শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন

নতুন চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন আইভী

মিছিল আর পথসভা চলছে। প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারের কাছে। দিচ্ছেন প্রতিশ্রুতি, নানা আশ্বাস। আশ্বস্ত হতে চান ভোটাররা। কিন্তু ভরসা কোথায়? নির্বাচনের চিরায়িত রূপ নারায়ণগঞ্জের সিটি নির্বাচনে। হেবিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আছেন এগিয়ে। জনসংযোগে তৈমুর আলম খন্দকার সিটি করপোরেশনকে ঢেলে সাজানোর কথা বলছেন। আর সেলিনা হায়াত আইভী বলছেন, চলমান কাজ এগিয়ে নিতে।

নির্বাচনের বাকি আর ১০ দিন। তাই ভোটারদের নিজেদের দিকে টানতে চলছে প্রচারণা। তবে ভোটের সমিকরণ এবার ভিন্ন।

সাবেক মেয়র আইভীর ওপর সমর্থন নেই দলের একাংশের। তৈমুর আলম দল থেকে দূরে। ফলে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে মেয়রের সিংহাসনে যাওয়া দুই প্রার্থীর জন্য কষ্টকরও বটে।

সাধারণের ভাষ্যমতে, তৈমুর আলম তো দল থেকে দূরে। তার সঙ্গে নেই জেলা বিএনপির অনেক নেতা। তিনি প্রচারণা শুরু করার সময় দলের বেশ কিছু নেতা তার পাশে ছিলেন। তাদের মধ্যে ছিলেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন রোজেল ও আবদুল হাই রাজু। কিন্তু দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপি সম্প্রতি তৈমুরকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থকে অব্যাহতি দিয়েছে। এর আগে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ কারণে এখন মাত্র অল্প কয়েকজন তার পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছে। যাদের মধ্যে জেলা বিএনপির মহাসচিব এটিএম কামাল অন্যতম। এছাড়া সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের হাতে শহরের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় একটি শক্তিশালী ভোটব্যাংক রয়েছে। তিনিও তৈমুরের প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত নন।

তারপরও তৈমুর আলম খন্দকার মনে করেন, নারায়ণগঞ্জবাসীর ১৮ বছরের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে এবারের নির্বাচনে। তার মতে, ‘সরকারি দলের বড় নেতারা, এমপিরা আমার বিরুদ্ধে অনেক কথা বলছে। তারা ঢাকা থেকে এসে এসব কথা বলে। কিন্তু নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। আওয়ামী লীগের যিনি প্রধান তিনিই বলেছেন, তৈমুর আলম উইনেবল ক্যান্ডিডেট।’
নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসী দীর্ঘদিন যাবৎ একটা প্রার্থী খুঁজছিল। আমি কয়েকবার দাঁড়াইনি। একবার আমার দল নিজেই বসে গেছে। তখন আমার কিছু করার ছিল না। যেহেতু আমি দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছি। আমি জনগণের ফুলের মালা পাচ্ছি এখন। জনগণ চারিদিক থেকে এসে ফুলের মালা দিচ্ছে, ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমাকে চেনে। নারায়ণগঞ্জের মানুষের মন থেকে আমাকে সরাতে পারবে না। আমি মানুষের প্রয়োজনে দলের বাইরে এসে নির্বাচন করছি। দলের লোকজনও আমার সঙ্গে আছে। নেতাকর্মীরা জানে কতবার আমি কারাগারে গিয়েছি কিন্তু আপোষ করিনি। ভয়ে মরে কাপুরুষ লড়ে যায় বীর নীতিতে আজ পর্যন্ত অবিচল আছি।’

অন্যদিকে ডা. সেলিনা হায়াত আইভীভি মনে করেন, পরিবর্তন নয়, উন্নয়নের জন্য ধারাবাহিকতাই চায় জনগণ। নির্বাচনী সভায় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একটি বিশাল দল। বিএনপি তার সঙ্গে আছে কি নেই সেটা খোঁজ নেওয়া আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নয়। আমার নেতাকর্মীরা মাঠে ব্যস্ত ভোট চাইতে। কারণ আমরা ভোটে বিশ্বাসী। আমার লক্ষ্য ভোটার। কে কী প্রচার করলো সেটা আমার দেখার বিষয় না। আওয়ামী লীগের তৃণমূল সবসময় আমার সঙ্গে ছিল, এবারও আছে। নেতৃস্থানীয় সকল নেতারা আছেন আমার সঙ্গে।’

আইভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। সেটি দ্বন্দ্ব নয়। শামীম ওসমানের সঙ্গে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা আছে। আমি আওয়ামী লীগ করি, তিনিও আওয়ামী লীগ করেন। স্থানীয় অনেক কিছু নিয়ে দ্বি-মত থাকলেও আদর্শের দ্বি-মত নেই। তিনি একজন সংসদ সদস্য, তিনি এমনিতে ভোট চাইতে আসতে পারবেন না। যারা আসল আওয়ামী লীগ তারা সবাই মাঠে। তারা কারও বলার অপেক্ষায় থাকে না।’

যদিও আইভী বলছেন শামীম ওসমানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব নেই। প্রকৃতপক্ষে আইভীর জন্য ভোট চাইতে শামীম ওসমানকে দেখা যায়নি। এ কারণে আইভী ইস্যুতে শামীম ওসমানের অবস্থান এখনও স্পষ্ট না। স্থানীয়দের মধ্যেও এ বিষয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, আইভী দলীয় মেন্ডেট পাওয়ায় শামীম ওসমান প্রকাশ্যে এখনও আইভীর বিরোধিতা করছেন না। ভোটাররা মনে করেন শামীম ওসমানের সমর্থন না পেলে আইভীর জন্য নির্বাচন কঠিন হয়ে যাবে।

সাধারণের ভাষ্য মতে, পরিবেশ এখন পর্যন্ত খুব ভালো। তৈমুরকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি না দিলে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হতো। আইভী যদি বন্দরের মতো শহরেও কিছু উন্নয়ন করতো, তাহলে আইভীর মাঠ আরও ভালো থাকতো। তবে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। জয়-পরাজয়ের হিসেব নিকেশ পরিষ্কার হতে আরও কিছুটা সময় লাগবে।

 

 

Header Ad

কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুমে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিটের চেষ্টায় ১৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আজ (শনিবার) সকাল ১০টা ১৭ মিনিটের দিকে লা ভিঞ্চি হোটেলের জেনারেটর রুম থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হয়। যা পাশের কাঁচাবাজারে ছড়িয়ে পড়ে।

পরে পৌনে ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার লিমা খানম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে কাঁচাবাজার সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি

ফাইল ছবি

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিলেন রাজধানীবাসী। ঘরের মধ্যে থেকেও স্বস্তি মিলছিল না তাদের। শনিবার সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা। সকাল সাড়ে ৮টার পর হালকা বৃষ্টি শুরু হয় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে।

রাজধানীর কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি, কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়। সঙ্গে ছিল প্রাণজুড়ানো শীতল হাওয়া। রাজধানীর নতুনবাজার, বাড্ডা ও রামপুরাসহ বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। বাতাস, মেঘ ও হালকা বৃষ্টির ফলে ঢাকায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

সকালে বৃষ্টির কারণে অফিসগামী ও শিক্ষার্থীদের কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। অধিকাংশ মানুষ ছাতা নিয়ে বের না হওয়ায় অনেককে বৃষ্টিতে ভিজতে হয়েছে। তবে বৃষ্টি নামায় সবাই স্বস্তিবোধ করছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে, সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।

পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে বলে আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়েছে।

সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১

ছবি: সংগৃহীত

সাতক্ষীরার তালায় ধান বোঝাই ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৬টার দিকে খুলনা পাইকগাছা সড়কের হরিশ্চেন্দ্র কাটী সরদারবাড়ী বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু’টি মরদেহ উদ্ধার করেছে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন- কয়রা উপজেলার বামিয়া ইউনিয়নের বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল গাজী (৩৮) ও মহারাজপুর ইউনিয়নের মাদারবাড়িয়া গ্রামের তোফাজ্ঝেল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।

কয়রা এলাকার শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, কয়রা এলাকা থেকে ১৩ জন শ্রমিক গোপালগঞ্জ এলাকায় ধান কাটতে গিয়েছিল। মজুরি হিসাবে তারা ২০ থেকে ৩০ মণ ধান পায়। ধান নিয়ে (যশোর ট-১১-৩৭৮৫) ট্রাকে বাড়ি ফেরার পথে শনিবার সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় সাইদুর ও মনি নিহত হয়।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের দুই ধারের রাস্তার সম্প্রসারণের জন্য রাস্থা খুড়ে রাখার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

তালা থানার ওসি মো. মমিরুল ইসলাম জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে এবং ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস