সোমবার, ২০ মে ২০২৪ | ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

কাদের জোরে এমন ত্রাস চালায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা!

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশি জাহাজ ছিনতাই করে ফের আলোচনায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জাহাজটি থাকা ২৩ নাবিক ও ক্রু’কে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করছে তারা। তবে এটাই প্রথম ঘটনা নয়। আগেও একই কোম্পানির আরেকটি জাহাজও কয়েক বছর আগে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিলো। তাছাড়া এই নৌপথে প্রতিনিয়তই এমন দস্যুতার ঘটনা ঘটে।

প্রথমে পছন্দ মতো নানা হিসেব মিলিয়ে একটি জাহাজকে টার্গেট করে সোমালিয়ান জলদস্যুরা। মূলত পণ্যবাহী জাহাজকেই নিজেদের লক্ষ্যবস্তু বানায় এরা। আন্তর্জাতিক নৌরুটে চলাচল করা পণ্যবাহী জাহাজের গতি যেমন সাধ্যের মধ্যে থাকে। তেমন পাল্টা আঘাতের ঝুঁকিও থাকে কম। ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল গতিতে চলা এসব জাহাজে হুট করেই পরিকল্পনা মতো নৌকা নিয়ে উঠে যায় দস্যুরা। তাদের কাঁধে ঝোলানো থাকে একে-৪৭ এর মতো মারণাস্ত্র। ফলে তাদের সামনে নাবিকরাও অসহায় হয়ে পড়েন। বাধ্য হন দস্যুদের কথা মতো জাহাজ চালাতে।

এরপর শুরু হয় দস্যুদের আসল খেলা। জিম্মি করা নাবিকদের দিয়েই তারা কাঙ্ক্ষিত মুক্তিপণের বিষয়টি জানায় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে। ফোনে নিজ পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগও দেয় জিম্মিদের। এরপর তাদের কাছ থেকে ফোন কেড়ে নেয়। যাতে স্বজনদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা বাড়ে; বিপরীত প্রান্তে ভয়ংকর রকম ভীতি তৈরি হয়।

অপহৃতদের সোমালিয়ার জঙ্গলে বন্দী করে রাখা হয়। হাঁকা হয় বিশাল মুক্তিপণ। চলে দর কষাকষি। মুক্তিপণ না পাওয়া পর্যন্ত অপহৃতদের জঙ্গলেই আটকে রাখা হয়। বন্দীদের খুব একটা খাবারও দেয় না দস্যুরা।

বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, সোমালিয়ায় একটি ‘জলদস্যু শেয়ারবাজার’ও আছে। সেখানে বিনিয়োগকারীরা সম্ভাব্য অভিযানের শেয়ার কেনে। ৭২টির বেশি জলদস্যু গ্রুপের সমন্বয়ে এই শেয়ারবাজার গঠিত। এসব গ্রুপকে তারা ‘সামুদ্রিক কোম্পানি’ বলে থাকে।

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের পকেটে যায় এই দস্যুবৃত্তির অধিকাংশ অর্থ। মুক্তিপণ পাওয়া গেলে সবার আগে বিনিয়োগকারী ও আরও কিছু স্টেকহোল্ডার তাদের ভাগের অর্থ কেটে রাখে। এ ছাড়া বিদ্যালয় ও হাসপাতাল পরিচালনার মতো কাজে সংশ্লিষ্ট সম্প্রদায়কে কিছু অর্থ দেওয়া হয়। বাকি যা থাকে, তা অভিযানে অংশ নেওয়া জলদস্যুরা ভাগ করে নেয়।

এই শেয়ারবাজারের মহাজনরাই মূলত সোমালিয়ার জলদস্যুদের চালিকা শক্তি। তাদের কাছ থেকে যেমন দস্যুরা অস্ত্র পায়, তেমন পায় নানা রকম সহায়তাও।

Header Ad

বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ

সৈয়দপুর বিমানবন্দর। ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এর ফলে সোমবার (২০ মে) সকালে বিমান বাংলাদেশের ড্যাশ-৮ ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। এ কারণে ওই বিমানের ঢাকাগামী অন্তত ৭০ যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে আটকা পড়েন।

তবে অন্যান্য কোম্পানির ফ্লাইটগুলো দুপুর পৌনে ১২টার দিকে স্বাভাবিক হয়েছে। সৈয়দপুর বিমানবন্দর স্টেশনের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার রাতে সৈয়দপুরে বজ্রসহ ঝড়বৃষ্টি হয়। এতে রানওয়ের দক্ষিণে কিছুটা ফাটলের সৃষ্টি হয়। এ কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ আজ সোমবার সকাল ৮টার বিমান বাংলাদেশের ড্যাশ-৮ ফ্লাইটসহ অন্যান্য ফ্লাইট অবতরণের নির্দেশ দেয়নি। মেরামতের পর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ অবতরণ করে। কিন্তু ড্যাশ-৮ বিমানগুলো অবতরণে উপযোগী না হওয়ায় বেলা দেড়টার পর চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান বিমানবন্দর ম্যানেজার।

এ বিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর স্টেশন ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, রানওয়ের অল্প কিছু অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে তা সংস্কার করা হয়েছে। আশা করছি, দেড়টার পর থেকে বিমান বাংলাদেশের ড্যাশ-৮ বিমান ওঠানামা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছি।

আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?

ছবি: সংগৃহীত

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি আসরে বাকি আছে আর মাত্র চারটি ম্যাচ। লিগ পর্ব শেষে ইতোমধ্যে নির্ধারণ হয়ে গেছে প্লে-অফের চার দল। ফরে এবার শুরু হবে শিরোপার লড়াই।

লিগ পর্ব শেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থানে রয়েছে কলকাতা। কোয়ালিফায়ারে নাইট রাইডার্সদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দৌড়ে এগিয়ে ছিল রাজস্থান। সম্ভাবনা ছিল হায়দরাবাদেরও। তবে লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাঞ্জাবকে হারিয়ে সেই সম্ভাবনাকে আরও নিকটবর্তী করে নেয় প্যাট কামিন্সের দল। রাজস্থান-কলকাতার ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় লাভই হয়েছে তাদের। রানরেটে রাজস্থানকে পেছনে ফেলে কোয়ালিফায়ারে খেলা নিশ্চিত করে হায়দরাবাদ।

আইপিএলের প্লে অফের নিয়ম অনুযায়ী, শীর্ষ দুই দল সরাসরি কোয়ালিফায়ার খেলবে। অর্থাৎ প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হবে কলকাতা ও হায়দরাবাদ। জয়ী দল চলে যাবে সরাসরি ফাইনালে। তবে হেরে যাওয়া দলেরও সুযোগ থাকবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে ফাইনালে যাওয়ার।

তিন ও চারে থাকা দুই দল বেঙ্গালুরু ও রাজস্থান খেলবে এলিমিনেটর পর্ব। যেখানে হেরে গেলে বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। বিপরীতে জয়ী দল খেলবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে যাওয়া দল।

মঙ্গলবার (২১ মে) থেকে মাঠে গড়াবে প্লে-অফের ম্যাচ। সেদিনই অনুষ্ঠিত হবে প্রথম কোয়ালিফায়ার, জয়ী দল সরাসরি জায়গা পাবে ফাইনালে। বুধবার (২২ মে) এলিমিনেটর, আগামী শুক্রবার (২৪ মে) হবে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার। প্লে-অফের সবকটি ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়। চেন্নাইয়ে ফাইনাল হবে ২৬ মে, রোববার।

ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কিংবা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে কোনো বিধি-নিষেধ বা নিয়ম নেই যে, কতো শতাংশ ভোট পড়লে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। এগুলো নিয়ে ইসি ভাবে না। যে কোনো শতাংশ ভোট পড়লেই খুশি। ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয় বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

সোমবার (২০ মে) নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়া প্রসঙ্গে ইসি আলমগীর বলেন, ভোটাররা ভোট দিতে ইচ্ছুক। তারা কেন্দ্রে আসবেন। ধান কাটার মৌসুম, বৈরি আবহাওয়া, বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসছে না, এসব কারণে ভোটার উপস্থিতি কম।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা-অনাস্থার বিষয় নয়, পছন্দের প্রার্থী না পাওয়ায় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভোটের উপস্থিতি কম। তবে কত শতাংশ ভোটার উপস্থিত হলে সন্তোষজনক হবে এ বিষয়ে দায়বদ্ধতা নেই।

দ্বিতীয় ধাপের ভোট, ভোটার অংশগ্রহণ কম, চ্যালেঞ্জ মনে করেন কি না- এ বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, দ্বিতীয় ধাপের ভোট যাতে সুষ্ঠুভাবে হতে পারে এজন্য ব্যাপক সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনেও তাই করেছি। আগামীকালের নির্বাচনও তেমন হবে। কমিশনের দায়িত্ব নির্বাচন শান্তিপূর্ণ রাখা। নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতার কোনো কমতি নেই। সারাবিশ্বে ভোটারদের ভোটের প্রতি আগ্রহ কমছে। বিভিন্ন কারণে ভোটাররা অংশ নিতে চান না। ভালো প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ না নিলেও অনেক সময় ভোটাররা ভোট দিতে যান না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি ভোট বর্জনের জন্য লিফলেট বিতরণ করছে, এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। তবে কোনো সহিংসতা করলে সেক্ষেত্রে রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন। কমিশনের প্রতি আস্থা নাই এটা ঠিক নয়, কমিশন সবসময় শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। কারো প্রতি কমিশনের আলাদা কোনো পক্ষপাতিত্ব নাই।

 

সর্বশেষ সংবাদ

বজ্রপাতে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে ফাটল, ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ
আইপিএলের প্লে-অফের ম্যাচগুলো কবে-কখন-কার বিপক্ষে?
ভোটারের উপস্থিতি নিয়ে ইসি উদ্বিগ্ন নয়, বললেন ইসি আলমগীর
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বিশ্বনেতাদের শোক
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ২ জনসহ নিহত ৩
ইশরাক হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি মির্জা ফখরুলের
ইব্রাহিম রাইসি ছিলেন আমার প্রিয় একটি ভাই : এরদোগান
ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ: ওবায়দুল কাদের
ইরানের অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং তার সঙ্গীদের মরদেহ উদ্ধার
নিপুণের রিটে ডিপজলকে শিল্পী সমিতির পদে না বসতে নির্দেশ
বিল বকেয়া থাকায় রেল কার্যালয়ের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ
এমপি আনারের সর্বশেষ লোকেশন মুজাফফরাবাদ
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার: রিপোর্ট
রাইসির দুর্ঘটনার খবরে ‘উচ্ছ্বসিত’ মার্কিন কংগ্রেসম্যান
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানসিটি
আজ থেকে সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, নদীবন্দরে দুই নম্বর সতর্কতা