রবিবার, ১২ মে ২০২৪ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার তিনটি কবিতা

মানুষবাঙ্গালী

মানুষ আমরা বাঙালি আমরা স্বাধীন বাংলাদেশে,

মানুষবাঙালি মুক্তস্বাধীন শতশতাব্দী শেষে;

অমিতসাহসী প্রমিতবাঙালি শেখ মুজিবের বেশে।

 

নিকষিত যার মানবস্বরূপ মা-সায়েরার ঘরে,

বিকশিত তার রূপ অপরূপ শতশতাব্দী ধরে;

মুক্তিযুদ্ধে শহিদেরা প্রাণ দিয়ে গেলো অকাতরে।

 

এই বাংলার মাটি পরিপাটি সোনার চেয়েও খাঁটি,

ঘুমায় বাঙালি এ মাটির বুকে বিছিয়ে শীতলপাটি;

নাই নাই ভয়, আছে শুধু জয়, জয় দুর্জয় ঘাঁটি।

 

গোলাভরা ধান মাঠভরা গান শস্যের সমাহার,

শান্তিসুখের এই বাংলায় সম্প্রীতি বেশুমার;

উদয়শপথে কাটে পথে পথে মনের অন্ধকার।

 

শুরুর আগেও শুরু থেকে যায়, যায় না সহজে চেনা,

বর্তমান ও অতীতের মাঝে কত সেতু-লেনাদেনা;

অনাদিকালের পারানির কড়ি সম্বল বেচাকেনা।

 

ইতিহাস শুরু লিখিত যখন, তারো আগে ইতিহাস,

গুহা ছেড়ে ঘরে পললভিটায় বঙ্গজাতির বাস;

ঋতুতে ঋতুতে রীতিতে রীতিতে সব ফসলের চাষ।

 

রাঢ় হরিকেল বন উপবন সমতট আসমান,

মিলেছে এখানে নদীদিগন্ত মোহনায় ধাবমান;

ওড়ে প্রজাপতি, পরিযায়ী ডানা, আলপথ বহমান। 

 

কত পথ শেষে কত দিক থেকে পথিক মিলায় বুক,

বাংলামায়ের স্নেহশীলা বুকে ব্যাকুল আপন মুখ;

জগৎমানুষ মিলেছে এ বুকে, মিলনেই মূল সুখ।

 

মিলিতবাঙালি প্রমিতবাঙালি ঘর তার চরাচর, 

কাঁটাতারহীন বিশ্বরাষ্ট্রে সব ঘর তার ঘর;

পরস্পরের পরমাত্মীয়, কেউ নয় কারো পর।

 

মিলিতবাঙালি বিজয়ী বাঙালি বিশ্বমানুষ আজ;

সব দেশ তার আপন স্বদেশ, মাথায় মুক্তি-তাজ।

 

জন্মস্মর

ইতিহাসে ইতিহাসে পরিশ্রুত এই দেশ, বাংলাদেশ, 

  আদি আর অনন্তের দেশ;

তুমি হেঁটে যাচ্ছো তার পথে পথে, 

আলপথে, বনপথে, মনোপথে,

      মৌনমগ্ন পথিকের বেশে... 

তোমার গমনপথে রঙধনু, কাশফুল, পদ্মাগঙ্গা, তরঙ্গ অশেষ;

তুমি গণবাঙালির মনোকন্যা, চিরকাল বাঙালিকে ভালোবেসে।

 

পিতার আলোক আর মাতার আশীষ, জাতিমানুষের বহতা মমতা;

অভেদ-সাম্যের দেশে চাষ করো পলিবীজ, সর্বশস্য, মানব-সমতা;

বাঙালি প্রমু্ক্ত জাতি, 

ধর্মবর্ণ-সম্প্রদায়-নির্বিশেষে 

সুন্দরের নিরপেক্ষ ধ্যান;

জাতিতে জাতিতে সখ্য, তুমি সেই ঐক্য-সূত্র, মানবিক সুন্দরের ঘ্রাণ।

 

তোমাকে চিনেছে এই বিলঝিল, 

নভোনীল, শঙ্খচিল, 

          বহমান নদীর স্বীকৃতি,

মুহূর্ত অনন্ত হয়ে কাল থেকে কালান্তরে সর্বপ্রজন্মের স্মৃতি;

তেপান্তর পার হয়ে জনপদে রাজপথে পরিব্যাপ্ত তোমার ঠিকানা;

দেশ আর মহাদেশ পার হয়ে ভাষা আর বিশ্ববাংলা বাঙালির ডানা।

 

তুমি সেই ডানার বিস্তার,

তুমি সেই জাতক অপার:

তোমাকে পাহারা দেয় জলেস্থলে নভোতলে জয়-বাংলা, 

বিজয়ীর কলস্বর, স্মৃতিস্মর নদী মধুমতি; 

তুমি সেই জন্মস্মর, চিরজন্মে চিরবঙ্গে তোমার বসতি।

 

বঙ্গজাতিমাতা

তুমি মাতা, আদিমাতা হাওয়ার সুরত,

মা মরিয়ম আমিনার প্রদর্শিত পথ;

সন্তানকে বুকে ধরে যাও দশ দিকে,

বংশগোত্রজাতিসত্য নিজে নাও শিখে;

আদিবঙ্গ জনপদ, ব্রত, সদাচার,

লালন করেছো তুমি সমাজ-সংসার;

প্রবিশ্ব পড়েছে বাঁধা চাবির গোছায়,

মাঝির নোঙর তুমি বঙ্গের নৌকায়।

 

বঙ্গ যদি দেশ তবে জনগোষ্ঠী জাতি,

জগৎ জুড়িয়া আছে স্বজাতির জ্ঞাতি;

তুমি বুকে ধরে আছো সকলের বুক,

জাতিসন্তানের সুখে খোঁজো নিজ সুখ।

সংকটে সংশয়ে তুমি জাতিজ্ঞাতি ত্রাতা;

হে জননী হে ধরণি বঙ্গজাতিমাতা।

Header Ad

সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি

ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের পরিবহণমন্ত্রী সালেহ আল-জাসের জানিয়েছেন, এ বছরই হাজিদের পরিবহণের জন্য উড়ন্ত ট্যাক্সি এবং ড্রোনের ব্যবহার শুরু করবেন তারা। পবিত্র মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা বিদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলকে স্বাগত জানানোর পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সালেহ আল জাসের এ কথা ঘোষণা করেন।

সৌদি পরিবহনমন্ত্রী বলেন, হজযাত্রীদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অত্যাধুনিক পরিবহনব্যবস্থার আওতায় এবার উড়ন্ত ট্যাক্সির ব্যবহার করবেন তারা।

সামনের বছরগুলোতে হজযাত্রী পরিবহনে এ উড়ন্ত ট্যাক্সি সরবরাহ করার জন্য পরিবহন খাতের কয়েকটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় নেমেছে বলেও জানান আল জাসের। পরিবহন খাতে এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে বোঝাপড়া ও হজ মৌসুমে এগুলোর ব্যবহারে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

পরিবহনমন্ত্রী আল জাসের বলেন, সৌদি আরব এমন আধুনিক পরিবহনসেবা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্মুখসারির দেশ হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ আধুনিক পরিবহনব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগানো হবে হজ মৌসুমে।

গত বছর হজ মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সির পরীক্ষামূলক ব্যবহারের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মন্ত্রী আল জাসের। জেদ্দায় কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও পবিত্র মক্কার হোটেলগুলোর মধ্যে হাজিদের যাতায়াতে ইতিপূর্বে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনায় আগ্রহ দেখিয়েছিল সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস বা সৌদিয়া। এই সেবা দিতে বিমান পরিবহন সংস্থাটির লক্ষ্য আনুমানিক ১০০টি এমন আকাশযান সংগ্রহ করা। এসব লিলিয়াম আকাশযান পুরোপুরি বিদ্যুৎ-চালিত ও পরিবেশবান্ধব বলে জানান হয়।

আজ বিশ্ব মা দিবস

ফাইল ছবি

মা ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এই ছোট্ট শব্দটিই পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর পৃথিবীর সবচেয়ে অকৃত্রিম ভালোবাসা। শৈশব থেকে আনন্দ-বেদনা-ভয় কিংবা উদ্দীপনা- প্রতিটি মানবিক অনুভূতিতে জড়িয়ে থাকে মায়ের নাম। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষের সবশেষ আশ্রয়স্থল মা নামের ওই মমতাময়ী নারীর আঁচল। আজ পৃথিবীর সেই সকল মমতাময়ীর সম্মানে বিশ্ব মা দিবস। প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্বব্যাপী বিশেষ মর্যাদায় পালিত হয় দিনটি।

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না। প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই। তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রাগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা, গল্প, আর উপন্যাস। সৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম। বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া’, শামসুর রাহমানের ‘কখনো আমার মাকে’, হুমায়ুন আজাদের ‘আমাদের মা’, আল মাহমুদের ‘নোলক’, কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি’ এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে। তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান, আয়াত: ১৪)।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায় ‘মা’ ডাকের শব্দগুলোর মধ্যেও আছে উচ্চারণগত অদ্ভূত এক মিল। সবগুলো শব্দের শুরুই ‘এম’ অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। জার্মান ভাষায় ‘মাট্টার’, ওলন্দাজ ভাষায় ‘ময়েদার’, ইতালিয়ান ভাষায় ‘মাদর’, চীনা ভাষায় ‘মামা’, প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় ‘মাত’, সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় ‘মা’।

কীভাবে এই সাদৃশ্য ঘটল তা আজও এক বিরাট রহস্য। তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেকটা ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই ‘মা’ ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো ‘ম’ বা ‘এম’ দিয়ে শুরু হয়।

‘মা’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ ‘মম’, যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ ‘মাম্মা’র পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ‘ম্যামেল’ উত্পত্তি। যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ।

জানা যায়, মা দিবসের সূচনা হয়েছিল প্রাচীন গ্রীসে। সেখানে প্রচলিত ছিল মাতৃরূপী দেবী সিবেল ও দেবী জুনোর আরাধনা। এছাড়া ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে প্রচলিত ছিল মাদারিং সানডের মতো বেশ কয়েকটি আচার-অনুষ্ঠান। সবসময় মায়েদের সম্মানে মাদারিং সানডে পালিত হতো নির্দিষ্ট একটি রোববার।

তবে বর্তমানে প্রচলিত মা দিবসের সূচনা হয় ১৯০৮ সালে। গত শতাব্দীর শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ার এক স্কুলশিক্ষিকা অ্যানা জারভিস সেখানকার পারিবারিক বিচ্ছিন্নতা দেখে মর্মাহত হয়ে মায়ের জন্য বিশেষ দিন পালনের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি করার কথা ভাবলেন। নিজের সেই মহৎ ভাবনা বাস্তবায়নের আগেই ১৯০৫ সালের ৯ মে মারা যান তিনি। তার মৃত্যুর পর মেয়ে অ্যানা এম জারভিস মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণের উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বন্ধুবান্ধবকে নিয়ে ১৯০৮ সালে তার মা ফিলাডেলফিয়ার যে গির্জায় উপাসনা করতেন, সেখানে সব মাকে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মা দিবসের সূচনা করেন। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে মায়েদের জন্য উত্সর্গ করে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন।

এরপর থেকেই মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আন্তর্জাতিক মা দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। বিশ্বের অন্য সব দেশের মতো এবার রোববার (১২ মে) আমাদের দেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে বিশ্ব মা দিবস। সরকারের মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকেও বিশ্ব মা দিবস ২০২৪ উদযাপন করতে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।

এতে জেলা পর্যায়ে উপপরিচালকদের জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, আবাসিক বা অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ডে-কেয়ার কর্মকর্তাদেরও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দিবসটি উদযাপন করতে কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দিবসটি উদযাপন করতে জেলা, উপজেলা, আবাসিক ও অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ডে-কেয়ার সেন্টারে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর থেকে বাজেট পাঠানো হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

 

বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ

ফাইল ছবি

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ের ৪ মাসেই ১০ মাসের সন্তান প্রসব করেলেন এক নববধূ। শনিবার (১১ মে) এ সংবাদ প্রকাশ্যে আসে। উপজেলার কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের শাকছিপাড়া নাজিম উদ্দিন বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের জনৈক যুবকের ওই বাড়ির যুবতীর সাথে ৪ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর ওই নববধূ স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেখানে গেল ৩০ এপ্রিল তার পেট ব্যথা দেখা দিলে হাজীগঞ্জের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১ লা মে কন্যাসন্তান প্রসব করেন তিনি। পরে সন্তান প্রসবের খবর স্বামীর বাড়িতে পৌঁছায়।

ওই নববধূর বোন জানান, আমার স্বামী নওহাটা ফকির বাড়ির ফারুকের ছেলে কাউসার যৌতুকের দাবিতে তাকে অত্যাচার করত। এ ঘটনায় মামলা চলমান রয়েছে। আর এই সুযোগে তার আপন ছোট বোনের সঙ্গে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয় কাউসার।

এ বিষয়ে ওই নববধূ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে তার বড় বোনের স্বামী কাউসার সুযোগ বুঝে মুখ চাপা দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো। এখন এ ঘটনার কারণে যদি স্বামী তাকে না নেয়, তাহলে সে ছাড়াছাড়ি মেনে নেবেন।”

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত কাউসারের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের শাকছিপাড়া গ্রামের ইউপি সদস্য এম এ খালেক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নববধূর স্বামী এসে বিষয়টি আমাকে জানিয়ে গেছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে এবার হজযাত্রীদের জন্য থাকছে উড়ন্ত ট্যাক্সি
আজ বিশ্ব মা দিবস
বিয়ের ৪ মাসেই সন্তান প্রসব করেলেন নববধূ
রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, রাতভর উত্তেজনার পর শান্ত
এসএসসির ফল প্রকাশ আজ, যেভাবে জানবেন
ঈদুল আজহায় সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি মিলবে যে কয়দিন
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল
আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যা, একদিনে দুই শতাধিক মৃত্যু
রংপুর মেডিকেলের আইসিইউ ইউনিটে আগুন
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল
পতঞ্জলি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতের যোগগুরু বাবা রামদেব
রাত ১টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের ‍পূর্বাভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণা আগামীকাল
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন 'অড সিগনেচার'-এর পিয়াল
অর্থনীতি চাঙা করতে গাঁজা চাষ বৈধ করতে যাচ্ছে পাকিস্তান!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে ‘বিসিএস প্রস্তুতি’ বন্ধ হচ্ছে
বিদেশিদের এনআইডি করতে লাগবে না দ্বৈত নাগরিকত্ব সনদ
চুয়াডাঙ্গায় বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল ২ কৃষকের
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি, জাতিসংঘের সনদ ছিঁড়ে ফেললেন ক্ষুব্ধ ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত
স্প্যান বসানো শেষ, ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর উদ্বোধন