শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঢাবিতে তাবলীগের আলোচনায় ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের তাবলীগী আলোচনা সভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় অভিযোগের তীর শাহবাগ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম সুজনের দিকে তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।

বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসিক ভবন বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে এই ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর।

আহত শিক্ষার্থীরা হলেন- আইন বিভাগের সাফওয়ান, রেজওয়ান আহমেদ রিফাত, শাহীন, সাকিব তূর্য, মাহাদী ও কুতুবউদ্দিনসহ আরেকজন।

তাছাড়া আরও কয়েকজনকে আঘাত করা হয়। তারা সবাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেন।

জানা গেছে, হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা সুজন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডুর অনুসারী এবং স্থানীয়ভাবে ‘টোকাই নেতা’ বলে পরিচিত।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ‘প্রোডাক্টিভ রামাদান’ শীর্ষক পবিত্র মাহে রমজানকে কাজে লাগিয়ে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন, অন্তরে তাকওয়া সৃষ্টি, ইসলামী জ্ঞানার্জন এবং সার্বিক প্রস্তুতি বিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তাবলীগের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা। বঙ্গবন্ধু টাওয়ার মসজিদে জোহরের নামাজের পর এটা শুরু হলে আলোচনা চলাকালীন তাওহীদুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বে হামলা হয়।

ঘটনার বর্ণনায় ভুক্তভোগী আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শামীম শহীদী বলেন, আমার তাবলীগের বন্ধু ও বড় ভাইয়েরা রোজার আমল এবং ফজিলত সম্পর্কে আলোচনা করতে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে আসি। আমরা আগেই ফেসবুকে এটা প্রচার করেছি যে, আমরা রোজার ফজিলত, মাসায়ালা-মাসায়েল নিয়ে আলোচনা করবো। কিন্তু, হঠাৎ অপরিচিত কয়েকজন মসজিদে এসে আমাদের বের হতে বলে। তাছাড়া, টাওয়ারের কর্মচারীরাও আমাদের চলে যেতে বললে আমরা বের হই। এ সময় আমরা গেটের কাছাকাছি আসতেই ৩০/৪০ জন আমাদের ওপর হামলা করে।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন কর্মচারী জানান, আইন বিভাগের ১০-১৫ জন শিক্ষার্থী নামাজ পড়তে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারে আসেন। এ সময় তারা নামাজ শেষেই রমজানের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করতে চাইলে বাধা দেন বঙ্গবন্ধু টাওয়ার কল্যাণ সমিতির সভাপতি সিরাজুল হক। তিনি বলেন, ‍‘এখানে কোনরকম প্রোগ্রাম আয়োজন করা উপাচার্য ও প্রক্টর থেকে নিষেধ করা আছে’। এ সময় শিক্ষার্থীরা সেন্ট্রাল মসজিদের দিকে যেতে চাইলে গেটের মুখেই ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। তাদেরকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গেটের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি গেট বন্ধ করে দিলে তারা বিভিন্ন দিকে দৌঁড়ে পালাতে থাকেন। পরে কয়েকজন কোনোভাবে গেট দিয়ে ঢুকে বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের বিভিন্ন ফ্লোরে আশ্রয় নিয়ে নিজেদেরকে রক্ষা করেন।

বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের গেইটম্যান বলেন, শিক্ষার্থীরা বাইরে বের হতে না হতেই আগে থেকেই অপেক্ষা করা কিছু ছেলে তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। কয়েকজন শিক্ষার্থী বাইরে পালিয়ে যায়। আর কয়েকজন বিল্ডিংয়েই আশ্রয় নেয়।

ভুক্তভোগী আইন বিভাগের প্রথম বর্ষের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের আইন বিভাগের মসজিদে জামাতে নামাজের তেমন ব্যবস্থা না থাকায় আমরা বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের মসজিদে নামাজ পড়ি। তারপর আমাদের মাস্টার্সের এক ভাই রমজানে কিভাবে ইবাদত পালন করলে ভালো হয়, তা নিয়ে কিছুক্ষণ কথা বলেন। এরপর কর্মচারী সমিতির সভাপতি আমাদের সেন্ট্রাল মসজিদে যেতে বলেন। এসময় আমরা বের হয়ে গেটে আসার সাথে সাথেই শহীদ মিনারের দিক থেকে ৩০/৪০ জন পোলাপান এসে আমাদের ওপর হঠাৎ হামলা চালায়। আমাদের অনেকেই আহত হয়েছে। তারা দুই-তিনজনকে রাস্তায় ফেলে লাথি, কিল, ঘুষি মারতে থাকে। বঙ্গবন্ধু হল ও জসীমউদ্দিন হল ছাত্রলীগের দুজনকে আমি চিনতে পেরেছি, তবে তাদের নাম জানি না।

 

ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, এ সময়ে সবাই যে যেভাবে পেরেছে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেছি। আমার বন্ধু এই ভবনেই সাবলেট থাকে, আমি তার এখানে আশ্রয় নিয়েছি। প্রথম বর্ষে পড়ি, এত খারাপ পরিস্থিতিতে পড়বো বুঝতে পারিনি। নামাজ পড়তে এসে যদি আমাদের ওপর হামলা করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?

এদিকে, আহত শিক্ষার্থী রেজওয়ানকে দেখা যায় ঘটনার প্রায় ৪০ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু টাওয়ারের ওপর থেকে নামছেন।

তিনি বলেন, আমরা নামাজের শেষে বের হতে না হতেই আমাদের ওপর হামলা করা হয়েছে। আমিসহ আরও কয়েকজনকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়েছে। পরে কোন উপায় না দেখে বন্ধুর সাথে বঙ্গবন্ধু টাউয়ারের একজনের বাসায় আশ্রয় নেই। আমাদের বন্ধু শাহীন আরও গুরুতর আহত। তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তাওহীদুল ইসলাম সুজনকে বারবার কল দেওয়া হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজল কুণ্ডু বলেন, আমার মনে হয়, ঘটনাটা সত্য নয়। এ বিষয়ে যদি কোন প্রমাণ থাকে, তা আমাকে দিলে সেটা অনুযায়ী তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে একাধিকবার কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

Header Ad

চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য

ছবি: সংগৃহীত

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। বাজারে সরবারহে খুব একটা ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সবজির। বিশেষ করে কয়েকটি সবজির দাম প্রতি কেজির দাম ১০০ টাকার ঘরে পৌঁছেছে।

আজ শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে শাক-সবজি, চিনি, চাল, আটা, ডাল ও মাছ-মাংস।

আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৫০-৬০ টাকা, যা মাসখানেক আগেও ৩০-৪০ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। পেঁপে এবং বেগুন ১০০ টাকা ছুঁই ছুঁই। করলা ৬৫-৭৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন মানভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও পটল ৬০-৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থান ও মানভেদে কাঁচামরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, চিচিঙ্গা ৮০০-১০০ টাকা, ঝিঙা ৬০-৭০ টাকা, কচুর লতি ৭০-৮০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৬০-৭০ টাকা, গাজর ৬০-৭০ টাকা, শসা ৪০-৫০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা হালি।

বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা এবং আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি স্থানভেদে ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৫০ থেকে ৩৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৬০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৪০০ থেকে ৬০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কয়েকজন বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা ও সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীর হয়ে ভোট চাইছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত বিএনপি নেতাদের দাবি এই সংবাদ মিথ্যা এবং বানোয়াট।

শুক্রবার (১০ মে) সকালে এক প্রতিবাদ লিপিতে এসব কথা বলেন অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ মে) 'গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বর্জনের ভোটেও প্রচারে বিএনপি নেতার' শিরোনামে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, সম্প্রতি কোচাশহর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আলমের (আনারস) সমর্থনে উঠান বৈঠক হয়। এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জহুরুল হক । এছাড়াও দরবস্ত ইউনিয়ন বিএনপি নেতা আনিছুর প্রধান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শেখ শাহ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল, কোচাশহর ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ফিরোজসহ দলটির অনেকেই শাকিল আলমের পক্ষে ভোট চেয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। এমন সংবাদ প্রকাশ হয়।

প্রতিবাদ লিপিতে কোচাশহর ইউনিয়নের বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহুরুল হক বলেন, আমাকে এবং বেশকিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। সংবাদে আমাদের নামে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে তার সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমার কাছে উপজেলার সকল প্রার্থী ভোট চাইতে আসেন। সবাই আমার সাথে ছবি তুলে যায়, আমি তো কাউকে না করতে পারি না।বিএনপি কেন্দ্র ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি এই নির্বাচন বয়কট করেছি। আমাদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শেখ শাহ আলম ও কোচাশহর যুবদলের আহবায়ক ফিরোজ কবির বলেন, আমরা দলের সকল প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে দলের সকল সিদ্ধান্তের প্রতি একাগ্রতা জানাচ্ছি। দলের হাইকমান্ড আমাদের বিষয়ে অবগত আছেন। বিএনপি ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি। উপজেলা নির্বাচনে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমরা প্রকাশিত এই মিথ্যা বানোয়াট সংবাদের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ

ছবি: সংগৃহীত

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফা শহরে এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। শুক্রবার (১০ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

খবরে বলা হয়েছে, রাফায় পূর্ণমাত্রার হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল। সেখানে লাগাতার বোমাবর্ষণের ফলে আতঙ্কে শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে অঞ্চলটিতে আশ্রয় নেয়া লোকজন। জাতিসংঘ বলছে, গত সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি মানুষ গাজার দক্ষিণের জনবহুল শহর রাফা থেকে পালিয়ে অন্যত্র চলে গেছে। বোমাবর্ষণের পাশাপাশি রাফার বিভিন্ন এলাকায় ইসরাইলি ট্যাংক জড়ো হচ্ছে। এতে সেখানে পূর্ণমাত্রার স্থল অভিযানের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বিবিসি।

অন্যদিকে রাফার পূর্বাঞ্চলে ইসরাইলি সেনাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী যোদ্ধাগোষ্ঠী হামাস। আর ইসরাইল বলছে তারা সেখানে তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনে কার্যকলাপ পরিচালনা করছে।

গাজায় অনেক আগেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে ইসরাইল। এখন গাজাবাসীর শেষ আশ্রয়স্থল রাফায় হামলা জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করেছে রাফাকে অবরুদ্ধ করার ফলে সেখানে খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের কাছাকাছি রয়েছে গাজাবাসী। জাতিসংঘের পাশাপাশি মার্কিন প্রশাসনও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তবুও রাফায় বর্বরতা চালানোর অঙ্গীকার করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

সর্বশেষ সংবাদ

চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
বিদায় নিচ্ছেন পিটার হাস, নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ডেভিড মিল
চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় চলছে ইসরায়েল-হামাস লড়াই
কর্ণফুলী নদীর তলদেশ থেকে বিধ্বস্ত যুদ্ধবিমান উদ্ধার
রাফায় বড় অভিযান হলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ: বাইডেন
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায় লোডশেডিংয়ের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর