শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ২

অস্ফুট ভালোবাসা

স্টেশনে তখনো অনেক মানুষ। এরা সবাই ভাসমান। তবে ঢাকার চেয়ে কম। স্টেশনের এক পাশে একটা চায়ের দোকানে তখনো অনেক লোকের আনাগোনা। পুলিশ স্টেশনের গার্ড আর ভাসমানদের কয়েক জন। আমরা এগিয়ে গেলাম চা খেতে। সবাই আমাদের দিকে ফিরে তাকাচ্ছে। একজন জানতে চাইল কোথায় যাবেন? আমি বললাম যাব না কোথাও এখানেই এসেছি। কি বেড়াতে? অনেকটা তাই। লোকটার নাম কাশেম। চা খেতে খেতে পরিচয় হলো। তার বাড়ি কুমিল্লা। বাড়িতে দলাদলি তাই চট্টগ্রাম চলে এসেছে। দিনে ফুটপাতে বসে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করেন। আমি তার কাছে জানতে চাইলাম ঢাকায় গেলেন না কেন? সবাইতো কাজের খোঁজে ঢাকায় ছুটে। লোকটা সাবলীল গলায় বলে দিল ঢাকায় এত মাইনসের ভিড়! যাইতে ইচ্ছা করে না। আর সবাই যদি ঢাকায় যাইতে চায় তয় অন্য এলাকায় থাকব কে?  আমি ভাই বেশি টাকা পয়সা চাই না। কোনো রকম ডাইল ভাত খাইয়া দিন পার করতে পারলেই অয়। স্টেশনের পাশেই কাশেমের বাসা। সারা দিন কাজ শেষে অনেক রাত পর্যন্ত এখানে বসে থাকে গল্প সল্প করে।
 
রাত গভীর হচ্ছে। স্টেশনে লোকজনও কমে আসছে। ঘণ্টাখানেক পর আমরা আবার স্টেশনের ভিতর ঢুকলাম। তখনও মেয়েটা ওই চেয়ারেই বসে আছে। আমরা চেয়ারে বসার কিছুক্ষণ পরে মেয়েটি মিজানকে ডাকল। মিজানও উঠে গেল। মিজানের ওপর আমার খুব রাগ হচ্ছিল। যে মেয়ে রাত বিরাতে একা স্টেশনে কাটায় সে বিপদের কথা জেনেই কাটায়। তারপরও নেহাত কৌতুহল থেকেই তার কাছে জানতে গিয়েছিলাম। স্টেশনে রাত কাটানোর উদ্দেশ্য কী? আর সে কিনা উল্টো ঝারি মারে।
প্রায় পাঁচ সাত মিনিট পর মেয়েটি আর মিজান আমার দিকে এগিয়ে এলো। মিজানই আমাকে মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। ওর নাম স্মিতা। গুলশান বাসা। বাবার
সঙ্গে রাগ করে এখানে চলে এসেছে। মেয়েটি আমার দিকে চুইংগাম এগিয়ে দিয়ে বলল আমার ব্যবহারের জন্য আমি দুঃখিত। কিছু মনে করবেন না। আসলে আমি স্টেশনে আসার পর থেকে একেক বার একেক জন এসে যেচে কথা বলতে চাইছে। এ কারণে আপনাদের সঙ্গে এভাবে কথা বলেছি। তবে এখন একটু ভয় হচ্ছে। একটা অপরিচিত জায়গায় আমার এভাবে আসা উচিত হয়নি। আমি বললাম বুঝতে যখন পেরেছেন তখন এক জায়গায় চুপ করে বসে থাকুন। আমরা সারা রাত এখানে আছি। কিছু প্রয়োজন হলে বলবেন।

স্মিতা বলল। আমার ওপর থেকে এখনো নিশ্চয়ই রাগ সরছে না। ঠিক আছে আপনি আগে রাগ কমান তবেই আমি আপনার সঙ্গে কথা বলব। এ বলে স্মিতা আবার তার জায়গায় গিয়ে বসে পড়ল।

শীতের রাত স্টেশনের ভিতরে তেমন বোঝা যায় না। তবে বাইরে বেশ ঠান্ডা। আমি মিজানকে বললাম তুই ভেতরে থাক। আমি বাইরে ঘুরে আসি। মিজান বলল না চল আমিও যাই একা বসে থাকতে ভালো লাগবে না। ভালো লাগবে বন্ধু ভালো লাগার পথ্য এখানে আছে। তা ছাড়া শীতে কষ্ট আমি একাই করি যেহেতু কাজটা আমার।

চট্টগ্রাম স্টেশনের প্লাটফর্মটি বেশ বড়। এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম। নতুন স্টেশনের সঙ্গে পুরাতন স্টেশনের সংযোগ করে এ প্লাটফম তৈরি করা হয়েছে। আমি প্লাটফর্ম ধরে হাটছিলাম। রাত প্রায় দেড়টা। এখনো চায়ের দোকানগুলোতে লোকের ভিড় আছে। পুরাতন স্টেশনে গিয়ে বিডিআরের একটা টিম পেলাম। তারা স্টেশনের পাশে রান্নার আয়োজন করছে। এক জন সদস্যের কাছে কথা হলো। রাঙামাটিতে একটা ট্রেনিং শেষে সকালের ট্রেনে ঢাকা যাবে। আমার পরিচয় পেয়ে আমার সঙ্গে বেশ আলাপ জমালো। আমাকে তাদের রান্না করা খাবার খেতে অফার করল। আমি না করলেও তারা আমাকে ছাড়তে চাচ্ছিল না। পরে অনেক বলে কয়ে তাদের হাত থেকে ছুটলাম। আসলে প্রায় ঘণ্টা দেড় তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ হয়েছিল। তাই তাদের সঙ্গে একটা সাময়িক বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল।

ডিসেম্বর মাসের শীত। সবকিছু যেন জমিয়ে ফেলে। একটা চায়ের দোকানে গিয়ে চা চাইলাম। পাশের বেঞ্চিতে একটা লোক বসে আছে। মনে হলো স্টেশনের আশপাশের লোক। চা খেতে থেতে সামনে থেমে থাকা ট্রেনের দিকে চোখ পড়ল। সাধারনত প্লাট ফর্মে রাতে ট্রেন দাড়িয়ে থাকার নিয়ম নেই। কিন্তু নিয়ম ভাঙাই যেন আমাদের কাজ। কেউই নিয়ম মাফিক চলতে চায়না। ওই দিকটা একটু অন্ধকারও। এমন সময় চোখে পড়ল দুইজন তরুণী ট্রেনে উঠছে। আমার কৌতুহল জাগল। পাশের লোকটিকে জিজ্ঞেস করলাম থেমে থাকা ট্রেনে কারা থাকে। লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে মুখ ফিরায় ট্রেনটির দিকে। বলে, ‘ওহানে হেতিরা হেগো বেডাগো লগে হুইত্তা থাকে’। আমি অবশ্য ভেবে ছিলাম শীত থেকে বাঁচাতে এ ব্যবস্থা। কিন্তু এখন দেখি তা না। আসলে এরা একটু বেশি ভাসমান। রাতে কোথায় কাত হতে হবে তা নিয়ে ভাবতে হয় না।

প্লাটফর্ম ছেড়ে স্টেশনের ভেতরে ঢুকে দেখি মিজান স্মিতার সঙ্গে বেশ আলাপ জমিয়ে ফেলেছে। আমাকে দেখে স্মিতা উঠে আবার তার আগের চেয়ারটায় গিয়ে বসল। আমিও মিজানকে জেঁকে ধরলাম।

