রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪ | ২১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত আজ

ছবি: সংগৃহীত

টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব। মাওলানা সা'দের ছোট ছেলে মাওলানা ইলিয়াস বিন সাদ কান্ধলভীর আ'মবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ইজতেমা। আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে তা শেষ হবে।

ইজতেমার শেষ পর্বের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ঢাকা, গাজীপুরসহ সারাদেশ থেকে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা দলে দলে ইজতেমা ময়দানে আসছেন। এর আগে শনিবার ইজতেমার ময়দানে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উদ্দেশে ইজতেমার শীর্ষ মুরুব্বিরা ইমান আমল ও দ্বীনের দাওয়াতে তাবলিগের ওপর গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।

শেষ পর্বের ইজতেমা ঘিরে গত শুক্রবার থেকে টঙ্গীর ইজতেমার ময়দান মুসল্লিদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। আজ আখেরি মোনাজাতে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মুসল্লিরা শরিক হবেন। তারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় নিজের ইমানকে মজবুত করতে এবং দ্বীনের পথে থাকার জন্য পরম করুণাময়ের কাছে আকুতি জানাবেন।

দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম জানিয়েছেন, আখেরি মোনাজাতে নিজ নিজ গুনাহ মাফ এবং আত্মশুদ্ধির জন্য মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হবে।

টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব ইজতেমা। দেশের লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসুল্লি তুরাগ তীরে ইজতেমায় অংশ নেন। এছাড়া সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, কাতার ও আফগানিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের অসংখ্য মুসল্লি ইজতেমায় অংশ নিতে আসেন।

তাবলিগ জামাতের বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর ধরে দুই পর্বে হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এবারও প্রথম পর্বে শুরায়ে নিজাম অনুসারী মুসল্লিরা এবং দ্বিতীয় পর্বে নিজামুদ্দিন অনুসারী মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতে শেষ হয় প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় দ্বিতীয় পর্বের আনুষ্ঠানিকতা। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

এদিকে ইজতেমা ময়দানের গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে টঙ্গী-কামারপাড়া রোডসহ আশপাশের এলাকার মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গী থেকে গাজীপুরের ভোগরা বাইপাস পর্যন্ত এবং আবদুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়ার বাইপাইল পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।

Header Ad

কলকাতার রাস্তায় দেখা মিলল ঢাকার আলোচিত কাউন্সিলর আসিফের

আসিফ আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপিসহ দলটির অনেক নেতাকর্মী গা ঢাকা দেন এবং সুযোগ বুঝে অনেকেই পালিয়ে যান বিভিন্ন দেশে। এর মধ্যে রয়েছেন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আলোচিত কাউন্সিলর আসিফ আহমেদ। তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

এবার কলকাতার নিউমার্কেট এলাকায় দেখা মিলেছে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ভাতিজা কাউন্সিলর আসিফ আহমেদের। তিনি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। বিকেল হলেই নিউমার্কেট এলাকায় হাঁটতে বের হন তিনি। একাধিক ব্যক্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আসিফ আহমেদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় হত্যা মামলা রয়েছে।

এর আগে কলকাতার ইকো পার্কে একটি গণমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা পড়েন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অসীম কুমার উকিল, অপু উকিল ও হাজী সেলিমের এক ছেলেসহ আরও কয়েকজন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কলকাতার ইকো পার্কে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন তারা।

Header Ad

আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই: দুদু

বক্তব্য রাখছেন শামসুজ্জামান দুদু। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিবাদী সংগঠন তাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে কোনো স্থান নেই।

রোববার (৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের উদ্যোগে জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসার দাবিতে নাগরিক সভার আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দুদু বলেন, আওয়ামী লীগ শুধু জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল তা নয়, ১৫ বছর ধরে তারা অগণিত হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। বাংলাদেশের শুরুতে সাড়ে তিন বছরে মর্মান্তিক ইতিহাস আছে। সেখানেও আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সুস্থতার পরিচয় দেয়নি সুতরাং তাদের রাজনৈতিকভাবে গণতান্ত্রিক দল বলে ভাবার কোনো কারণ নেই।

দুদু আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেন, জনগণ যাদের প্রত্যাখ্যান করে তাদের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই। শেখ হাসিনা নিজেদের রক্ষা করতে পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সবার হাতে নির্বিচারে অস্ত্র তুলে দিলেও তারা হাসিনাকে রক্ষা করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো আছে।

নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, নির্বাচন যত তাড়াতাড়ি হবে দেশের জন্য, অর্থনীতির জন্য, রাজনীতির জন্য তত ভালো। তবে আগে সংস্কার আনা প্রয়োজন তারপর অন্য সব।

তিনি বলেন, পার্টির পক্ষ থেকে তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, গণতন্ত্রের লড়াই চলবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে কোনো দল ক্ষমতায় আসে ততক্ষণ। তবে আমাদের দল ও জনগণ মনে করে আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমান। যে যাই বলুক আগামী দিন বিএনপির দিন, আগামী দিন ধানের শীষের দিন।

জাতীয়তাবাদী গণতন্ত্র পরিষদের সভাপতি মোক্তার আখন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সংগঠনের অন্য নেতারা।

Header Ad

জুলাই বিপ্লবের পর সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে বলে জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

রোববার (৬ অক্টোবর) সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০২৪’ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে এবং একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে দেশকে এক অস্থিতিশীল পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করেছে। ফলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আবারও দেশের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

১ম পর্বের এই পদোন্নতি পর্ষদে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদবির যোগ্য কর্মকর্তাগণ পরবর্তী পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হবেন।

এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পদোন্নতির জন্য অফিসারদের পেশাগত দক্ষতা, নেতৃত্বের গুণাবলী, শৃঙ্খলার মান, সততা, বিশ্বস্ততা ও আনুগত্য এবং সর্বোপরি নিযুক্তিগত উপযুক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করে নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে নির্বাচনী পর্ষদের সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সৎ, নীতিবান এবং নেতৃত্বের অন্যান্য গুণাবলী সম্পন্ন অফিসাররাই উচ্চতর পদোন্নতির দাবিদার। তাছাড়া রাজনৈতিক মতাদর্শের ঊর্ধ্বে থেকে যে সমস্ত অফিসার সামরিক জীবনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন সেই সকল অফিসারদেরকে পদোন্নতির জন্য নির্বাচন করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

প্রধান অতিথি ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার বক্তব্যের প্রথমে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে সিক্ত নতুন বাংলাদেশে সকলকে স্বাগত জানান। এসময় তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের প্রতি। তিনি আরও স্মরণ করেন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনী তথা সেনাবাহিনীর শহিদসহ সকল বীর সেনানীদের যাদের আত্মত্যাগ জাতি চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

এর আগে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান। শত কর্মব্যস্ততার মাঝেও উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী পর্ষদ উদ্বোধন করায় সেনাবাহিনী প্রধান প্রধান উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রতিরক্ষা সচিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর উপস্থিত কর্মকর্তাগণের সাথে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন এবং পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

কলকাতার রাস্তায় দেখা মিলল ঢাকার আলোচিত কাউন্সিলর আসিফের
আওয়ামী লীগের ফিরে আসার কোনো সুযোগ নেই: দুদু
জুলাই বিপ্লবের পর সেনাবাহিনী জনগণের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে: ড. ইউনূস
ইরানে পাল্টা হামলা চালানোর ঘোষণা নেতানিয়াহুর
সতর্ক না করেই ভারত পানি ছাড়ায় বন্যা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র রক্ষায় ট্রাম্পকে জিততে হবে: ইলন মাস্ক
আন্দোলনে ছাত্র-জনতার পাশে ছিলাম, অভ্যুত্থান সফল করতে কাজ করছি: র‍্যাব পরিচালক
তারেক রহমানের সব মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে: কায়সার কামাল
রাতে আর্জেন্টিনাকে হারালেই ব্রাজিলের হেক্সা মিশন পূরণ
স্ত্রীকে খুন করে স্বামীর আত্মহত্যা, চিরকুটে লেখা দাফনের টাকা কোথায় রাখা !
মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় সাড়ে ১৫ বছর ধরে কারাগারে বিডিআরের ৭ শতাধিক সদস্য
রিয়া চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে এবার অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ
এসএসসির ৭৫ ও জেএসসির ২৫ নম্বরের সমন্বয়ে হবে এইচএসসির ফল প্রকাশ
ফিরে আসার বার্তা আ.লীগের, করতে চায় উন্নয়ন
৬ দিনে ৪৪০ জন হিজবুল্লাহ যোদ্ধাকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
নিজেকে ‘ছাগল’ বললেন মাহি
দুপুরের মধ্যে ১৩ অঞ্চলে বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস
কেমন হবে আজ গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পিচ ?
আন্দোলনে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করা সেই যুবলীগ নেতা মুছা গ্রেপ্তার
৩৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কবলে শেরপুর