ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সাকিব অন ফায়ার
সাকিবের তৃতীয় দফা অধিনায়কের যাত্রা শুরু হলো ৭ উইকেটের হার দিয়ে। জয়-পরাজয় খেলারই অংশ। কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশ দল উইন্ডিজের মতো দলের কাছে হেরেছে তা যেন নতুন করে দায়িত্ব পাওয়ার পর সাকিব আল হাসান মেনেই নিতে পারছেন না।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অতীতে দেখা গেছে এ রকম হারের পর অধিনায়ক ‘ঢাল’ হয়ে সতীর্থদের আগলে রেখেছেন। প্রকাশ্যে কারো সমালোচন করেননি। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা নানাভাবে প্রশ্ন করার পরও, এমনকি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ক্রিকেটারে নাম উল্লেখ করে প্রশ্ন করার পরও অধিনায়করা তার পক্ষই অবলম্বন করেছেন। কিন্তু এবার সাকিব ব্যতীক্রম। সতীর্থদের ব্যর্থতায় কোনো রাখ-রাখ ডাক নেই। সরাসরি সমালোচনা করছেন।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিনই ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে এসে ব্যাটসম্যানদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘যার যার দায়িত্ব তার তার পালন করতে হবে। কেউ মুখে তুলে খাইয়ে দিয়ে যাবে না।’
এবার ম্যাচ শেষে ৭ উইকেটের হারের বেদনা নিয়ে তিনি আরো বেশি তীর্যক। ব্যাটিং ব্যর্থতায়ই বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে। প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছিল ২৪৫ রানে। উভয় ইনিংসেই সাকিবের ব্যাট হেসেছিল। করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে তিনি স(৫১) ছাড়া আর কেউ সেভাবে রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৬৩ রানের ইনিংসের পাশাপাশি নুরুল হাসান সোহান করেছিলেন ৬৪ রান। এরপর ২৫ রানও কেউ করতে পারেননি। সাকিব এটিকে দেখছেন ব্যাটসম্যানদের ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যা হিসেবে।
তিনি বলেন, ‘ টেকনিক্যালি অনেক সমস্যা আছে। আমার মনে হয় না যে আমাদের খুব বেশি টেকনিক্যালি সাউন্ড খেলোয়াড় বেশি আছো। আমাদের দলের যারা আছে সবারই টেকনিক্যাল সমস্যা আছে। কীভাবে রান করতে হবে, ক্রিজে থাকতে হবে তাদের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। টা খুবই গুরুত্ব¡পূর্ণ। এটা কাউকে বলে দিয়ে কাজ হবে বলে আমার মনে হয় না। ব্যক্তিগতভাবে সবাইকে দায়িত্ব নিতে হবে কীভাবে সে রানে ফিরতে পারে বা ক্রিজে বেশিক্ষণ সময় কাটাতে পারবে।’
এর আগে প্রেজেন্টেটশন মঞ্চে তিনি বলেছিলেন, এভাবে মেনে নেয়া যায় না’ সেখানে তিনি আরো জানিয়েছিলেন এই টেস্টে টস একটা বিরাট ভুমিকা রেখেছে। কিন্তু এখানে কারো হাত নেই।
কোচরা টেকনিক্যাল সমস্যা ধরতে পারলেন না সাকিব পারলেন? তিনি কি এ নিয়ে কোচদের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন কি না?
এ রকম প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘দেখেন এটা তো আমার আসলে খুব বেশি আলোচনার বিষয় না। কোচেরই আলোচনা করার বিষয়। এখন আমি যদি কোচিংও করি, অধিনায়কত্বও করি, তাহলে তো সমস্যা। আমার যতটুকু কাজ ওতোটুকুতে আমি যদি থাকি আমার মনে হয় বেটার। আমার দায়িত্ব যতটুকু, ততটুকু পালন করার আমি চেষ্টা করব। বাকি যাদের যাদের যে পার্টটা আছে, তার সবাই যার যার জায়গা থেকে দায়িত্ব নিয়ে তাদের কাজটা করলে সবার জন্য সহজ হবে।’
এভাবে টেস্ট হেরে যাওয়া নিয়ে সাকিব জানান প্রথম দিনের প্রথম শেসনেই তারা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলেন। যেখনে তারা পরে আর ফিরে আসতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘প্রথম দিনের প্রথম সেশনের পর থেকেই আমরা পেছনে ছিলাম খেলায়। আমাদের রিকোভারি প্রসেসটা ছিল, আমরা সামনের দিকে যেতে পারিনি। ওটাই আফসোসের জায়গা। ’ তবে ম্যাচের ফলাফল নিয়ে তিনি খুশি বলে জানান! কারণ এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা তার ছিল না।
তিনি বলেন, ‘ওভারঅল আমি হ্যাপি পুরো ম্যাচটা নিয়ে। এর থেকে খুব বেশি প্রত্যাশা ছিল তা বলবো না। কিন্তু যেটা আমি মনে করি আমাদের এই এভিলিটিটা ছিল যে অনেক কিছু ভালো করার, সেই সুযোগটা আমরা নষ্ট করলাম।
এমপি/এমএসপি