রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

আজ রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

ছবি:সংগৃহীত

উত্তরের জনপদ রংপুরের মানুষের পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের দাবি অনেক দিনের। ২০১১ সালে রংপুর সফরে এসে সেই দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। এরপরই পাইপলাইনের মাধ্যমে রংপুরে প্রাকৃতিক গ্যাস সংযোগ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন সরকার। শুরু হয় বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে নীলফামারী পর্যন্ত গ্যাস সঞ্চালনের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ।

রংপুরবাসীর দীর্ঘ অপেক্ষা-প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে। আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ লাইন উদ্বোধন করবেন।

বিষয়টি গনমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ লাইন প্রকল্পের পরিচালক খন্দকার আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, রংপুরের পীরগঞ্জ প্রান্তে আগুন জ্বালিয়ে ‍দেখানো হবে। প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন। আর পীরগঞ্জ প্রান্তে থাকবেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, জিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী রূখসানা নাজমা ইসহাক, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।

ছবি: সংগৃহীত

 

জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য রাষ্ট্রীয় দুটি কোম্পানি কাজ করছে। সঞ্চালনের দায়িত্বে রয়েছে জিটিসিএল, আর বিতরণ অংশের প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল)। সঞ্চালন কোম্পানি বগুড়া থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শেষ করেছে। তবে বিতরণ লাইনের কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত গ্রাহকরা এর সুবিধা পাচ্ছেন না।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সঞ্চালনের উদ্বোধনের পাশাপাশি বিতরণ লাইনের কাজ উদ্বোধন করা হবে। কোম্পানিটি বিতরণ লাইন নির্মাণের জন্য পৃথক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় থাকছে ১০০ কিলোমিটার পাইপ লাইন। এরমধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার, নীলফামারী ও উত্তরা ইডিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার। বিতরণ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে।

এদিকে শুধু নির্দিষ্ট সংখ্যক বৃহৎ কোনো প্রতিষ্ঠানকে নয়, ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে সরবরাহের দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, গ্যাস সরবরাহ না থাকায় প্রাচীন এ জেলায় ভারী শিল্প ও কলকারখানা গড়ে ওঠেনি। তবে পাইপলাইন উদ্বোধনের পর গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে।

জিটিসিএল জানায়, ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এটি চলতি বছরের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময়ের আগে মে মাসেই প্রকল্পের পুরো ১৫০ কিলোমিটার এলাকার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শেষ করে জিটিসিএল।

সংশ্লিষ্টরা জানান, অধিগ্রহণ করা ৩০৫ একর জমিতে বগুড়া থেকে রংপুর হয়ে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের উচ্চচাপ সম্পন্ন গ্যাস সঞ্চালন লাইন স্থাপন শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পীরগঞ্জ টিবিএস-২০ এমএমএসসিএফডি (সিটি গেট স্টেশন), রংপুর টিবিএস- ৫০ এমএমএসসিএফডি, সৈয়দপুর সিজিএস-১০০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপলাইন দিয়ে প্রতিদিন সরবরাহ সক্ষমতা ৫০ কোটি স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট গ্যাস।

এদিকে আপাতত ভারী শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড এবং রিফুয়েলিং স্টেশনে গ্যাস সরবরাহের পরিকল্পনা কর্তৃপক্ষের থাকলেও ক্ষুদ্র শিল্পকেও সমানভাবে গুরুত্ব দেওয়াসহ দ্রুত সময়ে গ্যাস সরবরাহের দাবি স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তাদের। তারা জানান, ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও শুধুমাত্র জ্বালানির অভাবে এতোদিন শিল্পের বিকাশ ঘটেনি রংপুর অঞ্চলে। যে কারণে দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে শিল্প বাণিজ্যে অনেক পিছিয়ে রংপুর। তবে সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উত্তরবঙ্গবাসীর স্বপ্নের গ্যাস পাইপ লাইন উদ্বোধনের খবরে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ।

স্থানীয়রা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছেন। ঘোষণা অনুযায়ী পাইপলাইনে গ্যাস এসেছে রংপুরে। আমরা রংপুরবাসী অত্যন্ত খুশি। শিল্পোদ্যোক্তাসহ ব্যবসায়ী মহলের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন ছিল এ অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের।

রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আকবর আলী বলেন, পীরগঞ্জ থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত মহাসড়কের পাশে অনেক দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যোক্তা প্লট ক্রয় করে গ্যাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। গ্যাস সরবরাহ শুরু হলে আমাদের এখানে আরও বেশি কলকারখানা গড়ে উঠবে। এতে শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানের সংকট কমে যাবে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও বেশি দৃশ্যমান হবে। এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দারিদ্র্যতার বৈষম্য দূর হবে।

রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন বলেন, গ্যাস এলেই এ অঞ্চলে শিল্প বিপ্লব ঘটবে। এছাড়া প্রস্তাবিত বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিসিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক ও সব উপজেলার শিল্প কারখানার পাইপ লাইনের মাধ্যমে গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে।

এদিকে জিটিসিএলের তথ্য মতে, দেশের উত্তর জনপদে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা এবং গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের সুযোগ সৃষ্টিসহ বাণিজ্যিক ও অন্যান্য গ্রাহকের গ্যাসের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১ হাজার পিএসআইজির ৩০ ইঞ্চি ব্যাসের ১৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন এবং আনুষঙ্গিক স্থাপনা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। ‘বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ’ প্রকল্পটি সরকারি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের যৌথ অর্থায়নে ১ হাজার ৩৭৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহের জন্য ৩০৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়া হুকুম দখল করা হয়েছে ৫৭৬ দশমিক ৩৭ একর জমি। ৩০ ইঞ্চি ব্যাসার্ধে ১৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যে শেষ করা হয়েছে। এই গ্যাস সরবরাহে পাইপলাইন পাড়ি দিয়েছে ৬টি নদী ও ২টি খাল। এসব নদী ও খালের দূরত্ব আড়াই কিলোমিটার। এ প্রকল্পে ইপিসি ভিত্তিতে সৈয়দপুরে ১০০ এমএমএসসিএফডি (মিলিয়ন স্ট্যান্ডার্ড কিউবিক ফিট পার ডে) ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সিজিএস (সেন্ট্রাল গ্যাস সাপ্লাই), রংপুরে ৫০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস (টাউন বর্ডার স্টেশন) এবং পীরগঞ্জে ২০ এমএমএসসিএফডি ক্ষমতাসম্পন্ন একটি টিবিএস স্থাপন করা হচ্ছে।

Header Ad

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা অমিত শাহ। দেশটির উত্তর প্রদেশের বান্দায় এক নির্বাচনি সমাবেশে এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সমাবেশে কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির বেশ সমালোচনা করেন অমিত শাহ। অযোধ্যা রাম মন্দির প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী এবং অখিলেশ যাদবের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, ভোট ব্যাংক হারানোর ভয়ে সেখানে যাননি তারা।

রাহুল গান্ধী ও অখিলেশ যাদবকে ভোটব্যাংকের রাজনীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ করে তিনি বলেন, কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টি বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের তাদের ভোটব্যাংক মনে করে।

ভারত জোটকে লক্ষ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৪ জুন নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃতীয়বারের মতো জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসবেন।

কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯ মে) বেলা ১১টায় ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি কৃষির ওপর গুরুত্ব দিই, আদালা বাজেট রাখি। সে সময় প্রথম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০৯ আবার ক্ষমতায় এসে দেখি দেশ খাদ্য সংকটে। এখানে নীতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, যেদিন আমি সংসদে বলেছিলাম দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তখন বিরোধী দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমি উঠে বললাম, কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মান নিয়ে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই সোনার মাটি আর মানুষ দিয়েই তো আমি সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষের উদ্যোম এবং কর্ম ক্ষমতাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে এই সোনার মানুষগুলোই তো উপযুক্ত হবে এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, শিল্পকে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। যারা যেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন, যেন শিল্পের বর্জ্য নদীতে না পড়ে। আমাদের পানি যেন কোনোরকম দূষিত না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। অল্প খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

পণ্য বাজারজাতকরণের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাতকরণের দিকেও নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এবং মহামারি করোনার কারণে সমস্ত কাজ বন্ধ, রপ্তানি বন্ধ, আমদানি বন্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এ ধাক্কাটা এসে পড়েছে। এর সাথে যুক্ত আছে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যুদ্ধ। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করতে হয় তার প্রত্যেকটার দাম বেড়েছে। যার একটা প্রভাব আমাদের দেশে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এটা শুধু করতে পারব, যখন আমরা নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে পারব।

অনুষ্ঠানে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট আপ উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।

সাত দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। শুধু দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি করা পণ্য নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন মেলার আয়োজন করেছে। এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।

যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের ঝিকরগাছায় বিনা যৌতুকে বিয়ে হলো ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর। শনিবার (১৮ মে) ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতীম কমপ্লেক্সে এমন বিয়ের আয়োজন করে শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন।

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এতিম ও অসচ্ছল পরিবারের ১০০ তরুণ-তরুণী। শুধু তাই নয়, বিয়েতে প্রত্যেক দম্পতি পেয়েছেন ঘর সাজানোর উপহার।

পাগড়ি আর লাল শাড়ি পরে অর্ধশত বর-কনে আসেন কুয়েত ইসলামিক ইয়াতীম কমপ্লেক্সে। ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নতুন বউ নিয়ে হাসিমুখে ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে কোনো কমতি ছিল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর ও কনেদের পরিবারের সদস্যরা।

আয়োজক কমিটির সদস্য এম মিকাইল হোসেন বলেন, যৌতুকবিহীন বিবাহ প্রথা চালু করার উদ্দেশ্যে এমন আয়োজন করা হয়েছে। যেন যৌতুকের বলি হতে না হয় কোনো নারীকে। পাশাপাশি গরিব অসহায় পরিবারগুলো ধুমধাম করে তাদের সন্তানদের বিয়ে দিতে পারে না, আমরা তা নিশ্চিত করে সব আয়োজন করেছি।

বিয়ের পাশাপাশি নগদ টাকা, সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রান্নার চুলাসহ সংসার সাজানোর সরঞ্জামও দিয়েছে সংস্থাটি।

সর্বশেষ সংবাদ

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু