রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ | ২ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে’

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক। ছবি: সংগৃহীত

চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে ডয়চে ভেলের রিপোর্ট প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসেছে জাতিসংঘ। বুধবার (২২ মে) নিয়মিত ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘ বলেছে তাদের অবস্থান খুব স্পষ্ট। শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা যেন সততা এবং দক্ষতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয় তা নিশ্চিতে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডোজাররিক বলেছেন, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিশন থেকে বাদ দেয়া হবে।

ব্রিফিংয়ে ডয়েচে ভেলের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে একজন সাংবাদিক জানতে চান- ডয়চে ভেলের সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক অনুসন্ধানী রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত অসংখ্য কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো হয়েছে। কোনো ক্ষেত্রে পুরস্কার স্বরূপ এদের অনেককে পাঠায় সরকার। জাতিসংঘ মহাসচিব কী এ বিষয়ে অবগত?

জবাবে ডোজাররিক বলেন- হ্যাঁ। ডয়চে ভেলের ডকুমেন্টারি আমরা দেখেছি। আপনি হয়তো জানেন যে, শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সহকর্মীরা এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা রিপোর্ট নিয়ে (খবর প্রকাশকারী মিডিয়াকে) জাতিসংঘের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন- আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেনো দক্ষতা এবং সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করা হয় সে বিষয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির মধ্যে আরও রয়েছে, মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা এবং প্রতিশ্রুতি, জাতিসংঘের মানবাধিকার যাচাই পদ্ধতির অধীনে শান্তিরক্ষী নিয়োগে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ নিয়ম এবং কৌশল মেনে চলা।

এরপর একই বিষয়ে ওই সাংবাদিক জানতে চান- শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা নিয়োগের সময় স্বাগতিক দেশগুলো যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছে। কিন্তু যে দেশ শান্তিরক্ষা মিশনে লোক পাঠাবে সে দেশের সরকার যদি নিজেই চরম পর্যায়ের মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয় তাহলে এ বাছাই প্রক্রিয়া কীভাবে স্বচ্ছ হবে?

জবাবে মুখপাত্র ডোজাররিক বলেন- আমরা বাছাই প্রক্রিয়া তিন ধাপে সম্পন্ন করি। প্রথম পর্যায়ে বাছাই হয় ব্যক্তিগত মানদণ্ডে, পরের ধাপে বাছাই কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে। তিনি বলেন- আপনাকে বলবো, বিগত বছরগুলোতে আমরা দেখেছি, খুব অল্প সংখ্যক দেশ থেকে শান্তিরক্ষীদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। যখনি এ ধরনের ঘটনা ঘটে তখনি আমাদের শান্তিরক্ষা মিশনের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই নীতি, কর্ম কৌশল অনুসারে শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকেন। এধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া জড়িত কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে সরিয়ে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২১ মে "মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা যখন জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী" শিরোনামে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা নির্যাতন ও হত্যার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠিয়েছে।”

Header Ad

সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ : খাদ্যমন্ত্রী

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, গণমানুষের মুক্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে। বায়ান্ন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (১৫ জুন) বিকালে নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। এ দলের জন্মকাল থেকে শুরু করে এই ৭৫ বছরের অর্জন সেই সত্যের সাক্ষ্য বহন করে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে পঞ্চম বারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।

তিনি আরো বলেন, তরুণ প্রজন্মকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্পর্কে জানাতে হবে। সেজন্য তরুণ ও শিশু কিশোরদের কাছে বাংলাদেশের জন্মের ইতিহাস, গৌরবোজ্জ্বল বর্তমান বিশেষ করে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বছর ব্যাপী নওগাঁর জেলা সদরসহ ১১ উপজেলায় যথাযথ মর্যাদায় বর্নিল আয়োজনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জুবলির আনন্দ শোভাযাত্রা, তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা, রচনা প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি এবং আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।

নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক এর সভাপতিত্বে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো: শহীদুজ্জামান সরকার,নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল, নওগাঁ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্রোহানি সুলতান গামা, নওগাঁ ৬ আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট ওমর ফারুক সুমন, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এম এ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, বিভাস মজুমদার গোপাল সভায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় জেলা আওয়ামী লীগের ৪ জন সদস্যের মৃত্যুর জন্য শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এসময় জেলা কমিটির সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। 

উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন যে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেটাই এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে সংগঠিত এই দলের নেতৃত্বে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

সারাদিনের ভোগান্তির পর উত্তরের ঈদযাত্রায় ফিরেছে স্বস্তি

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র একদিন। ঈদের ছুটি পেয়েই নাড়ির টানে কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদের ছুটির আগে থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত পরিবহনের চাপ ছিল। এতে মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কখনো কখনো ছিল ভোগান্তি, দুর্ভোগ ও ধীরগতির যানবাহন চলাচল।

গত শুক্রবার রাত থেকে আজ ঈদের ছুটির তৃতীয় দিন শনিবার (১৫ জুন) দুপুর প্রায় ২ টা পর্যন্ত ওই ১৪ কিলোমিটার বা তারও বেশি এলাকাজুড়ে কখনো কখনো যানজট, দীর্ঘসারি ও ধীরগতির চলাচল ছিল দূরপাল্লার যানবাহনের। দুপুরের পর ধীরে ধীরে পুরোপুরি স্বাভাবিক গতিতেই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরবঙ্গগামী দূরপাল্লার গণপরিবহন ছুটছে। এনিয়ে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

সরেজমিনে বিকাল থেকে রাত ৭টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজা এলাকার গোল চত্বর এলাকাঘুরে দেখা যায়, উত্তরবঙ্গমুখী দূরপাল্লার সকল পরিবহন স্বাভাবিক গতিতে চলছে। যানজট নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল বেশি লক্ষ্য করা যায়। তবে, ভূঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কের এছাড়া ঢাকামুখী পরিবহন চলাচলে পথে পথে রয়েছে ভোগান্তি। খোলা ট্রাক ও পিকআপ যোগে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ।

রংপুরের পাগলাপীড় এলাকার হোসাইন খান, শামীম মিয়া, শায়লা বেগম ও রওশন খাতুন। তারা সাভারের একটি পোশাক কারখানা চাকরি করেন। এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্তি প্রকাশ করে বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পূর্ব গোল চত্বর পর্যন্ত যানজট নেই। দ্রুত গতিতেই চলছে গাড়ি। ঝুঁকি খোলা ট্রাকে বাড়ি ফেরার বিষয়ে বলেন, বাসের টিকেটের অতিরিক্ত দাম, তাছাড়া দূরের বাস কম। তাই বাধ্য হয়ে খোলা ট্রাকেই ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছি।

নীলফামারীর সৈয়দপুরগামী রয়েল এক্সপ্রেস পরিবহনের হেলপার জাহিদ হোসেন, কুড়িগ্রামগামী আর.কে.আর ট্রাভেলের চালক রায়হান মিয়া ও রাজশাহীগামী বরেন্দ্র ট্রাস এসি বাসের চালক মহির উদ্দিন জানান, ভাবছিলাম এলেঙ্গা থেকে সেতৃ পূর্ব পর্যন্ত যানজটে পড়তে হবে। কিন্তু এলেঙ্গা এসে দেখি মহাসড়কের চিত্র ভিন্ন রকম। সড়কে যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতে গাড়ি চালাচ্ছি।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ও মাঝেমধ্যে টোল আদায় বন্ধের কারণে শনিবার সকাল পর্যন্ত দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ বেড়েছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে স্বাভাবিক গতিতেই দূরপাল্লার সকল গণপরিবহন চলাচল করছে। এছাড়া মহাসড়কে যানজট নিরলস পুলিশ সদস্যরা সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।

 

আর্থিক সংকটে কাঙ্খিত বেচা-কেনা হয়নি চুয়াডাঙ্গার পশুহাট গুলোতে

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

কোরবানী ঈদে এবার আর্থিক সংকটে কাঙ্খিত বেচা-কেনা হয়নি চুয়াডাঙ্গা জেলার পশুহাট গুলোতে। ক্রেতা বিক্রেতার পদচারণায় চুয়াডাঙ্গা জেলার পশু হাট গুলো মুখরিত ছিল। প্রত্যেকটি হাটে যথেষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগম দেখা গেছে। তবে  বিক্রির জন্য কোরবানী পশু আনা হলেও সেগুলো সব বিক্রি হয়নি। অতিরিক্ত দাম চাওয়ার কারনে আর্থিক সঙ্কটে থাকা ক্রেতারা পশু কিনতে না পেরে ফিরে গেছেন অনেকেই।

তাছাড়া অসহ্য তাপমাত্রা ও ভ্যাপসা গরমে হাটে যাওয়া থেকে বিরত ছিল অনেক ক্রেতা। তারা ছোট ছোট গ্রাম্য খামারীদের কাছ থেকে তাদের পছন্দের পশু কিনতে বেশী আগ্রহী ছিল। এখনও শহরের পথে পথে বিক্রি হচ্ছে খাসী ছাগল। সেখান থেকে দরদাম করে অনেকে খাসী ছাগল কিনছে।

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী পশুহাট দামুড়হুদা উপজেলার ডুগডুগী, জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারী, আলমডাঙ্গা উপজেলার পৌর পশুহাট (এটি ঢাকার গাবতলী পশুহাটের পরের স্থানে) ও সদর উপজেলার ভুলটিয়া পশুহাটে বিক্রির জন্য গরু, ছাগল, মোষ ও ভেড়া পালনকারীরা সেগুলো নিয়ে গেলেও অতিরিক্ত দাম চাওয়ায় অনেক পশু বিক্রি হচ্ছেনা। সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছে গরু মোটাতাজাকরণ খামারীরা। মোটা গরুর চাহিদা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ক্রেতারা। সে কারনে এবার অধিক লোকসানের সম্মোখীন হতে হবে ওই সকল খামারীদের। এছাড়া পশু বিক্রেতারা খেয়ালখুশি মত তাদের পালিত পশুর দাম চাওয়ায় ক্রেতারা বিরক্ত হয়ে পশু না কিনে হাট থেকে ফিরে যাচ্ছে।অপরিকল্পিতভাবে বে-হিসেবী খরচ করে নিজেদের খেয়ালখুশি মত দাম চাওয়ায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্রেতারা।

হাট ঘুরে দেখা গেছে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকারী ও খুচরা ক্রেতারা ট্রাক বোঝায় করে পশু কিনে নিয়ে যাচ্ছে।  তীব্র গরমের মধ্যে বিক্রেতারা গরু নিয়ে দাঁড়িয়ে থেকে ক্রেতাদের সঙ্গে দরকষাকষি করছে। স্থানীয় খামারী ও বিক্রেতারা অল্প লাভে গরু বিক্রি করে দিচ্ছে। দেশী মাঝারি গড়নের গরু গুলোর চাহিদা বেশী দেখা গেছে। গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম কিছুটা বেশী। ক্রেতারা বলছে, তাদের বাজেট ছাড়া ১০-২০ হাজার টাকা বেশী দিয়ে গরু কিনতে হচ্ছে। এদিকে বিক্রেতারা বলছে, গরু লালনপালন করার খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা বেশী চাওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী রহিম মিয়া বলেন, বিভিন্ন গ্রাম থেকে তিনি ৮টি গরু কিনেছে। ৫টি গরু ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়েছে। সীমিত লাভে বাকী গরু গুলো বিক্রি করে দেবে।

গরু ব্যবসায়ী আলী ব্যাপারী বলেন, ৫টি গরু নিয়ে সকাল থেকে তিনি শিয়ালমারী হাটে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সুবিধামত দাম না পাওয়ার কারনে একটি গরুও তিনি বিক্রি করতে পারেনি। বড় ব্যাপারীরা গরু কিনে নিয়ে আগেই ঢাকায় চলে গেছে, যার কারনে হাটে বড় ক্রেতা কিছুটা কম।

কোরবানীর গরু কিনতে আসা জোবায়ের আলম বলেন, গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। যার কারনে আগেভাগে গরু কিনতে এসেছি। গরু পছন্দ হয়েছে দামদর করে একটি গরু নিয়ে নেবো।

পাইকারী ক্রেতা ইউনুস ব্যাপারী বলেন, দুইটি ট্রাকে আনুমানিক ২০টি গরু কিনে ঢাকাতে নিয়ে যাবো। ১২টি গরু কিনতে পেরেছি। আর ৮টি গরু কেনার চেষ্টা করছি।

চুয়াডাঙ্গা শহরের মুসলিমপাড়ার বন্ধন সমাজ উন্নয়ন সংস্থার সদস্য সাইফুল ইসলাম কনক জানান, এ প্রতিষ্ঠানে তারা ৪০টি গরু পালন করেছে। এ পর্যন্ত ১৫টি গরু বিক্রি করা গেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়ায় শনিবার (১৫ জুন) সর্বশেষ হাট বসবে। ওই হাটে গরু গুলো বিক্রি না করতে পারলে তাদের ১০ লাখ টাকা লোকসান হবে।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা গ্রামের চৌধুরী এগ্রো খামারের স্বত্ত্বাধিকারী রাকিব চৌধুরী বলেন, তাদের খামারে ২৫০টি গরু কোরবানীর জন্য তৈরী করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১০০টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে বাকী ১৫০টি গরু বিক্রির অপেক্ষায় আছে। এ গরু গুলো বিক্রি না হলে মোটা অংকের লোকসান হবে বলে তিনি জানান।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা.মোস্তাফিজুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১০ হাজার ৯১৭ টি খামার রয়েছে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৭৬ টি, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৩ হাজার ৫৯৯ টি, দামুড়হুদা উপজেলায় ১ হাজার ৯২৮ টি এবং জীবননগর উপজেলায় ২ হাজার ৭১৪ টি। এসব খামারে কোরবানী উপলক্ষে ২ লাখ ১১ হাজার ৮৭৯ টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৫৪ হাজার ৮৯১টি, মোষ ১৬০টি, ছাগল ১ লাখ ৫২ হাজার ৮৯৬টি, ভেড়া ৩ হাজার ৯২৫টি এবং অন্যান্য ৭টি। এবার জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৮৫৬ টি। সে হিসাবে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৫৩ হাজার ২৩টি কোরবানীযোগ্য পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।

সর্বশেষ সংবাদ

সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান রেখেছে আওয়ামী লীগ : খাদ্যমন্ত্রী
সারাদিনের ভোগান্তির পর উত্তরের ঈদযাত্রায় ফিরেছে স্বস্তি
আর্থিক সংকটে কাঙ্খিত বেচা-কেনা হয়নি চুয়াডাঙ্গার পশুহাট গুলোতে
আনারকন্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ডিএমপি কমিশনার
গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ শ্রমিকদের
বঙ্গবন্ধু সেতু-ভূঞাপুর-এলেঙ্গা সড়কের ২৯ কিলোমিটার পথেও দুর্ভোগ
আক্রান্ত হলে ছেড়ে দেব না : সেন্টমার্টিন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের
বিএনপির জাতীয় নির্বাহীর কমিটির ৩৯ পদ পরিবর্তন
যেসব রোমহর্ষক তথ্য উঠে এসেছে গ্যাস বাবুর জবানবন্দিতে
ইসরাইলে হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বাড়িঘর ও বাসে আগুন
মেসি-মার্টিনেজের জোড়া গোলে আর্জেন্টিনার বড় জয়
দেশে ১৯৭৪ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র চলছে: প্রধানমন্ত্রী
কোরবানির ঈদযাত্রা: বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির লাইন
স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে গ্যারান্টর হিসেবে রাশিয়া, চীন ও তুরস্ককে চায় হামাস
টার্মিনাল ও স্টেশনগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়
পশ্চিমাদের ‘চোর’ বললেন পুতিন, শাস্তির হুঁশিয়ারি
আজ পবিত্র হজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর আরাফার ময়দান
২৬ বছরে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড সৃষ্টি, একদিনে প্রায় ৪ কোটি টাকার টোল আদায়
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে নেপালকে ১ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
খ্যাতিমান সুরকার-সংগীত পরিচালক সুজেয় শ্যাম সিসিইউতে