তামিমের সেঞ্চুরির পর এবাদতের তিন তোপ
৩১০-১৬২=১৪৮, ১৪৮-৫৪=৯৪। এ ৯৪ রান হলো বাংলাদেশের আট ব্যাটসম্যানের। যেখানে দলীয় রান ছিল ৭ উইকেটে ৩১০ রানে ইনিংস ঘোষণা। ১৬২+৫৪= ২১৬ রান হলো দুইজনের।
প্রথম টেস্ট খেলতে নামার আগে উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে ছোট করে এ ছিল বাংলাদেশ দলের সারমর্ম। যা শুধুমাত্র হতাশাই ছড়ায়। বারবার উঁকি দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দলীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার করুণ চিত্র। ১৬২ রান করে করে তামিম ইকবাল অপরাজিত ছিলেন। ৫৪ রান ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। দলীয় ব্যাটসম্যানদের এমন নিদারুণ ব্যর্থতার পরও বাংলাদেশ দল ইনিংস ঘোষণা করতে পেরেছিল তামিম-নাজমুলের ব্যাটে ভর করে। তাই বলা যায় ১৬ জুন শুরু হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের আগে ব্যাটিং ব্যর্থতার বুক কাঁপানি নিয়েই খেলতে নামতে হবে। কিন্তু শুধু কী ব্যাটিং ব্যর্থতাই। বোলিং বিভাগের খবর কী? সেখানেও তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে আশার ঝিলিক নেই। বাংলাদেশের ইনিংস ঘোষণার পর স্বাগতিকরা দিন পার করেছে ৪ উইকেটে ২০১ রান করে। ব্যাট হাতে যেমন তামিম এককভাবে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন, বল হাতে তেমনি এবাদত হোসেনও। তিনি পতন হওয়ার চার উইকেটের তিনটিই পকেটে ভরেছেন। অপরটি ছিল রেজাউর রহমান রাজার।
৬ উইকেটে ২৭৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় দিন খুব বেশি সময় ব্যাটিং করেনি। মোসাদ্দেকের উইকেট হারিয়ে ৩১০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে। মোসাদ্দেক ১৯ রান করেন। তামিম আগের দিনের ১৪০ রানের সঙ্গে যোগ করেন আরও ২২ রান।
অ্যান্টিগার কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইনিংস ঘোষণার পর বল হাতে পেয়ে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতে ভালো কিছু করতে পারেননি। এ সুযোগে উইন্ডিজ প্রেসিডেন্ট একাদশের দুই ওপেনার টি চন্দরপল ও সোলোজানো পরো ফায়দা তুলে নেন জুটিতে শতরান তুলে। রেজাউর রহমান রাজার কল্যাণে দলীয় ১০৯ ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। রাজা ৫৯ রানে ফিরিয়ে দেন টি চন্দরপলকে। উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর শুরুতে অন্যদের সঙ্গে যে এবাদত এলোমেলো বোলিং করেছিলেন, সেই এবাদতই তুলে নেন দিনের পতন হওয়া বাকি তিন উইকেটই। একে একে তিনি আউট করেন ইমলেচ (২৭), আথানাজ (০) ও রোস্টান চেইজকে (৬)। এবাদতের কারণেই স্বাতিকদের রান এক উইকেটে ১৫৫ থেকে পরিণত হয় চার উইকেটে ১৬৭। ১২ রানে হারায় তিন উইকেট। কিন্তু এরপর আর দিনের বাকি সময় স্বাগতিকদের কোনো উইকেট তুলে নেওয়া আর সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের বোলারদের। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সোলোজানো কারিয়াকে নিয়ে আজ আবার ব্যাট করতে নামবেন। সোলোজন আছেন সেঞ্চুরির কাছাকাছি ৮৩ রানে অপরাজিত। কারিয়ার রান ২৩। এবাদত ১২ ওভারে ৫১ রানে নেন তিন উইকেট। রেজাউর রহমান রাজা ১৩ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নেন এক উইকেট। এ দিন অধিনায়ক লিটন দাস সাতজন বোলার ব্যবহার করেন।
এমপি/এসএন