শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাদরাসা বন্ধের রায় স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

মাদরাসা বন্ধের রায় স্থগিত করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মাদরাসা রয়েছে। যেগুলোতে পড়াশোনা করেন ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন সেটি প্রাথমিকভাবে সঠিক ছিল না।

গত মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন, ২০০৪ সালের যে আইনে মাদরাসা চলছে সেটি ‘অসাংবিধানিক’। কারণ এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে ভঙ্গ করছে। এ কারণে এই আইন বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাদরাসায় অধ্যয়নত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এলাহাবাদের হাইকোর্টের এই রায় শুক্রবার স্থগিত ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, মাদরাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূলত হলো নিয়ন্ত্রক। আর এই বোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো ক্ষতি হবে না।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার রায়ে বলেছেন, “এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ওই আইন স্থগিত করে, শিক্ষার্থীদের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিতের নির্দেশ দেয়। তবে এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে স্থানান্তর ন্যায্য নয়।”

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেছেন, যদি পিআইএলের উদ্দেশ্য থাকে মাদ্রাসায় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং ভাষা শেখানো হবে। তাহলে মাদরাসা আইন ২০০৪ বাতিল করে এই উদ্দেশ্য অর্জন করা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টে মাদরাসার পক্ষে লড়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভী। তিনি আদালতকে বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের কারণে মাদরাসার ১০ হাজার শিক্ষক এবং ১৭ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।

তিনি আদালতকে আরও বলেন, মাদরাসায় মানসম্পূর্ণ শিক্ষা দেওয়া হয় না এমনটি বলা ভুল। এছাড়া মাদরাসা সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয় এমনটিও বলা যাবে না। এছাড়া মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছে এটি একটি বৈষম্যমূলক রায়। সূত্র: এনডিটিভি

Header Ad

সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

ভিসার অপব্যবহারের দায়ে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। তাঁরা গত এক বছরে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, সে আবেদন নাকচ হওয়ায় নতুন এক চুক্তির তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

উন্নত জীবনের আশায় প্রতিবছর বিদেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশিরা। মূল গন্তব্য থাকে ইউরোপের নানা দেশ। তবে তাদের একটি বড় অংশই বেছে নেন অসাধু উপায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট এবং টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে গত বছরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ৫ শতাংশের আবেদন গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ সরকার।

টেলিগ্রাফের দাবি, এবার অবৈধ এসব বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্নস চুক্তির আওতায় শুধু ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীই নন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে।

ভিসা ব্যবস্থার এই অপব্যবহারকারীধের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। গত বছর, রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৪শ পাকিস্তানি। আর এক্ষেত্রে ভারতীয়ের সংখ্যা ৭ হাজার ৪শ।

২০২৩ সালে বসবাসের অধিকার নেই এমন ২৬ হাজার মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠায় যুক্তরাজ্য। এ সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি।

নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসানের ড্রিংকস ব্লু (BLU) তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নোংরা পরিবেশে মান নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৪ এপ্রিল বিএসটিআই ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এই জরিমানা করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ, বি-৩৩, বিসিক শিল্পনগরী, আদর্শ সদর, কুমিল্লা; প্রতিষ্ঠানটিকে মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে ‍‍‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক‍‍’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এছাড়া কোন অটোমেশন মেশিন না থাকার পাশাপাশি নোংরা পরিবেশে গরীব দুস্থ নারী কর্মীদের মাধ্যমে কোন নিরাপত্তা কিংবা ড্রেস কোড ছাড়াই এই ব্লু নামক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রস্তুত হচ্ছিল।

এদিকে কারখানায় কোন পরিমাপ যন্ত্র না থাকায় হাতে করে বোতলজাত করা হচ্ছিল এই ড্রিংকগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‍‍‘‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন -২০১৮’’ এর ৪১ ধারায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্লু নামে ইলেক্ট্রোলাইটস ড্রিংক ব্লু বাজারজাত করার ঘোষণা দেয় আলোচিত ইউটিউবার রাফসান, যিনি রাফসান দ্য ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত। তখন লিচু ও তরমুজের ফ্লেভার নিয়ে দুই ক্যাটাগরিতে তারা দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বাজারজাত শুরু করে। সম্প্রতি ‘ব্লু’ লেবুর ফ্লেভার বাজারজাত করছে।

যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, এখন চারবেলা খায়। একসময় গ্রামে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতিতে (টুঙ্গিপাড়ার একটি ইউনিয়ন) ঈদের আগে ২০০টি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প-কলকারখানাও তত বাড়ছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ৬ জুন বাজেট দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট আমরা ঠিকমতো দিতে পারবো, বাস্তবায়নও করবো। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে। তবে সেটা পরবর্তী সময়ে উত্তরণ করতে পারবো, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি সমিতির এই প্রোগ্রামে অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। তবে এতটুকু বুঝি, কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ ছিল শূন্য। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হাত দেন। প্রণয়ন করেন দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এতে তিনি কৃষি ও শিল্পের পুনর্গঠন, উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য নিরসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ঢেলে সাজান। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা প্রচলন করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের সেরা অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র ৩ বছরে তা ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ অর্জন করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস
যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে দুঃসংবাদ
৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর