শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতি ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা ধ্বংসাত্মক: আল্লামা ইমাম হায়াত

ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতি ও দলীয় আধিপত্যের অপচেষ্টা ধ্বংসাত্মক বলে মন্তব্য করেছেন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের চেয়ারম্যান আল্লামা ইমাম হায়াত। তিনি বলেন, আমরা সকল বস্তুর ঊর্ধ্বে স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রাসুলের আলোকে জীবনের আত্মিক সত্যভিত্তিক এবং সকল একক গোষ্ঠীবাদি, ধর্মবাদি ও জাতিবাদি অপরাজনীতি বিরোধী মানবতাভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানে দলীয় রাজনীতির শাখা মারাত্মক ক্ষতিকর ও অনধিকার অন্যায় মনে করি।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব মানবতার রাজনীতিকে জীবনের অবিচ্ছেদ্য বিষয় এবং অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে উপলব্ধি করি। আমাদের বিশ্লেষণ ও উপলব্ধি এই যে- প্রাকৃতিক শক্তির পর রাজনীতিই জীবন, সম্পদ ও দুনিয়ার প্রধান নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি বিধায় মানুষ দাবি করে অরাজনৈতিক হওয়া যায় না।

তিনি বলেন, অরাজনৈতিক হওয়া কিংবা মানবতাবিরোধী কোনো একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির অংশ হওয়া দুইটাই জীবন বুঝতে অক্ষমতা। নির্দলীয় হওয়া আর অরাজনৈতিক হওয়াও এক নয় ভিন্ন বিষয়। আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব যেকোনো মানুষের জন্য জীবনের যে কোনো স্তরে অরাজনৈতিক হওয়া যেমন জীবন অস্বীকার হিসেবে উপলব্ধি করি, তেমনি জীবনবিরোধী মানবতা বিধ্বংসী অপরাজনীতিকেও জীবন ধ্বংসাত্মক ও মানবতা ধ্বংসাত্মক বিষাক্ত আঁধার ও মানবতার বিরুদ্ধ অপরাধ উপলব্ধি করি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবন ও মানবতার রাজনীতিকে আলাদা করে দেখি না এবং জীবন ও মানবতার রাজনীতি একাকার হিসেবে উপলব্ধি করি। আমরা সব মত পথ আদর্শের যার যার রাজনৈতিক দর্শন ও দল নিয়ে চলার অধিকার যেমন স্বীকার করি তেমনি কোনো ব্যক্তি- প্রতিষ্ঠান- সরকার ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক কোনো ধর্ম- মত- পথ- মতবাদের রাজনীতি বা দলীয় আধিপত্য চাপিয়ে দিয়ে দস্যুতান্ত্রিক অপরাজনীতি ও জবরদখলের অপরাজনীতিকে চরম ঘৃণার সাথে জীবন মানবতা ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চরম ধ্বংসাত্মক অপরাধ মনে করি।

বিবৃতিতে এ রাজনৈতিক নেতা বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব জীবনসত্যের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হিসেবে জীবনের নিয়ন্ত্রক ও চালিকা শক্তি হিসেবে ও জীবনের ভালোমন্দের সাথে একাকার বিষয় হিসেবে রাজনীতিকে উপলব্ধি করি। আমরা সব মানুষের জন্য জীবনের উদীয়মান কাল থেকেই বিশেষভাবে ছাত্রজীবন থেকেই সুরাজনীতি ও কুরাজনীতি বুঝে সুরাজনীতির ধারক হওয়া জরুরি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের নামে একক ধর্মরাষ্ট্রের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এবং একক জাতিবাদি উগ্রবাদি পাশবিক রাজনীতি- এই দুই একক গোষ্ঠীবাদি রাজনীতি জীবনের স্বাধীনতা ও মানবতার বিরুদ্ধে মারাত্মক বিপজ্জনক ও সংঘাতময় এবং জীবনের সকল সংকটের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আল্লামা ইমাম হায়াত বলেন, আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব বিশেষভাবে ছাত্রজীবনকে জীবন বুঝার- জীবনের সত্য ও মিথ্যার ধারা বুঝার-
জীবনের সুপথ কুপথ বুঝার- জীবনের শত্রু মিত্র চিনার- জীবন ও রাষ্ট্রের সম্পর্ক বুঝার- জীবনের অধিকার স্বাধীনতা চাওয়া পাওয়া এবং শোষণ- বঞ্চনা- রুদ্বতার কারণ সকল অপশক্তির অপরাজনীতির ধারা বুঝার ও মানবতার মুক্তির পথ বুঝার জন্য জীবনের একাকার বিষয় হিসেবে এবং জীবন ও মানবতার সুরক্ষা হিসেবে জীবনের প্রাকৃতিক মানবতার রাজনীতির সক্রিয় একাকার ধারক দিশারী হওয়া অক্সিজেনের মত জরুরি মনে করি। কিন্তু আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় কেন্দ্র, আদালত, রাষ্ট্রীয় বাহিনী, হসপিটাল, অফিস, কর্মস্থল, কল কারখানা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অঙ্গন ইত্যাদি বিশেষ কাজের বিশেষ স্থান ও সর্বজনীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোনো রাজনৈতিক দলের অফিসিয়াল শাখা সংগঠন ও দলীয় সংঘাত, দলীয় আধিপত্য বিস্তার, সরাসরি প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচি পালন করা খুবই ধ্বংসাত্মক অন্যায় অপরাজনীতি মনে করি।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের রাজনীতির চর্চা অবশ্যই থাকবে থাকতে হবে তবে সেটা হতে হবে কেবলমাত্র একাডেমিক ও সংঘাতমুক্ত এবং নিরাপদ সৌহার্দ্যমূলক। প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের দলীয় সাংগঠনিক মাঠের রাজনীতির কর্মসূচি ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক যা কেবল গুন্ডাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য দলীয় রাজনীতি নয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব অবাঞ্ছিত সংঘাত ও দলীয় আধিপত্য থেকে মুক্ত না রাখলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আসল উদ্দেশ্য ধ্বংস হয়ে অসৎ স্বার্থের বিপজ্জনক হাতিয়ার হয়ে যাবে।

আল্লামা ইমাম হায়াত আরও বলেন, যেকোনো বিষয় ভালো হলেও সব কিছুর যথার্থ স্থান- কাল- পাত্র না বুঝলে ভালো বিষয়ও পরিণতিতে ক্ষতিকর হয়ে যায়। সর্বজনীন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ লক্ষ্যের বিশেষ প্রতিষ্ঠানে পরস্পর দ্বান্দ্বিক ও সংঘাতময় দলীয় রাজনীতির শাখা হলে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসাত্মক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করা হয়।

Header Ad

দেশে রেমিট্যান্সের আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাড়ছে রিজার্ভ

ছবি: সংগৃহীত

দেশে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা এখন গত কয়েক মাসের তুলনায় বেশি পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয় বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে। তবে নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ) এখনো ১৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি সেপ্টেম্বর মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২ হাজার ৪৬৭ কোটি মার্কিন ডলার বা ২৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ এখন এক হাজার ৯৫৬ কোটি ডলার ( ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন)। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ ‍বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন। সেই হিসাবে রিজার্ভ সামান্য বেড়েছে।

রিজার্ভ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা জানান, গত জুলাই থেকে আগস্ট মাসে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়েছে। প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। শুধু তাই নয়, রিজার্ভের পতন থামানো গেছে। এখন বাড়ছে।

গ্রস রিজার্ভ ও বিপিএম-৬ এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়। প্রকাশ করে না। চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেট ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (এনআইআর) বা ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ আছে এক হাজার ৪৪৫ কোটি মার্কিন ডলার (১৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার)। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে না। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হলো বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।

দেশে চলমান সংকট কাটাতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি না করার ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে প্রতিশ্রুতি উপেক্ষা করে চলতি সেপ্টেম্বরেও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্য দিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রির করেছিল ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। তার আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিক্রি করে ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ অর্থবছরের ছিল ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার।

আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নজিরবিহীন অর্থপাচার, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে ক্রমাগত চলতি হিসাবের ঘাটতিও বেড়েছিল বাংলাদেশের। ডলারের বিপরীতে টাকা দর অবনমন হতে থাকলে প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে।

তখন দ্রুত ক্ষয় হতে থাকা রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএমএফ এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের এই ঋণ চেয়ে আবেদন করে ২০২২ সালের জুলাইতে। বিভিন্ন ধাপের আলোচনার পর ওই ওই বছরের নভেম্বরে ঋণ চুক্তি অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। প‌রে ২০২৩ সা‌লের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণচুক্তি করে বাংলাদেশ। এর তিন দিন পর প্রথম কিস্তিতে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় করে সংস্থাটি। এর পর গত ১৬ ডিসেম্বর দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ২০ লাখ ডলার এবং জুনে তৃতীয় কিস্তির ১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার ছাড় করা হয়। সব মিলিয়ে তিন কিস্তিতে প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৬ সাল পর্যন্ত মোট সাতটি কিস্তিতে ঋণের পুরো অর্থ ছাড় করার কথা রয়েছে। ঋণচুক্তির চতুর্থ কিস্তি ছাড় হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

বাংলাদেশকে দেওয়া ঋণের অন্যতম শর্ত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রিজার্ভ সংরক্ষণ রাখতে হবে। সেই হিসেবে আইএমএফ এর পক্ষ থেকে সেপ্টেম্বরের জন্য বেঁধে দেওয়া ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের লক্ষ্য ১৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে ব্যাংক খাত সংস্কার, অর্থ পাচার প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থাপনা, আয়কর ও ভ্যাট সংস্কারে নতুন করে আরও তিন বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশকে নতুন করে ঋণ দেওয়ার বিষয় ইতিবাচক রয়েছে আইএমএফ-বলছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২১ দিনে দেশে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৩ কোটি ৪২ লাখ (১ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৯ হাজার ৬১১ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি সেপ্টেম্বরে দৈনিক গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। এই হারে রেমিট্যান্স আসতে থাকলে মাস শেষে প্রাবাসী আয় ২৩৩ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলছে খাত সংশ্লিষ্টরা।

গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি মার্কিন ডলার (২ দশমিক ২২ বিলিয়ন)। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। তার আগের মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার।

বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বিশেষ ক্ষমতা আইনে কক্সবাজারের চকরিয়া থানায় করা দুইটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আকতার জাবেদের আদালত বিচারাধীন হয়রানিমূলক দুইটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

সিনিয়র আইনজীবী আবু সিদ্দিক ওসমানী জানান, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই মামলা দুটিতে সরকার কিংবা বেসরকারি সাক্ষী আদালতে হাজির হয়নি। তাই মামলা দুটি যদি আদালতে থাকে তাহলে আদালতের কর্মঘণ্টা অহেতুক নষ্ট হবে। সেই মর্মে মামলা দুটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৯ ধারায় খারিজ করে সব আসামিকে অব্যাহতি দেন আদালত।

এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক, উদ্দেশ্যমূলক, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলা থেকে আদালত আজ আমাকে মুক্তি দিয়েছেন। আজ ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গেল ১৬ বছর ফ্যাসিবাদী সরকারের কাছে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ গায়েবি, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার শিকার হয়েছে। যদি সেসব মামলা থেকে তাদের খালাস দেওয়া হয় তাহলে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্র মুক্তি পাবে।

এদিকে সালাহউদ্দিন আহমেদের আদালতে আসার খবরে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে চকরিয়া উপজেলার পালাকাটা এলাকার বদিউর রহমান ও বদরখালীর মাহমুদুল হক বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।

পেশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী, পরিচয় দেন সাংবাদিক

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে একটি প্রাইভেটকারসহ ৫ ভুয়া সাংবাদিককে আটক করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিংগা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন রাহিম রানা চৌধুরী, মো. জোবায়ের হোসেন, মো. মোমেন মিয়া, সায়েদ আহম্মেদ স্বপন ও মো. জুনায়েদ মিয়া। তারা সবাই প্লাস্টিক ব্যবসায়ী বলে জানা যায়।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে বিজয়নগর থানা-পুলিশের একটি দল পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিংগা সেতু এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় ‘একুশে নিউজ’ স্টিকার যুক্ত একটি প্রাইভেটকারকে থামতে সংকেত দেয় তারা। গাড়ি থামালে ভেতরে থাকা পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা সাংবাদিকতার পেশার সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মাদক সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাদের থানা হেফাজতে আনা হয়।

বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভূয়া সাংবাদিকের পরিচয়ে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে রেমিট্যান্সের আয়ের প্রবৃদ্ধিতে বাড়ছে রিজার্ভ
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন দুই মামলায় অব্যাহতি পেলেন
পেশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী, পরিচয় দেন সাংবাদিক
একদিনে সারাদেশে ৮ হাজার মশার প্রজননস্থল ধ্বংস
সাকিবের নিরাপত্তার বিষয়টি বিসিবির হাতে নেই: ফারুক আহমেদ
দেশে গুম হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা ১৫৫ জনের বেশি: মায়ের ডাক
মধুপুরের আনারস জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেল
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি ফজলে করিম
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার নতুন নির্দেশনা
জামিন পেলেন নাট্যনির্মাতা রিংকু
ভারতে হিন্দুদের উৎসবের সময় ৩৭ শিশুসহ ৪৬ জনের মৃত্যু
কুমিল্লার সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন ও মেয়র তাহসিনা বাহারের অ্যাকাউন্ট জব্দ
অপরাধ করলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত: ড. ইউনূস
ভারতে পালানোর জন্য নওগাঁয় এসে ধরা খেলেন চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতা
জামিন পেয়েছেন সাবেক এমপি এম এ আউয়াল, প্রতারণা মামলায় আপস
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে: মির্জা ফখরুল
টাঙ্গাইলে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকসহ ১১৭ জনের নামে মামলা
তেঁতুলিয়া বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
যে কারণে দেশে ফিরছেন না জায়েদ খান
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎ স্পৃষ্টে প্রাণ হারালেন স্বামী-স্ত্রী