সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

টিকিট কালোবাজারি

সহজ ডটকম ও রেলের কর্মচারীদের সিন্ডিকেটে ট্রেনের টিকেট

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেনের টিকিট কাটার ক্ষেত্রে নানা কড়াকড়ি ও তদারকির পরও থেমে নেই কালোবাজারি। এই কালোবাজারির কারণে সাধারণ ক্রেতারা সহজে টিকিট পান না বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

আসলে টিকিট কাটার পুরো প্রক্রিয়া রক্ষণাবেক্ষণে যারা দায়িত্বরত, তারাই জড়িত এই কালোবাজারির সিন্ডিকেটে।

এই চক্রটি বিভিন্ন কারসাজি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করে স্বাভাবিক সময়ে দেড় থেকে দ্বিগুণ দামে যাত্রীদের কাছে বিক্রি করে থাকে। আর ঈদের ছুটিসহ বিভিন্ন ছুটিকে কেন্দ্র করে টিকিটপ্রতি দাম বেড়ে যায় ৩-৪ গুণ পর্যন্ত।

বাড়তি এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ পায় সরাসরি সিন্ডিকেটে জড়িত সদস্যরা। আর বাকি ৫০ শতাংশ চলে যায় কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের হাতে। যাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তায় শুধু দু’টি সিন্ডিকেটের হাতেই প্রতিদিন চলে যাচ্ছে প্রায় ৫০০ টিকিট।

দেশব্যাপী ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি চক্রের ১৪ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর ও বিমানবন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৪৪টি আসনের টিকিট, ১৪টি মোবাইলফোন এবং টিকিট বিক্রির নগদ ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন: সেলিম (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে কাশেম (৬২), অবনী সরকার সুমন (৩৫), হারুন মিয়া (৬০), মান্নান (৫০), আনোয়ার হোসেন ওরফে ডাবলু (৫০), ফারুক (৬২), শহীদুল ইসলাম বাবু (২২), জুয়েল (২৩), আব্দুর রহিম (৩২), উত্তম চন্দ্র দাস (৩০), মোর্শিদ মিয়া ওরফে জাকির (৪৫), আব্দুল আলী (২২) ও জোবায়ের (২৫)।

এদের মধ্যে সেলিম ও উত্তম চন্দ্র দাস ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির দুই হোতা, যাদের নিজেদের ‘সেলিম সিন্ডিকেট’ ও ‘উত্তম সিন্ডিকেট’ নামে পরিচিত।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, কমলাপুর রেলস্টেশনে সেলিম এবং বিমানবন্দর রেলস্টেশনে উত্তমের নেতৃত্বে এই চক্রটি সঙ্ঘবদ্ধভাবে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর প্রভাতী, তূর্ণা নিশিথা, চট্টলা এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস, মহানগর এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস, কালনী এক্সপ্রেসসহ বিভিন্ন ট্রেনের টিকিট কালোবাজারি করে আসছিল।

সেলিম ও উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা উপযুক্ত সময় বুঝে সংগ্রহকৃত টিকিট নিয়ে রেলস্টেশনের ভেতরে অবস্থান করতেন। রেলস্টেশনে এসে টিকিট না পাওয়া সাধারণ যাত্রীদের কাছে তারা টিকিট বিক্রির জন্য ঘোরাঘুরি করতেন এবং অধিক মূল্যে টিকিট বিক্রি করতেন।


এছাড়া ট্রেন ছাড়ার সময় যত ঘনিয়ে আসত তাদের মজুদকৃত কালোবাজারি টিকিটের দাম তত বাড়তো। সুযোগ বুঝে অনেক ক্ষেত্রে টিকিটের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে দিতো তারা।

ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষে ছুটিকে কেন্দ্র করে গ্রেফতাররা প্রতিটি টিকিট ৩-৪ গুণ বেশি মূল্যে বিক্রি করতো। সাধারণত প্রতিটি টিকিট তারা দেড় গুণ থেকে দুই গুণ বেশি দামে বিক্রি করতো। এই লভ্যাংশের ৫০ শতাংশ গ্রেফতাররা নিতো এবং বাকি ৫০ শতাংশ কাউন্টারে থাকা বুকিং কর্মচারী ও তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সহজ ডটকমের কর্মচারী-কর্মকর্তা ও আইটি বিশেষজ্ঞদের দেয়া হতো।

গ্রেফতার উত্তম ও সেলিম সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে টিকিট কালোবাজারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এই কর্মকর্তা।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার সেলিম এবং উত্তমের নেতৃত্বে তার সহযোগীরা প্রথমত ট্রেনের কাউন্টারে বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ যাত্রী, রেলস্টেশনের কুলি, স্টেশনের আশপাশের এলাকার টোকাই, রিকশাচালক ও দিনমজুরদের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতো। যেহেতু প্রতি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে চারটি টিকিট দেয়া হয়। এই ক্ষেত্রে তাদের প্রত্যেককে চারটি করে টিকিট সংগ্রহ করার বিনিময়ে ১০০ টাকা করে দেয়া হতো।

এছাড়া, কাউন্টারে থাকা কিছু অসাধু টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন সাধারণ যাত্রীর টিকিট কাটার সময় দেয়া এনআইডি সংগ্রহ করে রাখতো। পরে সেগুলো ব্যবহার করে সংরক্ষণকৃত প্রতিটি এনআইডি দিয়ে চারটি করে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতো। এভাবে তারা প্রতিদিন প্রায় পাঁচ শতাধিক টিকিট সংগ্রহ করতো।

অনেক ক্ষেত্রে টিকিট কাউন্টারে নিজেরা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটতো চক্রের সদস্যরা। আবার অনেক সময় কৌশলে লাইনে অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশী সাধারণ যাত্রীদের এনআইডি ব্যবহার করে চারটি টিকিট ক্রয় করিয়ে তিনটি টিকিট নিজেরা যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নিতো।

এছাড়া, ঈদ, পূজা, সাপ্তাহিক ছুটিসহ বিশেষ ছুটির দিনকে উপলক্ষ করে গ্রেফতাররা রেলস্টেশনে কর্মরত কিছু অসাধু কর্মচারী এবং অনলাইনে টিকিট ক্রয়ের জন্য ব্যবহৃত ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান সহজ ডটকমের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও সার্ভার রুম বা আইটির সদস্যদের সহযোগিতায় তাদের কাছে সংরক্ষিত জনসাধারণের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে এমনকি সার্ভার ডাউন করে তারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতো।

পাশাপাশি চক্রটি বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দিয়ে অনলাইনে টিকিট কেটে সেগুলো তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতো। এমনকি স্টেশনে থাকা তাদের সিন্ডিকেটের সদস্যদের দিয়ে কাউন্টার থেকে স্ট্যান্ডিং টিকিটও সংগ্রহ করতো। সেসব টিকিটের মূল্য কাউন্টারের বুকিং কর্মচারীদের সাথে তারা ভাগ করে নিতো।

এভাবে গ্রেফতাররা অবৈধভাবে বিভিন্ন পন্থায় বিপুল সংখ্যক ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতো। যার ফলে সাধারণ জনগণের পাশাপাশি রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আমরা এই কালোবাজারির বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি, যারা সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত এমন কিছু নামও পেয়েছি। তাদের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানাবো। প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Header Ad

মেয়রের সামনে কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করলেন নারী কাউন্সিলর

ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন ও সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বোর্ড সভায় মেয়রের সামনে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করেছেন সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমালোচিত ও ভাইরালখ্যাত রোকসানা ইসলাম চামেলী।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে নগর ভবনে ডিএসসিসির বোর্ড সভায় ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতনকে জুতাপেটা করেন চামেলী। এ সময় ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসসিসির বোর্ড সভায় উপস্থিত একাধিক কাউন্সিলর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন চামেলী সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

উপস্থিত কাউন্সিলরদের কারো কারো ধারণা, গুলিস্তান, পল্টন, আনন্দবাজার এলাকায় ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই অঘোষিত দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ছাড়া গত ২২ এপ্রিল ওই নারী কাউন্সিলরের একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবে ভাইরাল হয়। এর পেছনে রতনকে সন্দেহ করে আসছিলেন রোকসানা ইসলাম চামেলী। হয়ত এসব কারণেই আজ এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তারা।

জানা গেছে, আজ মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তের ডানপাশে একটি চেয়ারে বসে ছিলেন সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। আর বামপাশে অন্যান্য কাউন্সিলরদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসে ছিলেন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন।

দুপুর ১২টার দিকে নিজ আসন থেকে উঠে রতনের সামনে গিয়ে দাঁড়ান চামেলী। কোনো কথা বা তর্ক ছাড়াই হুট করে পা থেকে হিল জুতা খুলে রতনকে পেটাতে থাকেন চামেলী। এ সময় আশপাশের কাউন্সিলররা এগিয়ে গিয়ে চামেলীকে থামান। তবে জুতা পেটানোর সময় রতন চুপচাপ করে নিজ আসনে বসে ছিলেন।

ডিএসসিসির ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ রতন ও সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলী। ছবি: সংগৃহীত

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসসিসির এক কাউন্সিলর বলেন, ঠিক কী কারণে চামেলী কাউন্সিলর রতনকে জুতাপেটা করেছেন, তা জানা যায়নি। করপোরেশন সভায় তাদের তর্কও হয়নি। চামেলীর এমন কাণ্ডে সবাই হতভম্ব হয়ে যান। ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বারবার চামেলীকে থামতে বলেছেন। কিন্তু চামেলীর উত্তেজনা কমছিল না। এক পর্যায়ে অন্যান্য নারী কাউন্সিলররা চামেলীকে করপোরেশন সভা থেকে বের করে দেন।

ডিএসসিসির এক নারী কাউন্সিলর বলেন, ডিএসসিসির ইতিহাসে করপোরেশন সভায় এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেনি। আজকের ঘটনা ডিএসসিসিতে কলঙ্ক হয়ে থাকবে। ডিএসসিসির সব নারী কাউন্সিলর চামেলীর বহিষ্কার চান।

আপনাকে কেন জুতাপেটা করা হলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন বলেন, ‘হঠাৎ করে এসে এমন কাণ্ড (জুতাপেটা) ঘটাল। আমি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কোনো ধরনের কথাবার্তা বা পূর্ব শত্রুতা ছাড়াই কেন এমন করেছে সেটি আমি বুঝতে পারছি না। ডিএসসিসি মেয়র তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে করপোরেশনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ বিষয়ে জানতে সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর রোকসানা ইসলাম চামেলীর মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। অন্য কোনো মাধ্যমেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাউন্সিলর চামেলীর একটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ২৪ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগ। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন।

ওলামা লীগে ধর্মের নামে 'ধর্ম ব্যবসা' চলবে না: ওবায়দুল কাদের

বক্তব্য রাখছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

ওলামা লীগে ধর্মের নামে ‘ধর্ম ব্যবসা’ চলবে না বলে সতর্ক করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। টাউট-বাটপার যাতে সংগঠনে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেদিকেও সজাগ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

সোমবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ওলামা লীগের প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

ওলামা লীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগে চাঁদাবাজদের স্থান নেই। ধর্মের নামে ধর্ম ব্যবসা চলবে না। আওয়ামী লীগের সাঙ্গে কাজ করতে হলে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ মেনে চলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎ রাজনীতিকে অনুসরণ করতে হবে। ফ্রি স্টাইলে যা খুশি বলবেন, এ রকম লোকের আমাদের দরকার নেই।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ওলামা লীগের ইতিহাস আওয়ামী লীগের জন্য খুব সুখকর নয়। অতীতে যা দেখেছি, কারো সঙ্গে কারো মিল নেই। নেতায় নেতায় বিভেদ। দলের আদর্শ পরিপন্থী সাম্প্রদায়িক বক্তব্য দিতে দেখেছি অনেককে। আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের কেউ এটা উচ্চারণ করবে সেটা আমি আশা করি না। নেতায় নেতায় বিভেদ আর চাই না। সত্যিকারের ওলামা দিয়ে গঠন করতে হবে। কোনো টাউট-বাটপার যেনো অনুপ্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ওলামা লীগের যেখানে সম্মেলন সেখানেই কমিটি গঠন করতে হবে। দেরি হলে কলহ বাড়ে, মতভেদ বাড়ে। শেষ পর্যন্ত সে কমিটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়। আমাদের দলের শৃঙ্খলা মেনে ওলামা লীগ করতে হবে। দলবিরোধী কোনো কাজ করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা থেকে কেউ রেহাই পাবে না। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা আমাদের পবিত্র ধর্ম ইসলামের জন্য ও বিকাশে যে অবদান রেখেছেন, যে সব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশে অন্য কোনো শাসক সে তুলনায় কিছুই করেননি।

ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা কে এম আব্দুল মমিন সিরাজীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও পর রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন, ওলামা লীগের ও সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক প্রমুখ।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা জেলার চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ উপলক্ষে জেলা পুলিশের আয়োজনে নির্বাচনী বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পুলিশ লাইন্সে আজ সোমবার (২০ মে) নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্য এবং ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত আনসার সদস্যদের জন্য ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা নির্বাচন ডিউটিতে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার সাথে সমন্বয় সাধন করে ভোটারগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সে লক্ষ্যে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে ডিউটিতে নিয়োজিত প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের করণীয় বর্জনীয় বিষয়ে আলোকপাত করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

 ব্রিফিং এ উপস্থিত ছিলেন  মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), চুয়াডাঙ্গা; মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); সঞ্জয় চৌধুরী, কমান্ড্যান্ট (আনসার ও ভিডিপি), চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); জাকিয়া সুলতানা, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল), চুয়াডাঙ্গাসহ নির্বাচন ডিউটিতে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ ও আনসার) সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সগণ।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি, র‌্যাব, আনসার,গোয়েন্দা সংস্থা এবং  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ একযোগে দায়িত্ব পালন করবেন।

সর্বশেষ সংবাদ

মেয়রের সামনে কাউন্সিলরকে জুতাপেটা করলেন নারী কাউন্সিলর
ওলামা লীগে ধর্মের নামে 'ধর্ম ব্যবসা' চলবে না: ওবায়দুল কাদের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের নির্বাচনী ব্রিফিং
ম্যানচেস্টার সিটিকে বিদায়ের ইঙ্গিত পেপ গার্দিওলার
বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক হোসেনউদ্দীন আর নেই
সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু ৫ জুন
টাঙ্গাইলে আনসার সদস্যদের নির্বাচনী ডিউটি দিতে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ
‘বঙ্গবন্ধু শান্তি পদক’ চালু, পুরস্কার কোটি টাকা ও স্বর্ণ পদক
রাইসির মৃত্যু আর সৌদি বাদশাহর অসুস্থতার জেরে বেড়েছে তেলের দাম!
অস্ট্রেলিয়ায় কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জাহিন
ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে প্রথমবারের মতো ভোট দিলেন অক্ষয়
রাইসির মৃত্যুতে ইরানে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা
৩০ ফ্রিল্যান্সিং দেশের র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান তলানিতে!
বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের