে খাদ্য সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধিসহ আর্থিক সহায়তা প্রদানের দাবি জানিয়েছেন মৎস্য ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়াও নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে ভারতীয় জেলেদের আগ্রাসন রোধেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা।

মহিপুরের নিজশিববাড়িয়া এলাকার জেলে রহিম মুন্সী বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখার সময় ঘাটে এসেছি। পরে আর সাগরে যাইনি। গিয়েই বা কী লাভ হবে, সাগরে তেমন মাছ নাই। এই বছর বলতে গেলে ইলিশের আকাল গেছে। তাই এই অবরোধের সময়সীমা কমানোর বিষয়টি যদি সরকার একটু নজর দিত তাহলে আমরা উপকৃত হতাম।

আলীপুরের জেলে সালাম মাঝি বলেন, এই অবরোধ এখন আমাদের মরার উপর খরার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ সাগরে ইলিশ খুবই কম। ঘূর্ণিঝড় মোখায় একেবারে বসা ছিলাম। এ ছাড়া এই অবরোধকালীন সময়ে পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেরা আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকার করে নিয়ে যায়। এই বিষয়গুলো ভালোভাবে নজরদারির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে কলাপাড়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলেকে ৮৬ কেজি করে চাল প্রদান করা হবে। আশা করছি খুব শিগগিরই তারা প্রণোদনা পেয়ে যাবে। এ ছাড়া জেলেদের যে দাবি-দাওয়া আছে সেগুলো আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।

এসআইএইচ

Header Ad

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল

ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা নারী বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল। এককভাবে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন করবে দেশটি।

শুক্রবার (১৭ মে) মেয়েদের ২০২৭ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম ঘোষণা করেছে ফিফা।

থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চলমান ৭৪তম ফিফা কংগ্রেসে ভোটাভুটিতে ব্রাজিলের পক্ষে রায় দিয়েছে বেশির ভাগ দেশ। ২০২৭ বিশ্বকাপ আয়োজনের লড়াইয়ে ব্রাজিলের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও জার্মানির সমন্বয়ে গঠিত জোট বিএনজি।

আয়োজক হিসেবে ব্রাজিলের নাম চূড়ান্ত হতেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছে দেশটি। দক্ষিণ আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেল তারা। ব্রাজিলে বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। তার আশা, “সর্বকালের সেরা নারী বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে এটি।”

ভোটাভুটিতে ব্রাজিল পেয়েছে ১১৯ ভোট, বিএনজি ৭৮। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব কটি দেশ ব্রাজিলের পক্ষে ভোট দিয়েছে। অবশ্য চূড়ান্ত ভোটাভুটির আগে ব্রাজিলের দিকেই পাল্লা ভারী ছিল। ফিফা টেকনিক্যাল কমিটির মূল্যায়নে লাতিন দেশটি আয়োজক হওয়ার দৌড়ে কিছুটা এগিয়ে ছিল।

এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি এদনাল্দো রদ্রিগেস বলেছেন, “আমরা জানতাম, দক্ষিণ আমেরিকার নারী ও ফুটবলের বিজয় আমরা উদযাপন করতে পারব। দম্ভ করে বলছি না, নিশ্চিত থাকতে পারে, নারীদের জন্য সবচেয়ে সেরা বিশ্বকাপ আমরা উপহার দেব।”

১৯৯১ সালে নারী বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২৩ পর্যন্ত হয়েছে ৯টি আসর। এর মধ্যে তিনটি করে হয়েছে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকায়, এশিয়ায় দুটি, ওশেনিয়ায় ১টি। ব্রাজিল ২০১৪ সালে ছেলেদের ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। দুই বছর পর রিওতে আয়োজন করে অলিম্পিকও।

স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা

ছবি: সংগৃহীত

স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা। ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে ভারতে। মাঝে মধ্যে দু-একটি চালান ও স্বর্ণের বাহকরা আটক হলেও, ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন মূল হোতারা। অভিযোগ রয়েছে, এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যও।

সূত্র বলছে, পাচারকারীরা বিভিন্ন কৌশলে স্বর্ণ পাচার করছে। স্বর্ণের বার বহনকারীরা ব্যক্তিগত গাড়ির পরিবর্তে যাত্রীবাহী বাসে যাতায়াত করেন। দুবাই থেকে আনা স্বর্ণ ঢাকা থেকে খুলনা হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে পাচার হয় ভারতে। এক্ষেত্রে ৩ থেকে ৪ বার হাতবদল হয়। ফলে বেশিরভাগ সময়ই বহনকারীরা মূল হোতাকে দেখেনও না।

মার্চ মাসের ২০ তারিখ। ঠিক দুপুরে খুলনা নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় বাসে বাসে চলছে পুলিশের তল্লাশি। এক পর্যায়ে একটি পরিবহন থেকে আটক ব্যক্তির জুতার নিচে কৌশলে রাখা ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। ৭টি স্বর্ণের বারসহ চলতি মাসের ২ তারিখ আটক করা হয় আরেক কারবারিকে। তিনিও ঢাকা থেকে পরিবহনযোগে যাচ্ছিলেন সাতক্ষীরা। দেড় বছরে নগরীতে পুলিশ আটক করেছে এমন ৭টি চালান। উদ্ধার করা হয় ৫০টি স্বর্ণের বার।

এর আগে গত বছরের ১২ জানুয়ারি ৬টি স্বর্ণের বার ভারতে পাচারের জন্য ঢাকা থেকে পরিবহনযোগে সাতক্ষীরা যাচ্ছিলেন এক চোরাকারবারি। খুলনার সাচিবুনিয়া মোড়ে তাকে ৬টি স্বর্ণের বারসহ আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে তিনটি তাকে দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ওই পাচারকারী বিষয়টি পুলিশকে জানালে, তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করা হয়। এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপরাধ দমনে মূল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদেরও নজরদারিতে রাখা জরুরি।

এ ব্যাপারে খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. বাবুল হাওলাদার সময় সংবাদকে বলেন, ‘ঢাকার স্বর্ণ চোরাকারবারিরা এখন ভারতে স্বর্ণের বার পাচারের জন্য খুলনা রুট বেছে নিয়েছে। যে পরিমাণ স্বর্ণ পাচার হচ্ছে তার খুব কমই আটক হচ্ছে।’

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রধান তালুকদার রাসেল মাহমুদ বলেন, ‘বাহকদের শুধু আটক নয়, মূল হোতাদেরও আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা যেন প্রলোভনে ভুল পথে পা না বাড়ায় সেজন্য কাউন্সিলিং ও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।’

এ বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পাচার চক্রের সদস্যদের ধরতে সক্রিয় রয়েছে পুলিশ। এ চোরাচালানের সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা খুঁজে বের করা এবং তাদের গ্রেফতারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে বনগজ-কৃষ্ণনগর সড়কের তিতাস নদীর ওপর নির্মাণাধীন ব্রিজের কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি তাদের শাসনামলে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার-আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের দালাল হয়ে বাংলাদেশের জনগণকে শোষণ করত, অত্যাচার করত। এখন জনগণের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তা মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির সহ্য হচ্ছে না। সেজন্য তাদের মাথা খারাপ হয়েছে।’

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বোরহান উদ্দিন, উপজেলার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সামদানি ফেরদৌস, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মোমিন বাবুল, ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিকুল ইসলাম সাফিসসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় মহানগর প্রভাতি ট্রেনে করে ঢাকা থেকে আখাউড়ায় আসেন।

সর্বশেষ সংবাদ

২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশিরা মাত্র ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা!
গুগল অ্যাস্ট্রা : হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দিশেহারা ক্রেতারা
সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস
যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে দুঃসংবাদ
৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা