শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ | ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঈদুল ফিতরে করণীয় ও বর্জনীয়

ছবি: সংগৃহীত

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর উদযাপন হবে। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এটি মুসলমানদের জন্য পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে, হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির দিন। এই দিনের বেশ কিছু আদব ও সুন্নত যেমন রয়েছে, তেমনি সুন্নাহবহির্ভূত কাজকর্ম থেকে বেঁচে থাকারও প্রয়োজন রয়েছে। এখানে ঈদের দিনের করণীয় ও বর্জনীয় কাজগুলো তুলে ধরা হলো।

ঈদের দিনে করণীয়-

১. গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করা:

ঈদের নামাজের জন্য গোসল করা ও মিসওয়াক করা সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, নবী কারিম (স.) ঈদুল ফিতর ও আজহার দিন গোসল করতেন। (বুখারি: ১/১৩০)

২. উত্তম পোশাক পরিধান করা:

ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন সুন্দর ও সাধ্যের ভেতরে সবচেয়ে উত্তম পোশাক পরিধান করা সুন্নত। ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেন, নবীজি (স.) দুই ঈদের দিন সবচেয়ে সুন্দর ও উত্তম জামাটি পরিধান করতেন। তাঁর একটা বিশেষ পোশাক ছিল, যা তিনি দুই ঈদে ও জুমায় পরিধান করতেন। হাদিসে এসেছে, নবী কারিম (স.) প্রতিটি ঈদে ডোরাকাটা পোশাক পরিধান করতেন। (বায়হাকি: ৬৩৬৩)

৩. ঈদগাহে যাওয়ার আগে পানাহার করা:

আনাস (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে কিছু খেজুর খেতেন। অন্য এক বর্ণনা মতে, তিনি বিজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। (বুখারি: ৯৫৩)

৪. ঈদগাহে যাতায়াতের সময় তাকবির বলা:

ঈদগাহে যাতায়াতের সময় ঈদুল ফিতরের দিন তুলনামূলক নিম্নস্বরে তাকবির বলা এবং ঈদুল আজহার দিন উচ্চৈঃস্বরে তাকবির পাঠ করা সুন্নত। ইমাম জুহরি থেকে বর্ণিত, নবীজি (স.) ঈদুল ফিতরের দিন তাকবির পাঠ করতে করতে ঈদগাহের দিকে গমন করতেন। নামাজ পড়া পর্যন্ত এই তাকবির অব্যাহত রাখতেন। নামাজ শেষ হলে তাকবির পাঠ বন্ধ করে ফেলতেন। (সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহিহা: ১৭১)

৫. ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করা:

ঈদগাহে যাতায়াতের রাস্তা পরিবর্তন করা সুন্নত। যাওয়ার সময় এক রাস্তা দিয়ে গমন করা। আর প্রস্থানের সময় অন্য রাস্তা ব্যবহার করা সুন্নত। জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ঈদের দিন ঈদগাহে আসা-যাওয়ার রাস্তা পরিবর্তন করতেন। (বুখারি: ৯৮৬)

৬. হেঁটে ঈদগাহে যাওয়া:

কোনো ধরনের অপারগতা ও অক্ষমতা না থাকলে, হেঁটে ঈদগাহে গমন করা সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (স.) হেঁটে ঈদগাহে গমন করতেন এবং হেঁটে ঈদগাহ থেকে প্রত্যাগমন করতেন। (তিরমিজি: ১২৯৫)

৭. ঈদগাহে যেতে শিশুদের সঙ্গে নেওয়া:

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) দুই ঈদের দিন ঈদগাহে যাওয়ার সময় ফজল ইবনে আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, আব্বাস, আলী, জাফর, হাসান, হুসাইন, উসামা বিন জায়দ, জায়েদ বিন হারিসা, আইমান ইবনে উম্মু আইমান রাদিয়াল্লাহু আনহুমকে সঙ্গে নিয়ে উচ্চৈঃস্বরে তাকবির ও তাহলিল পাঠ করতে করতে বের হতেন। অতঃপর তিনি কামারদের রাস্তা দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হতেন এবং প্রত্যাবর্তনের সময় মুচিদের রাস্তা দিয়ে ঘরে আসতেন। (সুনানে কুবরা বায়হাকি: ৬৩৪৯)

৮. ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা:

ঈদের দিন একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলে শুভেচ্ছা বিনিময় করা সুন্নত। হাদিসে বর্ণিত আছে, জুবায়ের বিন নুফাইর (রা.) বলেন, নবীজি (স.) ও সাহাবায়ে কেরাম ঈদের দিন পরস্পর সাক্ষাৎ হলে বলতেন তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়ামিন কুম অর্থাৎ আল্লাহ আমার ও আপনার যাবতীয় ভালো কাজ কবুল করুক। (ফাতহুল কাদির: ২/৫১৭)

৯. ঈদের খুতবা শোনা:

ঈদের নামাজ শেষে খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা। হাদিসে এসেছে, আবদুল্লাহ বিন সায়িব (রা.) বলেন, নবীজি (স.)-এর সঙ্গে আমি ঈদগাহে উপস্থিত হলাম। এরপর তিনি আমাদের নামাজ পড়িয়েছেন। অতঃপর তিনি বলেন, আমরা নামাজ শেষ করেছি। যার ইচ্ছা সে খুতবা শোনার জন্য বসবে, আর যে চলে যেতে চায়, সে চলে যাবে। (ইবনে মাজাহ: ১০৭৩)

১০. ঈদগাহ থেকে ফিরে নফল আদায় করা:

ঈদের নামাজের আগে-পরে ঈদের নামাজের স্থানে যেকোনো ধরনের নফল নামাজ আদায় করা মাকরুহ। ঈদের নামাজের পরে ঈদগাহ থেকে বাড়ি ফিরে দুই রাকাত নফল আদায় করা সুন্নত। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) ঈদের নামাজের আগে কোনো নামাজ পড়তেন না। তবে নামাজের পর ঘরে ফিরে দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। (ইবনে মাজাহ: ১২৯৩)

ঈদের দিনে বর্জনীয়-

১. বিজাতীয় সংস্কৃতি কাম্য নয়:

ঈদুল ফিতরের মতো ধর্মীয় উৎসবগুলো মুসলমানদের জন্য নিজস্ব সংস্কৃতিতে সম্পন্ন করা বাঞ্ছনীয়। বিজাতীয় সংস্কৃতি পালন করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। কেননা এ ব্যাপারে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুল (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো কওমের (সম্প্রদায়ের) অনুসরণ-অনুকরণ করবে সে তাদের দলভুক্ত হবে। (আবু দাউদ: ৩৯৮৯)

২. বিদআত থেকে সতর্ক থাকা:

ঈদের দিন অনেকে না জেনে কবর বা মাজারে গিয়ে বিদআতে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। কবর জিয়ারত নিঃসন্দেহে একটি নেক আমল। কিন্তু ঈদের দিনে কবর জিয়ারতে বিশেষ সাওয়াব আছে বলে বিশ্বাস করা বা এটিকে একটি প্রথা বানিয়ে নেয়া শরিয়তসম্মত নয়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- ‘তোমরা আমার কবরে ঈদ উদযাপন করবে না বা ঈদের স্থান বানাবে না.. ‘ (আবু দাউদ: ২০৪২)

৩. অশ্লীলতার ব্যাপারে সতর্ক থাকা:

সিয়াম সাধনার মাসে সবাই যেমন গুনাহর ব্যাপারে সতর্ক ছিল, ঠিক তেমনি সারাবছর থাকা প্রয়োজন। বিশেষ করে ঈদের দিনগুলোতে অশ্লীলতার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। কেননা ঈদ উপলক্ষে এগুলো বেশি প্রকাশিত হয়। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এক শ্রেণির লোক আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং তাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি।’ (সুরা লুকমান: ৬)

৪. গান-বাজনা-সিনেমা থেকে দূরে থাকা:

ঈদের দিনের একটি স্বাভাবিক গুনাহ হলো- গান-বাজনা শোনা ও এতে জড়িত হওয়া। শরিয়তে এটি নিষিদ্ধ এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আবার যদি হয় অশ্লীল গান বা সিনেমা তাহলে তো তা হারাম হওয়ার ব্যাপারে কোনো ভিন্নমত নেই। হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন একটা দল পাওয়া যাবে যারা ব্যভিচার, রেশমি পোশাক, মদ ও বাদ্যযন্ত্রকে হালাল [বৈধ] মনে করবে।’ (বুখারি: ৫৫৯০)

৫. অপচয় না করা:

অপচয় এমন খরচকে বলা হয় যার কোনো উদ্দেশ্য নেই, যার কোনো ফায়দা নেই। ঈদের দিনকে ঘিরে অনেকে অযথা খরচ করেন। অথচ আল্লাহ তাআলা অপচয় করতে নিষেধ করেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা অপচয় করো না। নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের ভালবাসেন না।’ (সুরা আনআম: ১৪১)

৬. ঈদের দিনের নিষিদ্ধ কাজ:

ঈদের দিন মহান আল্লাহ সবাইকে মেহমানদারি করেন। এদিন নিজে খাওয়া এবং অন্যকে খাওয়ানোর দিন। তাই এদিন রোজা রাখা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আবু সাঈদ (রা.) বলেন, রাসুল (স.) ঈদুল ফিতরের দিন ও কোরবানির ঈদের দিন রোজা পালন করা থেকে, সাম্মা ধরনের কাপড় পরিধান করা থেকে, এক কাপড় পরিধানরত অবস্থায় দুই হাঁটু তুলে নিতম্বের ওপর বসতে (কেননা এতে সতর প্রকাশ পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে) এবং ফজর ও আছরের পর নামাজ আদায় করতে নিষেধ করেছেন। (বুখারি: ১৮৬৮; মুসলিম: ২৫৪৪)

উল্লেখ্য, ঈদের রাতে সাধ্যমতো নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার, দোয়া-দরুদ ইত্যাদি করা যায়। আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলেন, যে ব্যক্তি দুই ঈদের রাতে আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করবে তার অন্তর ওই দিন মরবে না, যেদিন অন্তরসমূহ মুর্দা হয়ে যাবে। (ইবনে মাজাহ: ১৭৮২)

Header Ad

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি

ছবি: সংগৃহীত

যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার তিন কর্মকর্তাকে বদলি করে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (যুগ্মসচিব), বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, বরিশাল এর যুগ্মসচিব মো: আহসান হাবীবকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট (এনআইএলজি) এর পরিচালক পদে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব জসিম উদ্দিন হায়দারকে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়েছে।

 

এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালযয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমানকে বাংলাদেশ টেলিভিশন এর উপমহাপরিচালক করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।

টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টিকেট নিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্য ও রেলওয়ের টিটিই'র মধ্যে বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এতে টিটিই, গার্ড ও এক সেনা সদস্যসহ পাঁচ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া এই ঘটনায় ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড রুমের দরজা, জানালা ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে সেনা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে। আর ঘটনার পর প্রায় ১ ঘন্টা ৫০ মিনিট বিলম্বে ট্রেনটি সান্তাহার জংশন স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়।

আর এতেই দূর্ভোগে পড়ে প্রায় দুই হাজার যাত্রী। অনেক যাত্রীকে ক্ষোভ প্রকাশ করতেও দেখা যায়। আবার প্রায় দুই শত যাত্রীকে দেখা যায় তারা ট্রেন ছাড়ার জন্য বিক্ষোভ করতে করতে স্টেশন মাস্টারের রুমের দিকে এগিয়ে যায়।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকাল ৫ টার দিকে বগুড়ার সান্তাহার জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে এঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন বৃহস্পতিবার বিকাল পৌনে ৪টায় ফুলবাড়ি স্টেশনে পৌঁছে। এ সময় ওই ট্রেনের শিতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) 'গ' বগিতে থাকা সেনা সদস্য আল আমিন সৈয়দপুর সেনানিবাস থেকে ছুটিতে নিজ বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ট্রেনে উঠে। সেই ট্রেনে আরও ১০-১২ জন সেনা সদস্য ছিল। ওই ট্রেনের দায়িত্বরত টিটিই রাসেল হোসেন টিকেট চাইলে দেখাতে ব্যর্থ হয়। এরপর টিটিই'র চাহিদামতো টিকেট বাবদ ৭ শত টাকা দিয়ে দেয় সেনা সদস্য। টাকার বিনিময়ে টিকেট চাইলে টিকিট দিতে অস্বীকৃতি জানান সেই টিটিই। আর এতেই সেখানে এক পর্যায়ে ওই টিটিইর সাথে তাদের বাকবিতন্ডা বাঁধে। ওই ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট আব্দুল মালেক, গার্ড আব্দুস সাত্তার বিষয়টি সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন।

এরপর ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনে পৌঁছলে ওই ট্রেনের বিভিন্ন বগিতে যাত্রা করা ১০-১২ সেনা সদস্য একত্রিত হয়ে ওই ট্রেনের গার্ড, টিটিই ও অ্যাটেনডেন্টসহ ৪-৫ জনকে কিল, ঘুষি ও চেয়ার দিয়ে মারপিট করে আহত করেন। পাশাপাশি ট্রেনের দরজা, জানালা ভাংচুর করেন।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

এ ঘটনায় এক সেনা সদস্যও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

খবর পেয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশ, আদমদীঘি থানা পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। আহত টিটি ও গার্ডকে নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ও বেশ কিছু সেনা সদস্যকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

এ বিষয় নিয়ে পুলিশ বা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। তবে একাধিক সূত্রে জানা যায়, বগুড়া সহকারী পুলিশ সুপার, রেলওয়ে পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনীর উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে আসার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শী এক ট্রেন যাত্রী বলেন, টিটিই জানতোনা সে সেনাবাহিনীর সদস্য। টিকেট না থাকায় তার কাছে টিকেট চায় কর্তব্যরত টিটি। তখন সে সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়ে বলে আমার কাছে টিকেট নেই। টিটিই তার কাছে সাত শত টাকা চাইলে টিকেটের মূল্য বাবদ সেনাবাহিনীর ওই সদস্য টিটিকে টাকা দিয়ে দেয়। এরপর টিকেট চাইলে টিকেট দিতে গড়ি মসি করে টিটিই। মূলত টিকেট না দেওয়ায় শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। তিনি একটু ক্ষোভ নিয়েই বললেন, প্রায় সকল ট্রেনেই কিছু দূর্নীতিবাজ টিটিই থাকে।

যাত্রীরা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, সরকারি লোকদের গন্ডগোলের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছি আমাদের মতো প্রায় দুই হাজার সাধারণ যাত্রীরা। এই ঘটনার পর প্রায় এক থেকে দেড় ঘন্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে এই সান্তাহার স্টেশনে। কখন যে এর সমাধান হবে কিছুই বলতে পারছি না। তবে এর দ্রুত সমাধান চাই আমরা যাত্রী সাধারণেরা।

এরিপোর্ট লেখা রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সান্তাহার রেলওয়ে থানায় সেনাবাহিনীর ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

নিজস্ব ছবি : ঢাকা প্রকাশ

তীব্র গরমে সারা দেশে আরও ২ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এ নিয়ে সপ্তমবার হিট অ্যালার্ট দিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার জন্য এই হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় বলেন, আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা ঢাকা বিভাগের পশ্চিমাঞ্চলসহ খুলনা, রাজশাহী এবং রংপুর বিভাগে তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এর আগে রবিবার (২৮ এপ্রিল) আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তার সময় আরও ৭২ ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছিল।

সর্বশেষ সংবাদ

যুগ্ম সচিব মর্যাদার ৩ জনকে বদলি
টিকেট নিয়ে সেনা সদস্য-টিটিই'র বাকবিতন্ডায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে ভাংচুর, আহত ৫
সারা দেশে আরও ২ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
জমি নিয়ে বিরোধ: স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজারে হবে উন্মুক্ত কারাগার, শিগগিরই নির্মাণ শুরু : সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
গাইবান্ধায় ট্রাকের ধাক্কায় পাওয়ার টিলার চালক নিহত
আরেক দফা কমলো স্বর্ণের দাম
জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেই আ.লীগ ক্ষমতায় এসেছে : সেতুমন্ত্রী
মে মাসে আবহাওয়া কেমন থাকবে, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
জায়েদ খানের উপস্থাপনায় মঞ্চ মাতাবেন জেমস
আইপিএল থেকে কত টাকা পাচ্ছেন মুস্তাফিজ?
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দিলেন স্বামী
গণমাধ্যমের যে কোনো সমালোচনাকে সরকার স্বাগত জানায়: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কংগ্রেসকে পাকিস্তানের ‘মুরিদ’ বললেন নরেন্দ্র মোদি
দেশে নির্মাণ হচ্ছে স্বর্ণ কারখানা
টাঙ্গাইলে প্রতীক পেয়েই প্রার্থীদের প্রচারণা
ওমরাহ পালন করতে সস্ত্রীক ঢাকা ছাড়লেন মির্জা ফখরুল
সরকারি খাদ্য গুদামে হয়রানির অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
মিল্টন সমাদ্দার ৩ দিনের রিমান্ডে
রোনালদোর পর সিকান্দার রাজাও সংবাদ সম্মেলনে কোমল পানীয়র বোতল সরালেন