রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মিয়ানমার থেকে অস্ত্র সহায়তা পাচ্ছে কেএনএফ!

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের একটি বিপথগামী অংশ মিয়ানমারের ইন্ধনে এখানে সশস্ত্র সন্ত্রাসে লিপ্ত হয়েছে। খুন, অপহরণ, ধর্ষণ, অস্ত্র, মাদক, মানবপাচার ও ডাকাতিসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে এসব রোহিঙ্গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, রোহিঙ্গাদের প্রতিটি ক্যাম্পেই এসব সন্ত্রাসীর গোপন মিশন রয়েছে। তাদের মদতে প্রায় এক ডজনের মতো সশস্ত্র গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। এ ছাড়াও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা বান্দরবানের পাহাড়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফকেও অস্ত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এদের বিরুদ্ধে।

সূত্র মতে, দিন দিন খুন খারাবিতে জড়িয়ে পড়া এসব রোহিঙ্গা এখন বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে। তাদের আশ্রয়স্থল কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প এখন পরিণত হয়েছে অপরাধের স্বর্গরাজ্যে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার জেরে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে এসব রোহিঙ্গা।

স্থানীয়রা জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর মিয়ানমার সরকারের মদতপুষ্ট বিতর্কিত ও কথিত সশস্ত্র সংগঠন আরসার চিহ্নিত সদস্যদের প্রতিরোধের ডাক দিয়ে সম্প্রতি ওই মাদারাসায় একটি সমাবেশ করে প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী সাধারণ রোহিঙ্গারা। সেখানেই বক্তব্য দেন মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ ইদ্রিস। এজন্য তিনি ন্যাক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে বলে ধারণা তাদের।

রোহিঙ্গাদের আরেকটি সূত্রের দাবি, মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থেকে সাধারণ রোহিঙ্গাদের তোপের মুখে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কথিত ‘আরসা’র পরিচিত সদস্যরা। তারা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে টেকনাফের হ্নীলার নয়াপাড়া মুছনি ক্যাম্পের পাহাড়ি এলাকায় স্থানীয় কয়েকটি সন্ত্রাসী গ্রুপের আশ্রয়ে রয়েছে। ফয়েজউল্লা নামে এক ‘আরসা’র সদস্যকে সম্প্রতি বালুখালী ক্যাম্প থেকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দেয় রোহিঙ্গারা। প্রত্যাবাসনপ্রত্যাশী রোহিঙ্গারা একাট্টা হওয়ায় নিজেদের অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে দেখে ক্যাম্পে বড় ধরনের নাশকতার ছক তৈরি করে দুর্বৃত্ত রোহিঙ্গারা। এরই অংশ হিসেবে মাদরাসায় নারকীয় এই ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেছেন তারা।

রোহিঙ্গা নেতা হামিদ হোসেন, মো. ইব্রাহিম ও আবদুস শুক্কুরসহ কয়েকজন সচেতন রোহিঙ্গা দাবি করেছেন- মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড ও ঘুমন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে হত্যা একই সূত্রে গাঁথা। কথিত আরসার সন্ত্রাসীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে দাবি করেছেন তারা।

তারা আরও বলেন, প্রত্যাবাসনের বদলে বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের অপরাধী প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে মিয়ানমার সরকার। এজন্য তারা বিপথগামী রোহিঙ্গাদের দিয়ে ক্যাম্পে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা পুলিশের তথ্য বলছে, ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের অপরাধ দিনে দিনে বাড়ছে। গত চার বছরে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ১২ ধরনের অপরাধে ১ হাজার ৩০০ মামলা হয়েছে। এতে আসামি হয়েছে ২ হাজার ৮৭০ রোহিঙ্গা। অপরাধের মধ্যে রয়েছে- হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক পাচার, মানব পাচার, পুলিশের উপর হামলা ইত্যাদি।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চার বছরে ১০০ খুনের মামলা হয়েছে। এসময়ে ৭৬২টি মাদক, ২৮টি মানবপাচার, ৮৭টি অস্ত্র, ৬৫টি ধর্ষণ ও ১০টি ডাকাতির মামলা হয়েছে। ৩৪টি মামলা হয়েছে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের অপরাধে। অন্যান্য অপরাধে হয়েছে ৮৯টি মামলা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওকর্মীদের দাবি, অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ভেতরেই অন্তত ১৫-২০টি সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয় রয়েছে। এর বাইরে ক্যাম্পকেন্দ্রিক আরও একাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে। প্রত্যেক বাহিনীতে ৩০ থেকে ১০০ জন সদস্য রয়েছে। সন্ধ্যার পর থেকে ক্যাম্পগুলো হয়ে ওঠে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পগুলোতে দিনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকলেও রাতে তা অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়ে।

উখিয়ার রাজাপালং ইউপির কুতুপালং এলাকার সদস্য প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গারা সহজে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে যাওয়া-আসা করতে পারছে। এ কারণে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালান বেড়েছে। আর এসব ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতে ক্যাম্পকেন্দ্রিক গড়ে উঠেছে অনেক সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে করে খুনাখুনি ও অপরাধের মাত্রা দিনে দিনে বাড়ছে।

অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদ্য কারামুক্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক কয়েকজন মাদককারবারি জানান, ক্যাম্পে প্রতিদিন শত কোটি টাকার বেশি ইয়াবার লেনদেন হয়। হাতবদল হয় অন্তত ২৫-৩০ লাখ ইয়াবা। মূলত ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পের ভেতরে-বাইরে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে।

ক্যাম্পে ব্যাপকভাবে পরিচিত সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে রয়েছে- মাস্টার মুন্না গ্রুপ, মৌলভী ইউসুফ গ্রুপ, রকি বাহিনী, শুক্কুর বাহিনী, আব্দুল হাকিম বাহিনী, সাদ্দাম গ্রুপ, জাকির বাহিনী, নবী হোসেন বাহিনী, পুতিয়া গ্রুপ, সালমান শাহ গ্রুপ, গিয়াস বাহিনী, শাহ আজম গ্রুপ অন্যতম।

অভিযোগ রয়েছে, ক্যাম্পভিত্তিক বেশিরভাগ সন্ত্রাসী গ্রুপের সঙ্গে মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের যোগাযোগ রয়েছে। ক্যাম্প অশান্ত করতে সন্ত্রাসী গ্রুপকে কোটি কোটি টাকার ইয়াবা ফ্রিতে দিচ্ছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। মূলত বিশ্বে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী হিসেবে তুলে ধরা, আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিলম্ব করতে চায় মিয়ানমার।

১৯৭৮ সালের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে আসে বাংলাদেশে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টে রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানের পর দেশে সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রবেশ করে। সবমিলিয়ে দেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৩ লাখের বেশি। সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে। বাকিরা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত এলাকা বাদ দিয়ে শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে অপরাধবিরোধী অভিযানের পাশাপাশি মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। কক্সবাজারের ইতিহাসে ইয়াবার সবচেয়ে বড় চালান জেলা পুলিশ জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে। দায়িত্বে না পড়লেও আইনশৃঙ্খলার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এদিকে বান্দরবানের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফকেও অস্ত্রসহ নানা ধরনের সহায়তার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে এই সন্ত্রাসীরা সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর একের পর এক হামলা করছে। তাদের হামলায় হতাহতের ঘটনাও বাড়ছে। অভিযোগ উঠেছে, কেএনএফের সন্ত্রাসীরা মিয়ানমার থেকে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরে অর্থাৎ পাহাড়ের ভেতরে অঘটন ঘটিয়ে তারা মিয়ানমারে পালিয়ে যাচ্ছে। আবার সুযোগ মতে তারা ভেতরে প্রবেশ করছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে এই সন্ত্রাসীরা পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে নানা সহায়তা পাচ্ছে। সাম্প্রতিক ঘটনায় আমরা নজরদারি বাড়িয়ে দিয়েছি। দ্রুত অভিযানও শুরু হবে।

এসএন

Header Ad

কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১৯ মে) বেলা ১১টায় ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প পণ্য মেলা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলে তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমি কৃষির ওপর গুরুত্ব দিই, আদালা বাজেট রাখি। সে সময় প্রথম দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করি। ২০০৯ আবার ক্ষমতায় এসে দেখি দেশ খাদ্য সংকটে। এখানে নীতির ব্যাপারে একটা প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, যেদিন আমি সংসদে বলেছিলাম দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তখন বিরোধী দলের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান বলেছিলেন, স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া ভালো না। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে খাদ্য সাহায্য পাওয়া যাবে না। তখন আমি উঠে বললাম, কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন ভিক্ষুক জাতির কোনো ইজ্জত থাকে না। আমরা সম্মান নিয়ে চলতে চাই। কারণ বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার মাটি আছে, মানুষ আছে। এই সোনার মাটি আর মানুষ দিয়েই তো আমি সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি মানুষের উদ্যোম এবং কর্ম ক্ষমতাকে যদি আমরা কাজে লাগাতে পারি তাহলে এই সোনার মানুষগুলোই তো উপযুক্ত হবে এবং সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ২০০৯-২৩ এ বাংলাদেশ বদলে গেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে হবে। তারই পাশাপাশি শিল্পায়ন করতে হবে। মানুষের উদ্যম কাজে লাগাতে পারলেই সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা যাবে। এসএমই উদ্যোক্তারা একক বা যৌথভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে পারে। নারী-পুরুষকে সমানভাবে উদ্যোক্তা করতে পারলে দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে।

তিনি বলেন, শিল্পকে পরিবেশবান্ধব হতে হবে। শিল্পখাত একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব হওয়া উচিত। যারা যেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবেন অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন, যেন শিল্পের বর্জ্য নদীতে না পড়ে। আমাদের পানি যেন কোনোরকম দূষিত না হয়, সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি। অল্প খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না। শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের গুরুত্ব দিতে হবে।

পণ্য বাজারজাতকরণের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু পণ্য উৎপাদন করলেই হবে না। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে পণ্য বাজারজাতকরণের দিকেও নজর দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এবং মহামারি করোনার কারণে সমস্ত কাজ বন্ধ, রপ্তানি বন্ধ, আমদানি বন্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এ ধাক্কাটা এসে পড়েছে। এর সাথে যুক্ত আছে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যুদ্ধ। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করতে হয় তার প্রত্যেকটার দাম বেড়েছে। যার একটা প্রভাব আমাদের দেশে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এটা শুধু করতে পারব, যখন আমরা নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে পারব।

অনুষ্ঠানে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ বিজয়ী সাতজন মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্ট আপ উদ্যোক্তাকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেন প্রধানমন্ত্রী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে উপস্থিত আছেন।

সাত দিনব্যাপী এই মেলা চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতা ও দর্শনার্থীদের জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে। শুধু দেশীয় উদ্যোক্তাদের তৈরি করা পণ্য নিয়ে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এসএমই ফাউন্ডেশন মেলার আয়োজন করেছে। এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান অংশ নেবে, যার মধ্যে ৬০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।

যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে

ছবি: সংগৃহীত

যশোরের ঝিকরগাছায় বিনা যৌতুকে বিয়ে হলো ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর। শনিবার (১৮ মে) ঝিকরগাছা উপজেলার গাজীর দরগাহ কুয়েত ইসলামিক ইয়াতীম কমপ্লেক্সে এমন বিয়ের আয়োজন করে শারজাহ চ্যারিটি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন।

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন এতিম ও অসচ্ছল পরিবারের ১০০ তরুণ-তরুণী। শুধু তাই নয়, বিয়েতে প্রত্যেক দম্পতি পেয়েছেন ঘর সাজানোর উপহার।

পাগড়ি আর লাল শাড়ি পরে অর্ধশত বর-কনে আসেন কুয়েত ইসলামিক ইয়াতীম কমপ্লেক্সে। ইসলামিক শরিয়া অনুযায়ী বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর নতুন বউ নিয়ে হাসিমুখে ফিরে যান নিজ নিজ গন্তব্যে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে কোনো কমতি ছিল না। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর ও কনেদের পরিবারের সদস্যরা।

আয়োজক কমিটির সদস্য এম মিকাইল হোসেন বলেন, যৌতুকবিহীন বিবাহ প্রথা চালু করার উদ্দেশ্যে এমন আয়োজন করা হয়েছে। যেন যৌতুকের বলি হতে না হয় কোনো নারীকে। পাশাপাশি গরিব অসহায় পরিবারগুলো ধুমধাম করে তাদের সন্তানদের বিয়ে দিতে পারে না, আমরা তা নিশ্চিত করে সব আয়োজন করেছি।

বিয়ের পাশাপাশি নগদ টাকা, সেলাই মেশিন, ভ্যানগাড়ি, রান্নার চুলাসহ সংসার সাজানোর সরঞ্জামও দিয়েছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও রাশিয়া স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন সদ্য কারামুক্ত দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল । এভাবে ভোট করে ক্ষমতায় বসা কাপুরুষতার নিদর্শন।

জানা যায়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতে নির্বাচন করার চেষ্টা করছেন বলে মন্তব্য করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

শুক্রবার (১৭ মে) মুম্বাইয়ের বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্সে (বিকেসি) বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এই মন্তব্য করেন তিনি। খবর ইন্ডিয়া টুডের।

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, "বাংলাদেশে কিছু দিন আগে নির্বাচন হয়েছে। সব বিরোধী নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং নির্বাচনে শেখ হাসিনা জয়ী হয়েছেন।"

তিনি আরও বলেন, "পাকিস্তানের দেশটির সবচেয়ে বড় বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খানকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। তার দলকে ভেঙে দেয়া হয়েছে, দলীয় প্রতীক ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এভাবে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোদিজি (নরেন্দ্র মোদি) বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শিক্ষা নিয়ে ভারতে একই জিনিস করার চেষ্টা করছেন। তারা আমাকে জেলে ভরেছিলেন। (দিল্লির সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী) মণীশ সিসোদিয়াকে জেলে পুরে রেখেছেন। কংগ্রেস পার্টির ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছেন। এভাবেই আপনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং জিতবেন। এটা তো কাপুরুষতার নিদর্শন।"

বর্তমানে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মোট সাত দফার ভোটের চার দফা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফার ভোটে মুম্বাইয়ের ছয়টিসহ মহারাষ্ট্রের ১৩টি লোকসভা আসনে ভোট হবে। এই ভোটের মধ্যেই ৫০ দিন কারাবাসের পর গত ১০ মে দিল্লির মদ নীতির সঙ্গে জড়িত মানি লন্ডারিং মামলায় জামিনে কারামুক্ত হন কেজরিওয়াল।

সর্বশেষ সংবাদ

কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা
সৌদি আরবে আরও এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু
দুপুরের মধ্যে ১০ জেলায় ঝড়ের আশঙ্কা
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
‘বিদেশ ভ্রমণের প্রলোভন দেখিয়ে নারী খেলোয়াড়দের ধর্ষণ করতো’
তথ্য দিতে ৩ জন মুখপাত্র নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক