মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ | ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ফাইল ছবি

১৮ ডিসেম্বর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক দলের কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটপ্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন কমিশন অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবে, এটিই আমরা বুঝি। তার (প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি) ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যা মনে করেছেন, আমি মনে করি তা যথার্থই মনে করেছেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাভাবিকভাবে যাতে নির্বাচনটি হয়, আমার মনে হয় সেজন্যই তিনি নির্দেশনাটি দিয়েছেন। সঠিক, সুন্দর ও নিরপেক্ষভাবে একটি নির্বাচন হতে দেওয়ার জন্য তিনি (সিইসি) যা যা বলছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী সেগুলো করবে।

এর আগে মঙ্গলবার ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমানের সই করা এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠানো হয়। চিঠিতে ইসি বলেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা শুরু হবে।

১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া নির্বাচনী কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটাররা ভোটদানে নিরুৎসাহিত হতে পারেন, এরূপ কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয়।

এ অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ছাড়া অন্য কোনো সভা, সমাবেশ বা অন্য সব রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সবাইকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

Header Ad

আজ চা প্রেমীদের দিন

ছবি: সংগৃহীত

সকালের এক কাপ গরম চায়ের চুমুকেই শুরু হয় দিন। চা ছাড়া যেন অপূর্ণ থেকে যায় বন্ধুদের আড্ডা কিংবা গল্পের আসর। আজ সেই চা প্রেমীদেরই দিন। আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বিশ্ব চা দিবস। তারা চাইলে আজকের দিনটি উদযাপনে একত্রিত হতে পারেন, কিংবা মেতে উঠতে পারেন চা আড্ডায়।

ন্যাশনাল টুডে'র তথ্য অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে মানুষ ২৫ হাজার কাপ চা পান করেন। অর্থাৎ প্রতিদিন দুই বিলিয়ন কাপেরও বেশি চা পান করা হয়।

২০০৫ সালে চা উৎপাদনকারী দেশগুলো এক হয়ে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালন করে। এই দেশগুলো হলো- শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালয়েশিয়া ও উগান্ডা। পরে ২০১৯ সালে ২১ মে বিশ্ব চা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ চা দিবসকে হ্যাঁ বলে। ২০২০ সালের ২১ মে জাতিসংঘ প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব চা দিবস পালন করে।

ধারণা করা হয়, বিশ্বের জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পানকারীদের সংখ্যাও বাড়বে। ভারত ও চীনে চায়ের ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। চা পানে এই দুটি দেশ বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩৭ শতাংশ অবদান রাখে।

চা মূলত চীন থেকে এসেছে। আর গরম চায়ের আছে একটি দীর্ঘ ইতিহাস। যা প্রায় ৫ হাজার বছর আগের। চা নিয়ে একটি গল্প প্রচলিত আছে- একজন চীনা সম্রাট গরম পানির কাপ নিয়ে একটি গাছের নীচে বসেছিলেন। তখন কিছু কিছু শুকনো পাতা ওই কাপে এসে পড়ে। পরে সম্রাট সেই পানীয় পান করে মুগ্ধ হন। এভাবে গরম চায়ের সঙ্গে মানুষের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। যদিও এই গল্প কতটা সত্যি তা বলা মুশকিল। কিন্তু, এটাতো সত্যি কথা যে- শত শত বছর ধরে মানুষ গরম চা পান করে আসছেন।

সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পাননি বলে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেছেন, কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রী। এ সময় এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। কেন এই নিষেধাজ্ঞা আসছে, সেটা আমার কাছে এখনো আসেনি। আমি কেবল একটি বিজ্ঞপ্তির কথা শুনেছি। এটা বিস্তারিতভাবে না জেনে প্রশ্নের জবাব দিতে পারব না।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস আমি বুঝতে পেরেছি, মার্কিন সরকার অনেক দেশের অনেক ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অনেক দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা তাদের জন্য নতুন কিছু না। আমাদের দেশে যাকে দেওয়া হয়েছে, আমাদের কাছে এখনো সেটা সঠিকভাবে আসেনি। আসলে পরে জানতে পারবো, কেন দেওয়া হয়েছে!

এর আগে বাংলাদেশ সময় গতকাল সোমবার রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। এতে দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদে ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানান দেশটি।

কেন্দ্র দখল ও ভোটে কারচুপি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এখন আর জাল ভোট দেয়ার প্রচলন নেই। ভোট কেন্দ্র দখল করা, ভোটের যে কারচুপি, অনৈতিক কাজকর্ম ভোটের মধ্যে ছিল তা ধীরে ধীরে ভোটের মধ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ধনতলা ভোট কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভোটে মানুষের আগ্রহ আছে, প্রচারণায় দেখা গেছে। এখন কাজের মৌসুম এবং প্রচণ্ড গরম, বৃষ্টি হচ্ছে। প্রচারণা ভালো হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। এখন আর জাল ভোট দেয়ার প্রচলন নেই।

বিএনপি দেশের জনগণকে ভয় পায় বলেই ভোটে অংশগ্রহণ করছে না বলে মন্তব্য করে নৌপ্রতিমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বুঝতে পারছে ভোটে আসলে তাদের সম্মান থাকবে না। কাজেই তারা এখন ভোট বর্জন শুধু না, দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত।

তিনি বলেন, সমগ্র পৃথিবী আজ যুদ্ধের মধ্যে জড়িয়ে গেছে। এরকম একটি অর্থনৈতিক বিরাজমান পরিস্থিতিতে কোথায় তারা দেশের জন্য কথা বলবে, কিন্তু তারা দেশকে কিভাবে নিচে নামানো যায় সেই প্রক্রিয়াগুলোর সঙ্গে জড়িত। এটা খুবই দুর্ভাগ্য। আমরা দেখেছি বিএনপির জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা, দেশকে তলিয়ে দেয়ার রাজনীতি করেছে। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিশ্বাস করো না, তারা মুক্তিযুদ্ধকে মানে না। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক, তারা চায় না। এজন্য তাদের অর্থমন্ত্রী বলেছিল যে, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দরকার নাই। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে সাহায্য পাওয়া যায় না। বিএনপি একটি সাহায্য নির্ভর রাজনীতিক দল।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলমান যে ভোটগুলো হচ্ছে তার বড় অর্জন মানুষ অনৈতিক জায়গাগুলো পছন্দ করছে না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরাও এসবের মধ্যে নেই। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছে, ভোটাররা যাকে ভালো মনে করবে তাকে নির্বাচন করবে। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দিব’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সেটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

আজ চা প্রেমীদের দিন
সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কেন্দ্র দখল ও ভোটে কারচুপি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তাবরিজে রাইসির শেষ বিদায়ে হাজারও মানুষের ঢল
অনির্বাণ ভট্টাচার্যের সংসার ভাঙার গুঞ্জন
রাইসির মৃত্যুতে একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করবে বাংলাদেশ
চার ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ: ইসি সচিব
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যা বললেন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ
ভয় থেকেই সরকার ইঞ্জিনিয়ার ইশরাককে কারাগারে নিয়েছে: রিজভী
দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, স্ট্রোকে প্রাণ গেল ভোটারের
লিফট-এসি কিনতে বিদেশ যাচ্ছেন ১০ কর্মকর্তা
নওগাঁর নিয়ামতপুরে প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৫ শতাংশের কম
গাইবান্ধার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটার উপস্থিতি কম
ঢাকায় পৌঁছেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং
হোটেলে খেতে গিয়ে দায়িত্ব হারালেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা
প্রথম দুই ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ৮ শতাংশ: ইসির অতিরিক্ত সচিব
উপজেলা নির্বাচন: ২ ঘণ্টায় মাত্র ৩ ভোট!
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও শতাধিক মৃত্যু, প্রাণহানি বেড়ে ৩৫৫৬২
আইপিএলে বৃষ্টিতে কোয়ালিফায়ার ম্যাচ ভেস্তে গেলে কে যাবে ফাইনালে?
নজরুল পদক পাচ্ছেন চার গুণীজন