-ভালোইতো মেয়েটাকে একা পেয়ে আলাপ জমিয়ে ফেলেছ।
-না। পারলাম কৈ? আসলে তার কাছ থেকে জানতে চাচ্ছিলাম কোথায় যাবে। এই আরকি।
-তো কি বলল। ওতো বলে আমরা যে কদিন এখানে থাকব এ কদিন সে আমাদের
সঙ্গে ঘুরবে। তারপর ঢাকায় ফিরে যাবে।
-তো তুই কি রাজি হয়েছিস।
-না। আমি তোর কথা বললাম। তুই রাজি থাকলে আমার কোন আপত্তি নেই। আর মেয়েটা আবেগের বশে এত দূর চলে এসেছে। তাকে সেল্টার দেওয়াতো আমাদের দায়িত্ব তাই না।
-দায়িত্ব। তবে সঙ্গে নিয়ে ঘুরানা। মেয়েটি সারারাত এখানে থাকবে আমরা দূর থেকে পাহারা দেব। কোনো সমস্যা হলে এগিয়ে আসব। আমি গার্ডকে বলে দিয়েছি যেন খেয়াল রাখে।
-সে না হয় বুঝলাম। সঙ্গে রাখলে সমস্যা কোথায়?
-দেখ মিজান। মেয়েটাকে আমরা চিনি না। সে যে আমাদের সঙ্গে সত্য কথা বলছে তার কি নিশ্চয়তা আছে?
-ওর নাকি ক্ষুধা পেয়েছে কিছু খেতে চাচ্ছে। সঙ্গে নাকি কোনো টাকা পয়সা নেই ।
-ওরে বাবা। তুই দেখি সিনেমা বানিয়ে ফেলেছিস। নায়িকার এখন ক্ষুধা লেগেছে। খাওয়া শেষে গায়ের ওপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। সকাল হলে বাড়ি নিয়ে যাবি। তার পর পতেঙ্গা সি-বিচে হাবুডুবু। মিজান রীতিমত আমাকে মেরেই ফেলে। ঠিক আছে চল কিছু খাবারের ব্যবস্থা করি। আমারও ক্ষিদে পেয়েছে।
গার্ডকে বলে আমরা বাইরে বেরোলাম। স্টেশনের উল্টোপাশের হোটেল থেকে খেয়ে স্মিতার জন্য শুকনা কিছু খাবার নিয়ে এলাম। মিজানকে এগিয়ে দিলাম খাবার দিতে। স্মিতা মিজানের উপর ভালই আস্থা অর্জন করল। আর এ কারণে বাড়ি থেকে পালানোর কারণটা মিজানকে জানাল।

স্মিতার মা নেই। মা মারা যাবার পর তার বাবা আবার বিয়ে করেছে। ইন্টারমিডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারের পড়ে। তার বাবা তার অমতে এক ব্যবসায়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে চায়। পছন্দটা তার সৎ মায়ের। কিন্তু সে বিয়েতে রাজিনা। তাই বাসার কাউকে না বলে এখানে চলে এসেছে। সে আর ফিরে যেতে চায় না। যদি কোথাও একটা কাজের ব্যবস্থা করতে পারে তবে এখানেই থেকে যাবে। এখানকার আড়ং এ নাকি তার পরিচিত কে আছে। সকালে তার কাছে যাবে।

প্লাটফর্মে হাঁটতে হাঁটতে মিজান আমাকে কথাগুলো জানালো। মিজান তার কথায় কিছুটা বিগলিত হয়ে পড়েছে। আমি মিজানকে লক্ষ্য করলাম। মিজান চাচ্ছে স্মিতা আমাদের সঙ্গে থাকুক। সকালে ওর ব্যবস্থা করে দিয়ে পরে আমাদের কাজ করি। আমি মিজানকে বুঝাতে চেষ্টা করলাম আমার জন্য এই অ্যাসাইনমেন্টটা অনেক বড়। এখন মেয়েটিকে সেল্টার দিতে গিয়ে কাজের অবহেলা করা যাবে না। তবে মেয়েটার দিকে লক্ষ্য রাখব। সে যেন কোনো সমস্যায় না পড়ে।

ইতোমধ্যে সকাল হয়ে গেল। স্টেশন কর্মচাঞ্চল্য হয়ে উঠলো। আমিও আরও ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। ফলে স্টেশনের ভেতর ঢুকতে প্রায় সাতটা বেজে গেল। গিয়ে দেখি স্মিতা নেই আমরা দুজনই পুরো স্টেশন খুঁজলাম। কোথাও নেই। ইতোমধ্যে গার্ড পরিবর্তন হয়ে গেছে। ফলে কার কাছে জিজ্ঞেস করব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ মিজান রাতের গার্ডকে দেখে তার কাছে ছুটে গেল। আমিও গেলাম। গার্ড আমাদের জানাল আমরা যখন প্লাটফর্মে ছিলাম তখন অনেকক্ষণ প্লাটফর্মের দিকে তাকিয়ে একা একা কাঁদছিল। পরে ম্যানেজার সাহেব দেখে তার কামরায় নিয়ে যেতে দেখেছে। এরপর কই গেছে আমি জানি না। ও ম্যানেজারের কাছে আপনাদের কথা বলছে। যে সারারাত দুই সাংবাদিক আমারে পাহাড়া দিছে।

আমরা ম্যানেজারের কামরায় গিয়ে তাকে পাইনি। শুনলাম তিনি বাসায় গেছেন। পরে আসবে। মেয়েটির বিষয়ে টিকেট কাউন্টার থেকে জানাল ম্যানেজার সাহেব মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে গেছে। ওর বাসায় খবর দেওয়া হয়েছে। ওর বাবা আসছেন তাকে নিতে। খবরটা শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম যে মেয়েটি বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা আবার আমাদের কাজে ফিরে গেলাম। সন্ধ্যার দিকে মিজান আমাকে বলল অনিন্দ চল স্মিতা বাড়ি ফিরল কি না খোঁজ নিয়ে আসি। আমরা স্টেশনে গিয়ে ম্যানেজার সাহেবকে পেলাম। আমাদের পরিচয় দিতেই ম্যানেজার সাহেব বলে উঠল ও তাহলে আপনারাই কাল সারা রাত ঐ মেয়েটাকে পাহাড়ায় রেখে ছিলেন। ওর বাবা আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এতক্ষণ বসে ছিল। ঘণ্টা খানেক আগে ঢাকায় ফিরে গেছে। ম্যনেজারের কাছ থেকে স্মিতার বাড়ি ফেরার খবরটা আমাদের আনন্দ দিলেও একট বিষয়ে আমরা দু জনই বেশ নাখোশ হলাম। তা হলো মেয়েটি আমাদের কাছে তার লুকিয়েছে। ম্যানেজারকে সে বলেছে আসলে ওর নাম ফারাহ।

ঢাকায় ফিরে অফিসে ফারাহর গল্প করেছিলাম। সবাই বেশ মজা পেয়ে ছিল। কিছু দিন পর একদিন অফিসে ঢুকতেই রিসিপশন থেকে আমাকে বলল একটা মেয়ে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে। আপনার বাসার নম্বর দিয়ে দিয়েছি। বলেছে রাতে বাসায় ফোন করবে। আমি বুঝতে পারলাম ফোনটা ফারাহ করেছে। কারণ চট্টগ্রাম স্টেশনের উপর রিপোর্টটা গতকাল ছাপা হয়েছে। যেখানে ফারাহর কথাও আছে।

রাতে ফারাহ বাসায় ফোন করল। আমাকে লেখাটার জন্য ধন্যবাদ জানাল। এরপর মাঝে মধ্যে কথা হতো। কথা বলতে বলতে এক সময় ওর প্রতি আমার দুর্বলতা জাগে। ব্যাস শুরু প্রেম।

 

(চলবে..)

 

আরও পড়ুন:

ধারাবাহিক গল্প: পর্ব- ১

 

Header Ad

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রী মারা গেছেন। এটিই এবারের হজে প্রথম কোন বাংলাদেশির মৃত্যু। বুধবার (১৫ মে) কিং সালমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত ৩টার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর গত রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

সবশেষ হিসাবে যত হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ২৩ হাজার ৩৬৪ জন। এখন পর্যন্ত সৌদি আরব যাওয়ার হজফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে ৬৮টি।

এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার একজন হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সে হিসাবে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

এবার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজ করতে যাবেন।

যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা

হাতুড়িপেটায় আহত দুই বোন। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার চাটমোহরে যমজ দুই বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহতদের চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরে উথুলি খামারপাড়া মহল্লায় ওই ঘটনা ঘটে।

আহত দুই বোন মিম (২০) ও লাম (২০) চাটমোহর পৌরসভার আরাজি উথুলী খামারপাড়া মহল্লার রেজাউল করিম রিজুর যমজ মেয়ে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ ইয়ামান পায়েল (২২)। তিনি চাটমোহর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি।

এ ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত দুই বোনের বাবা রেজাউল করিম রিজু। লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, বাড়ির পাশে কদম গাছের ডাল কাটছিলেন ছাত্রলীগ নেতা পায়েল। এ সময় প্রতিবেশী রেজাউল করিমের মেয়ে লাম তাকে গিয়ে বলেন গাছ কাটার সময় তাদের কলা গাছ যেন নষ্ট না হয়।

এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা পায়েল হাতুড়ি দিয়ে লামকে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় তার যমজ বোন মিম এগিয়ে এলে তাকেও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়। পায়েল ও তার বাবা-মা মিলি যমজ দুই বোনকে বেধড়ক মারধর করে।

পরে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দুই বোনের পরিবারের লোকজন গিয়ে এলাকাবাসীর সহায়তায় তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ বিষয়ে চাটমোহর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন আহত দুই বোনের বাবা।

অভিযুক্ত চাটমোর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আলিফ ইয়ামান পায়েল বলেন, আমার মায়ের সঙ্গে ওরা দুই বোন মারামারি করছিল। আমি সেখানে ঠেকাতে গিয়েছিলাম, তাদেরকে মারিনি। আমাকে ফাঁসানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ করা হয়েছে।

চাটমোহর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় কাজ। সন্ত্রাসীমূলক কর্মকাণ্ডের জায়গা ছাত্রলীগে নেই। যদি সে দোষী সাব্যস্ত হয়, আমি তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানাই। যেহেতু ছাত্রলীগের কমিটি জেলা ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে। সে কারণে জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়টি দেখবে।

চাটনোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, বিষয়টি এখনো আমি জানি না। যদি এমন ঘটনা ঘটে থাকে এবং আমরা তদন্ত করে সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি

বাংলাদেশ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রায় ৩০টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানও তাদের সঙ্গে যাচ্ছেন। অফশোর ব্যাংকিং হিসাবের আওতায় প্রবাসীরা যাতে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে ডলার জমা রাখতে উদ্বুদ্ধ হন, সে জন্য আয়োজিত নানা প্রচারণায় অংশ নেবেন তারা। পাশাপাশি অর্থ পাচার প্রতিরোধসংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানেও তাদের যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ মে নিউইয়র্কে একটি হোটেলে অফশোর ব্যাংকিং বিষয়ে প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানের খরচ বহন করবে ব্যাংকগুলো। যেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।

অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান, নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হুদা। বক্তব্য দেবেন- অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মুরশেদুল কবীর, ব্র্যাক ব্যাংকের এমডি সেলিম আর এফ হোসেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডি আবুল কাশেম মো. শিরিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি সোহেল আর কে হুসেইন, সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন।

পাশাপাশি একই সময়ে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের আয়োজনে আন্তর্জাতিক ব্যাংক সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আরও ২৫ জন এমডি। জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এসব ব্যাংক এমডির বিদেশ যাওয়া–সংক্রান্ত নথি অনুমোদন করেছে।

এদিকে দেশের ডলার–সংকটের এ সময়ে ব্যাংক খাতে ডলারের জোগান বাড়াতে বিভিন্ন ব্যাংক অফশোর ব্যাংকিংকে বিশেষ জোর দিয়েছে। এ জন্য নানা ধরনের প্রচার–প্রচারণাও চালাচ্ছে ব্যাংকগুলো। তারই অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী বাংলাদেশিদের অফশোর ব্যাংকিংয়ের আওতায় ডলার জমায় উদ্বুব্ধ করতে দেশটিতে প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদিতে চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
যমজ ২ বোনকে হাতুড়ি দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
কেএনএফের নারী শাখার সমন্বয়ক আকিম বম গ্রেপ্তার
সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা : ওবায়দুল কাদের
দুধ দিয়ে গোসল করানো হলো মুক্ত নাবিক সাব্বিরকে, পরিবারে বইছে খুশির জোয়ার
ট্যুরিস্ট ভিসায় ৩ দিন ভারত ভ্রমণ করতে পারবেন না বাংলাদেশীরা
গোবিন্দগঞ্জে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিরূপ প্রভাব ঠেকাতে আসছে আইন : তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
টেনিসের জন্য এই মুহূর্তে এটাই সবচেয়ে ভালো অনুভূতি : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
গাজায় ইসরায়েলের হামলা হামাসের জন্যই: মাহমুদ আব্বাস
নুসরাত ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম নিয়ে মুখ খুললেন জায়েদ খান
২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক ব্রাজিল
স্বর্ণ পাচারের ‘গোল্ডেন রুটে’ পরিণত হচ্ছে খুলনা
বিএনপির সময় ঋণখেলাপির তালিকা সবচেয়ে বড় ছিল : আইনমন্ত্রী
বাংলাদেশিরা মাত্র ১ দিনেই পাবেন ভারতের ভিসা!
গুগল অ্যাস্ট্রা : হারানো জিনিস খুঁজে পাবেন নিমিষেই
লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজার, দিশেহারা ক্রেতারা