‘ই-মেইল’ ও ‘ই-ক্যালেন্ডার’ আনল জুম
ব্যবহারকারীদের উপহার হিসেবে ই-ক্যালেন্ডার দিচ্ছে ‘জুম সার্ভিস’, যেখানে তারা তাদের যেকোনো সভায় আলোচ্য বিষয়সূচি রাখতে পারবেন। এই উন্নয়ন ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি যাদের পূর্ণ নাম হলো ‘জুম ভিডিও কমিউনিকেশনস’, অঙ্গীকার করেছে মাইক্রোসফট টিমের কাজ আরও সুসম্পন্ন করবে এবং গুগল মিটে আরও কাজ সম্পাদন করবে।
জুমের মাধ্যমে আরও জানা গেছে, নতুন এই ফিচারগুলো তার ব্যবহারকারীদের গড়ে ৪ ঘণ্টা কর্ম সপ্তাহে সেবা প্রদান করতে পারবে, যদি তাদের আর কোনো সার্ভিসে এর মধ্যে যেতে না হয়।
বিশ্বখ্যাত অনলাইন মিটিং আয়োজন সেবা প্রদান কার্যক্রম ‘জুম ভিডিও কমিউনিকেশনস’ ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর যাত্রা শুরু করে।
জুমের ব্যবহারকারীর সংখ্যা করোনাকালীন সময়ে রকেটের মতো বেড়েছে। রাতারাতি ও অত্যন্ত দ্রুতবেগে বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ বাড়ি থেকে বসে অফিসের কাজ, সময় বাঁচানোর কাজ ও জীবনের প্রয়োজনে জুম সার্ভিস ব্যবহার করেছেন। এরপর সেবা প্রদান সংস্থাটি তার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায়।
জুমের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর গড়ে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি কর্মজীবী ও তথ্যপ্রযুক্তিতে আসক্ত মানুষ মিটিং করতেন জুমের মাধ্যমে। আর ২০২০ সালের এপ্রিলেই এই মানুষদের সংখ্যা বেড়েছে ৩০০ মিলিয়নের বেশি। এর পরের হিসাবগুলো এখনো পাওয়া যায়নি।
এখন জুমের কর্মীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩শর বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের সান হোসে শহরে তাদের সদর দপ্তর। দূরশিক্ষণ, প্রত্যন্ত এলাকায়ও কাজ করছেন তারা। প্রতিষ্ঠানটি নিউ ইয়র্কের নাসদাক টেকনোলজি এক্সচেঞ্জ কমিশন দ্বারা নিবন্ধিত।
ওএফএস/এসজি