শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

অস্ফুট ভালোবাসা

টেলিফোনটা অনেকক্ষণ ধরে বাজছে। চোখ মেলে ধরার মতো শক্তি পাচ্ছে না অনিন্দ্য। কিন্তু না ধরে উপায় নেই। দেখা যাবে না খেয়ে কাটিয়ে দিয়েছে সারাদিন। ফোন করলে ধরবে না। তাই বহু কষ্টে সাইড টেবিলের ওপর হাত বাড়িয়ে টেলিফোনের রিসিভারটা টেনে ধরেতেই-

-কটা বাজে খেয়াল আছে। আচ্ছা সারাদিন পড়ে পড়ে ঘুমালে আর রাত জেগে অফিস করলে অন্যসব কাজ করবে কখন বলতো।

-এইতো উঠে পড়ছি। এখন রাখো। 

-রাখবই তো, আমি তো তোমার ঘরের বউ না যে বালতি দিয়ে পানি ছিটিয়ে তোমার ঘুম ভাঙাবো।   

-বউ না হয়েই যা করছ। বউ হওয়ার পর তো খবর আছে।

-মানে কি?

-মানে আর কি, আমাকে ঘুমাতে দিচ্ছ না।

-তোমার সংসারে আমি যাব না। তুমি আমাকে কখনই পাবে না।

-এত প্রতিদিনই শুনি। 

-কি? অনিন্দ্য। খুব খারাপ।

-ওকে সুইট হার্ট। একটু আদর দাও। তা না হলে উঠব না।

-পারব না।

-দাও না। তোমার আদর ছাড়া আমি কখনো বিছানা ছেড়েছি। বলো।

-তোমাকে কোন দুঃখে আদর দেব। তুমি আমার কে? রাখবা ১০০০ মাইল দূরে। আবার আদর চাও। মামার বাড়ির আবদার।

-দাও না। তা না হলে উঠব না। 

-ওকে দিলাম। এবার ওঠ। 

-গুডু গুডু। উঠছি, রাখো।


অফিসে কাজের ধকলটা ইদানিং বেড়ে গেছে। চারদিকে নানা ঘটনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এই বুঝি পুরো দেশটাই ধসে পড়বে। দেশে অকার্যকর সরকার থাকলে যা হয়। মাঝে মাঝে মনে হয় পেশাটা বদল করি। বাসার কেউ পেশাটা পছন্দ করছে না। কিন্তু অফিসে গিয়ে যখন কাজের মাঝে ডুবে যাই, তখন সে ভাবনা আর থাকে না। তখন মনে হয় জাতির জন্য কিছু একটা করার সুযোগ তো এটাই। 

গভীর রাতে বাড়ি ফিরে অনিন্দ্য যখন ঘুমাতে যায় অন্যদের ততক্ষণে জেগে ওঠার সময় হয়ে যায়। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে তার উঠা হয় না। অনিন্দ্য জানে এসময় ফারাহ ছাড়া আর কেউ ফোন করে না। শুধু অনিন্দ্য কেন, তার বাড়ির সবাই জানে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ল্যান্ড ফোনে থেমে থেমে যে কলটা বাজে সেটা ফারাহর। মোবাইলে করতে পারে। কিন্তু অনিন্দ্য মোবাইল অফ করে ঘুমাতে যায়। তাই ল্যান্ড ফোনে ফোন করে ফারাহ। প্যারালাল লাইন আছে ড্রইং রুমে। সেটা যে কেউ রিসিভ করতে পারে। তা ফারাহকে বলা হয়েছে। কিন্তু তার সোজা কথা আমি কি চুরি করছি। আমি তোমার সঙ্গে প্রেম করছি। বাড়ির লোক না জানলে হবে? গত পাঁচ বছর ধরে এ রুটিন চলছে। তার মাস্টার্স শেষ করেছে এক বছর হলো। এখনো কোন চাকরি খুঁজে পায়নি। ঘরে বসে শুধু চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রন্তুতি নিচ্ছে। 

এই ফারাহটা আজব এক ক্যারেক্টর। কোটিপতি বাবার একমাত্র মেয়ে। সে জানে তার কাছে চাকরি পাওয়টা শুধু চাওয়ার মাঝেই সীমাবদ্ধ। তার বাবাই সেটার জন্য যথেষ্ট। তার বাবা বহুবার তাদের নিজেদের কোম্পানিতে যোগ দিতে বলেছে। কিন্তু সে রাজি না। তার যুক্তি, যদি বাবার কোম্পানিতে চাকরি করব তাহলে এতো পড়াশুনা করে লাভ কি হলো। সে চাকরিতো না পড়েও পাওয়া যায়। তাছাড়া দেশের চাকরির বাজারটাও একটু দেখি। দেশে এত বেকার। সবার তো ফারাহর মতো কোটিপতি বাবা নেই। তাদের একটি চাকরি দরকার। তারা তা পাচ্ছে না। আর সে বাবার জোরে চাকরি পেয়ে যাবে তা হয় না।

এ নিয়ে সাদেক চৌধুরির সঙ্গে মানে ফারাহর বাবার প্রায়ই কথা কাটাকাটি হয়। আমি ও বেশ কয়েকবার তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এ বিষয়ে আলাপ তুললেই ফারাহ কথা ঘুরিয়ে ফেলে। বলে আমিতো ঘর সংসার আর বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে সারক্ষণ মেতে থাকতে চাই। আর তোমাকে নিয়ে সারাদিন ঘুরে বেড়াতে চাই। কিন্তু তুমি আমাকে একটুও সময় দিতে চাও না। বলতো গত এক মাসে তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে বেড়িয়েছ। আসলে তুমি একটা পাষাণ। তোমার মধ্যে ভালোবাসা টালোবাসা বলতে কিছু নেই।

এই বলে কিছুক্ষণ কাঁদবে। ও যখন কান্না করে আমি অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে তার কোমলতা দেখি। মনে হয় দুগ্ধপুষ্য কোনো শিশু মাকে না পেয়ে কাঁদছে। সে কান্নাটা এতই মধুর যে তারদিক থেকে চোখ ফেরানো যায় না। যার মধ্যে ছলনার বিন্দু মাত্র রেশ নেই। যা শুধু আবেগ আর ভালোবাসায় ভরপুর। কিছুক্ষণ পর আমি যখন তার মাথায় হাত রাখি, সে তখন একেবারে চুপসে যায়। মনে হয় ওর জীবনের সম্পূর্ণ নির্ভরতা যেন আমকে ঘিরে। আমার কাঁধে মাথা রেখে আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে। নিঃশব্দ নীরবতায় কেটে যায় আমাদের কিছু সময়।

অথচ এই ফারার সঙ্গে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বেশ নাটকীয়। যা মনে করে এখনও আমরা দুজনই বেশ মজা পাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া অবস্থা থেকেই আমি সাংবাদিকতা পেশায় জড়িয়ে পরি। চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ওপর একটা ফিচার লেখার দায়িত্ব পড়েছিল আমার ঘাড়ে।  

ঢাকার বাইরে প্রথম ট্যুর পেয়ে ভালোই লাগছে। চারদিনের ট্যুর। তাও আবার চট্টগ্রামে। লম্বা জার্নি। অনেকদিন হলো লং জার্নি করা হয় না। অফিস থেকে বলার পর না করলাম না। লুফে নিলাম। ঢাকাকে বাইরের লোকজন কেন এমন স্বর্গ ভাবে জানি না। সারাদেশের লোক ছুটছে ঢাকায়। আর ঢাকাবাসী সুযোগ পেলেই ছুটছে প্রকৃতির কাছে। একটু নীরবতা। একটু সবুজ। মুক্ত বাতাস। খোলা দিগন্তের দিকে তাকিয়ে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। কিন্তু একা যাব ভাল লাগবে কি? বুঝতে পারছি না। মিজানের বাড়ি চট্টগ্রামে। ওকে নিয়ে গেলে মন্দ হয় না। মিজানের তেমন কোনো কাজও নেই। বললে না করবে না। মিজানকে ফোনে বললাম-কোনো কাজ আছে, চার-পাঁচ দিন। মিজান জানাল সে যেতে পারবে। শুরু হলো আমাদের যাত্রা।

অনেকদিন পর ঢাকার বাইরে যাচ্ছি উৎসাহে দুইদিন আগে গিয়ে ট্রেনের টিকেট কেটে নিলাম। শুক্রবার যথারীতি আমরা মিলিত হলাম কমলাপুর রেল স্টেশনে। টিকেট অনুযায়ী আমরা সিটে গিয়ে বসলাম। এমন সময় আরও দুজন আমার সিটে বসতে পাশে এসে দাঁড়াল। কারণটা প্রথমে বুঝলাম না। একই সিট নম্বরে দুইজন যাত্রী থাকতে দেখেছি। কিন্তু তিনজনের সিট হলো কি করে। আশেপাশের সবাই এ নিয়ে কানাঘুষা শুরু করল। অবশেষে টিটি এসে টিকেট দেখতে চাইল। আমার টিকেট দেখে টিটি আমার মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে বলল আপনার ট্রেন আগামীকাল ছাড়বে। আমি বললাম, মানে! টিটি বললেন টিকেটে তারিখ দেখুন। ততক্ষণে ট্রেনে হাসাহাসি শুরু হয়ে গেল। আমি আর মিজান কোরোমতে ট্রেন থেকে নেমে এসেছিলাম। ভেবেছিলাম মিজান আমার ওপর রাগ করবে। কিন্তু ট্রেন থেকে নেমে হো হো করে হেসে উঠল। বলল অনিন্দ্য তোর তো মাথাই ঠিক নেই ফিচার কি লিখবি। আমি অবশ্য বেশ লজ্জা পেয়েছিলাম। মিজান সেটা বুঝতে পেরে বেশিক্ষণ ঠাট্টা করল না, আমার হাত থেকে টিকেট দুটো নিয়ে কাউন্টারের পাশে দাঁড়িয়ে বলল আমার কাছে আগামীকালের দুটি টিকেট আছে কারো লাগলে সেটা নিতে পারেন। ইতোমধ্যে কাউন্টারে টিকেট শেষ হয়ে গিয়েছিল। মিজান বলার সঙ্গে সঙ্গে দুজন ভারতীয় লোক কাছে এসে টিকেট দুটি কিনে নিতে কাউন্টারে দেখাল। কাউন্টার থেকে জানাল টিকেট ঠিক আছে। পরে তারা টিকেট দুটি কিনে নিল। 

মিজান বলল চল যাত্রা পথে বাধা পড়েছে। কাল যাই। আমি বললাম না। দেখ মিজান আমি কোনো বাধা টাধা বিশ্বাস করি না। আমি আজই যাব। পরে আমরা বাসে করে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা দিলাম। যাত্রার পুরো পথ মিজান আমাকে খেপিয়েছে।          

আমরা চট্টগ্রাম গিয়ে পৌঁছালাম রাত সাড়ে এগারটা। আমাদের হাতছাড়া ট্রেনটাও আমাদের সঙ্গে চট্টগ্রামে পৌঁছাল। মিজানকে বললাম চল কিছু খেয়ে একবারে স্টেশনে ঢুকি। আমরা স্টেশনে গেলাম রাত তখন সোয়া বারটা। স্টেশনে মানুষজন খুব একটা নেই। স্টেশনের ভিতরে এক পাশে একটা টিনেজার গ্রুপ বসে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম দলটি রাঙামাটি যাবে। সকালে ওদের যাত্রা সময়। রাতে স্টেশনে থেকে খরচ বাঁচাচ্ছে। অপর দিকে কয়েকজন দরিদ্র শ্রেণির লোক বসে আছে। আমরা তাদের ঠিক উল্টোপাশের চেয়ারে গিয়ে বসলাম। বিকেলের ধকলটা বারবার মনে হচ্ছিল। বলা যায় আমার বোকামিটা আমাকে তারা করছিল। আর আমার সাংবাদিকতার জীবনে ঢাকার বাইরে প্রথম অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাকে কীভাবে ভাল করা যায় তা নিয়ে ও ভাবনা হচ্ছিল।

হঠাৎ মিজান আমাকে আমাদের ঠিক উল্টোপাশে বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে দৃষ্টি দিতে বলল। মিজান চট্টগ্রামের ছেলে। এত রাতে একটি মেয়েকে রেল স্টেশনে একা বসে থাকতে দেখে তার সন্দেহ হলো। মিজান আমাকে বলল অনিন্দ্য দেখ তোর ফিচারের একটা আইটেম হতে পারে। আসলে আমার অ্যাসাইনমেন্টটা ছিল চোখের সামনের ঘটনাকে বর্ণনা করা। আর এত রাতে স্টেশনে একা কোনো মেয়েকে দেখে যে কেউই এর কারণ জানতে চাইবে। আমি মিজানকে বললাম চল আলাপ করে আসি। কাছে গিয়ে মিজান বলল, প্লিজ আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারি। মেয়েটি বলে উঠল জী, বলতে পারেন। আপনি তো জানতে চাইবেন আমি এত রাতে এখানে কি করছি। দেখুন এ পর্যন্ত আমি অন্তত গোটা দশেক লোককে এ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। মেয়েটি উত্তেজিত হয়ে গেল। আমি এখানে বসে আছি তাতে কী কারো শান্তি নস্ট হয়েছে। 

আমি বললাম, দেখুন আমি একজন সাংবাদিক। আমরা যা করছি তা আমাদের পেশার দায়িত্ব থেকেই করছি। তা ছাড়া আপনাকে দেখে ভদ্র ঘরের মেয়ে মনে হয়। এত রাতে এখানে বসে আছেন সুতরাং কৌতুহল তো থাকবেই। আপনি কথা বলতে চান না সেটা আলাদা কথা। এমন সময় স্টেশনের এক গার্ড এসে আমাদের উদ্দেশে বলল কি ভাই মেয়েটা একা বসে আছে ওকে বিরক্ত করছেন কেন। গার্ডের পিছনে তিন চার জন চেংরা ছেলে। মিজান এগিয়ে গিয়ে চাটগাঁয়ের ভাষায় আমাদের পরিচয় দিল। গার্ড তখন নরম সুরে বলল আগে বলবেন তো। আমিতো ভাবছি মেয়েটাকে একা পেয়ে বিরক্ত করছেন। আমি আর কথা বাড়ালাম না মিজানকে বললাম চল এখানে দাঁড়িয়ে থেকে সময় নস্ট না করে স্টেশনটা ঘুরে দেখি। 

 

(চলবে)

 

Header Ad

টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই

বজ্রপাতে নিহত দুই ভাই। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মাঠে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা রংপুর জেলার উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তারা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো। শনিবার (১৮ মে) ভোরে বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ী গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে তারা ৬ জন শ্রমিক ধান কাটছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমীরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়।

বীরবাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরো চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালিহাতী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাজীব জানান, আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহাদাত হুসাইন জানান, ওই দুই শ্রমিকের মৃত্যুর খবর জেনেছি। তাদের আর্থিক সহযোগিতা করাসহ মরদেহ স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়

লিওনেল মেসি এবং সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিন। ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির সঙ্গে বার্সেলোনার প্রথম চুক্তি হয়েছিল যে ন্যাপকিন পেপারে, সেটা অবশেষে বিক্রি হলো নিলামে। ধারণা করা হয়েছিল এর দাম ৬ উঠতে পারে লাখ ৩৫ হাজার ডলার পর্যন্ত।

তবে বিক্রির বেলায় দেখা গেল প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। শুক্রবার ন্যাপকিন পেপারটি নিলামে ৯ লাখ ৬৫ হাজার ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি ২৯ লাখ টাকা) বিক্রি হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার।

লিওনেল মেসি এবং সেই ঐতিহাসিক ন্যাপকিন। ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ নিলাম হাউস বোনহামসে নিলাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিলামে ন্যাপকিন পেপারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৩ লাখ ডলার। ধারণা চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হয়েছে এই নেপকিন পেপারটি।

আর্জেন্টাইন এজেন্ট হোরাশিও গ্যাগিওলি প্রথমে মেসির নাম সুপারিশ করেছিলেন। তার উপস্থিতিতে ন্যাপকিন পেপারে এই চুক্তি সম্পন্ন হয়। বোনহামস জানিয়েছে, ন্যাপকিন পেপারটি গ্যাগিওলির কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি নিলামে যে দামে বিক্রি হয়েছে, সেখান থেকে একটি অংশ অনলাইন নিলামের প্রশাসনিক ফি হিসেবে দিতে হবে—এটি ‘ক্রেতার প্রিমিয়াম’।

লিওনেল মেসি। ছবি: সংগৃহীত

ঐতিহাসিক সেই ন্যাপকিন পেপার। বার্সার সঙ্গে মেসির প্রথম চুক্তিপত্র হিসেবে এই ন্যাপকিন পেপারকে বিবেচনা করা হয়।

১৩ বছর বয়সী মেসি এই ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে ট্রায়ালের জন্য পরিবারের সঙ্গে বার্সেলোনায় যান মেসি। সঙ্গে ছিলেন দুই আর্জেন্টাইন প্রতিনিধি ফাবিয়ান সোলদিনি ও মার্তিন মনতেরো এবং গাজ্জোলি। ট্রায়ালে সবাইকে চমকে দেন মেসি। তাই চুক্তির আশা নিয়ে রোসারিওতে ফেরে তার পরিবার।

সেই সময়ের বার্সেলোনা সভাপতি হুয়ান গাসপার্ত অবশ্য হরমোনজনিত সমস্যায় ভোগা ১৩ বছর বয়সী একটি ছেলের সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ মনে করেছিলেন। তাকে রাজি করানোর জন্য বার্সেলোনার তখনকার টেকনিক্যাল সেক্রেটারি কার্লো রেক্সাসকে চাপ দেন গাজ্জোলি ও মিনগেলা। শেষ পর্যন্ত চুক্তির কথা লেখা হয়েছিল ওই ন্যাপকিন পেপারে।

এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

কারওয়ান বাজারে একটি হোটেলের পঞ্চম তলায় আগুন লাগার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার রাজধানীর ধোলাইখাল এলাকায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের শাখায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে।

আজ (শনিবার) সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, ধোলাইখালে একটি চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ জানা যায়নি‌। এছাড়া আগুনে হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই
মেসি-বার্সা চুক্তির সেই ন্যাপকিন বিক্রি হলো ১১ কোটি টাকায়
এবার রাজধানীর ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন
কারওয়ান বাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি-বাতাসে রাজধানীতে স্বস্তি
সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে প্রাণ গেল দুই শ্রমিকের, আহত ১১
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
ভাঙা হাত নিয়েই ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ মাতালেন ঐশ্বরিয়া
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়-শিলাবৃষ্টির আভাস, কমবে তাপপ্রবাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: আ.লীগ নেতাকে জরিমানা, ৭ ডেগ খিচুড়ি জব্দ
সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু