বিশ্বকে ডমিনেট করবে আইটি সেক্টর: মোস্তফা কামাল
ঢাকাপ্রকাশ-এর প্রধান সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বর্তমান প্রেক্ষাপট ও অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সমগ্র বিশ্বকে ডমিনেট করবে আইটি সেক্টর। পরিবর্তনের যুগে এই সেক্টরটির রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কেননা এরপর কী হবে সেটা এখনো কেউ আবিষ্কার করতে পারছে না।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) পেন্সিলবক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট -এ সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
উপস্থিত আইটি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি নিজের চেষ্টায় এই সেক্টরে অর্জিত জ্ঞান প্রয়োগ করার মতো সমক্ষমতায় পৌঁছাতে পারেন, তাহলে অনেক ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না। কোর্স পাস করে বের হওয়ার আগেই চাকরি দিয়ে দেবে। যেমন ধরেন— আমরা অভিজ্ঞদের অনেক সময় কাজে না নিয়ে সদ্য স্নাতক/স্নাতকোত্তর সম্পন্ন একজন দক্ষতা সম্পন্ন শিক্ষার্থীকেই কাজের সুযোগ দিচ্ছি। আপনাদের এই শিক্ষাটা চাকুরি-ব্যক্তি জীবন বলেন, ক্যারিয়ারের জন্য তো বটেই, সবক্ষেত্রে অবদান রাখবে। বাংলাদেশে এতো বেশি বেকার, বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছে, অনেকে ভালো লাগে না, অনিচ্ছা থাকার পরও একটা বিষয়ে বাধ্য হয়ে পড়ছে। আসলে ইচ্ছাটাকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। হতে পারে সেটা যে কোনো বিষয়ে (সাবজেক্ট)। তাহলেই সে কাঙ্ক্ষিত অর্জনটা করতে পারবে। যেমন ধরেন— আমার ইচ্ছা নেই তারপরও আমি আইটি পড়ছি, সেক্ষত্রে আমি মনে করি না সেটা তার ক্যারিয়ারের জন্য বড় কিছু নিয়ে আসবে। বরং ক্যারিয়ারটা এমনভাবে সাজাতে হবে, যে বিষয়ে আমি ভালো জানি বা বুঝি, যেটা আমাকে টানে এই বিষয়টাকে যদি পছন্দ করা হয় তাহলেই কিন্তু নিজের ক্যারিয়ার অন্যভাবে গড়ে উঠবে। যেহেতু আমরা কেউ জানি না ভবিষ্যৎ কেমন হবে, এমনকি আগামীকাল কী হবে সেটাও কিন্তু কোনো মানুষ জানে না। জানলে সবকিছু তার হাতের মুঠোয় থাকত। কাজেই আমি যখন জানি না আগামীকাল বা পরবর্তী ধাপে কী হবে তাহলে আমি আমার একটা লক্ষ্য ও টার্গেট ঠিক করে সামনে অগ্রসর হই। অন্যথায় কখনো বড় কিছু পাওয়া সম্ভব না। স্বপ্ন দেখতে হবে আকাশ ছোঁয়ার তাহলে আমরা আকাশ ছুঁতে না পারলেও ওই রকম একটা জায়গা পৌঁছাতে পারব।
মোস্তফা কামাল বলেন, আপনাদের উপস্থিতি বলে দিচ্ছে এটা যেন তারুণ্যের সম্মেলন। প্রত্যেকে হয়তো এমন একটা জায়গায় পৌঁছাবেন যেখানে নিজেও জানেন না জায়গাটা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। আজকে আমেরিকার অনেক বড় বড় আইটি কোম্পানিগুলোতে বাংলাদেশের অনেক ছেলেমেয়ে চাকরি করছে। এমনকি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কাজ করছে। হয়ত গ্রামাঞ্চল, একটা আইটি ইনস্টিটিউশন বলেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে উঠে এসেছে। তাই বলছি, আমরা যদি স্বপ্ন দেখি, বড় কিছু হওয়ার চিন্তা করি তাহলে কিন্তু ওই কাজটা করার জন্য ভেতর থেকে সব সময় তাড়া দেবে। প্রত্যেকটা মানুষের একটা বিশেষ মেধা আছে সেটা যদি এক্সফ্লোর করে তাহলে অনেক অসাধ্য সাধন করা যায়। তারুণ্যের শক্তিই এই দেশকে নতুন করে গড়ে তুলতে পারবে। প্রত্যেকে যদি যার যার অবস্থান থেকে ভাবেন চিন্তা করেন তাহলেই কিন্তু নতুন বাংলাদেশ দেখতে পাব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন— বেসিস এসইআইপি প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল মান্নান, পেন্সিলবক্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী খন্দকার আলী আসগর পাভেল, গো গেমস বাংলাদেশের এসভিপি ও নার্ড ক্যাসেলের কো-ফাউন্ডার জহিরুল ইসলাম তাইমুন, বেসিস এসইআইপি প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর (জবপ্লেসমেন্ট) মো. রফিকুল ইসলাম, স্পন্দন আইটি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ এম রহমান প্রমুখ।
এমএইচ/আরএ/