মাইনাস টু'র আশা জীবনেও পূরণ হবে না: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রা নিয়ে কেউ যদি মাইনাস-টু’র কথা বলে এটা তাদের সমস্যা, উল্লেখ করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ওই আশা জীবনেও পূরণ হবে না।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আসা বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের কয়েকজন নেতাদের সঙ্গে নিয়ে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ম্যাডাম যাওয়ার পরে মাইনাস টু এর কথা সামনে আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ যদি মনে মনে মন গড়া কথা বলেন সেটা তাদের সমস্যা। বাংলাদেশ আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, বাংলাদেশের জনপ্রিয় দল জাতীয়তা বাদী দল আজকে যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমানের অপেক্ষায় চেয়ে থাকবে বাংলাদেশ। এখন মাইনাস টু এর কথা যারা বলে, অনেকে বলে না 'উইশ ফুল থিং কিং' আশা আর কি। ওই আশা জীবনে পূরণ হবে না। ওইটা এরশাদ পারে নাই। ওইটা ওয়ান ইলেভেন (এক এগার) পারে নাই। আর এখন তো তার চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী দল। সুতরাং ওই সমস্ত মনগড়া কথা বলা আর তার উত্তর দেয়ারও আমি প্রয়োজনীয়তা বোধ করি না।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরা বিএনপির নেতাকর্মীদের কথা উল্লেখ করে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, তাদের স্বাগত জানানোর মূল কারণ হচ্ছে এই লোকগুলো বিগত ১৬ বছর যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ফ্যাসিস্ট বিরোধী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ছিল। তারা হোয়াইট হাউজের সামনে, ক্যাপিটাল হিলে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লড়েছেন। দেশে এদের সকলের আত্মীয়-স্বজনসহ সবার নামে মামলা আছে। এদের পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা আছে। এদের অনেকে ব্যবসা হারিয়েছে, চাকরি হারিয়েছে। এদের পরিবারের অনেক লোক জীবনও দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের কথা বলিতো, আন্দোলন একদিনে হয়নি। এই আন্দোলন গত ১৫-১৬ বছরের কত লোকের যে ত্যাগ স্বীকার সেটা অনেকে ভুলে যায়। আমরা শুধু রিসেন্ট আন্দোলনের কথা বলি তো। গত ১৫-১৬ বছর এই লোকগুলো কিন্তু আন্দোলনের বড় একটা অংশ। এদেরকে বাদ দিয়ে কোন আন্দোলন হয়নি। এরা যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের আইন প্রণেতাদের ওপর, কংগ্রেস ম্যান, সিনেটরদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সংস্থাগুলোর উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। তার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ এদের পরিবারের উপর অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু এরা সেখানে থেমে থাকেনি। গত ১৫-১৬ বছর তারা দেশে আসতে পারেনি। তাদের আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে পারেনি। তাদের পরিবারকে দেখতে পারেনি। আজ এত বছর পরে এই লোকগুলো দেশে ফিরতে সক্ষম হয়েছে।