রংপুরকে সিলেটের ১৭০ রানের চ্যালেন্জ
নিজেদের মাঠে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়ে বাজেভাবে ম্যাচ হারের পর সিলেট স্ট্রাইকারস শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ২ উইকেটে ১৭০ রানের চ্যালেন্জিং স্কোর দাঁড় করিয়েছে।
সিলেটের এই সংগ্রহে মূল ভূমিকা রাখেন বিপিএলের সেরা ব্যাটসম্যান তৌহিদ হৃদয় ও এই ম্যাচের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১০.৪ ওভারে ৫৯ রানে ২ উইকেটের পতন হওয়ার পর এই দুই ব্যাটসম্যান বাকি ৯.২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ১১১ রান যোগ করেন৷ সিলেটের প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ১ উইকেটে ৫৫। পরের ১০ ওভারে আসে ১ উইকেটে ১১৫ রান।
তৌহিদ হৃদয় ৫৭ বলে ২ ছক্কা ও ১৩ চারে ৮৭ ও মুশফিক ৩৫ বলে ৩ ছক্কা ও ৫ চারে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তৌহিদের এটি ছিল এবারের বিপিএলে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ এবং পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি। মুশফিকের ছিল প্রথম হাফ সেঞ্চুরি।
আগের বারের মোকাবেলার ভয়াবহ স্মৃতি মাথায় রেখে সিলেটের ব্যাটসম্যানেরা ছিলেন অতিমাত্রায় সাবধানী। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারানোর পরও রান উঠে মাত্র ২৬।
এ সময় তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ১৯ ও নাজমুল ১৩ বল খেলে ৩ রান করেন। ৬ রানের বেশি কোনও ওভারেই নিতে পারেনি। এর মাঝে আজমতউল্লাহ ওমরজাই পাওয়ার প্লেতে ৩ ওভার বোলিং করে প্রথম ২ ওভারেই কোনও রান দেননি। তৃতীয় ওভারে রান দেন ১।
ব্যাটিং পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর দুই ব্যাটসম্যান খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসার চেষ্টা করেন। যে আজমতউল্লাহ ওমটজাইয়ের বল খেলতেইন পারছিলেন না নাজমুল ও তৌহিদ,সেখানে নাজমুল পরপর দুই বলে বাউন্তারিন মেরে আজমতউল্লাহর চতুর্থ ওভার শুরু করেন। ১১ রান আসে সেই ওভার থেকে। কিন্তু থেমে যেতে হয় অল্পতেই। হাসান মাহমুদ বল হাতে তুলে নিয়েই নাজমুলকে (২২ বলে ১৫ রান) ফিরিয়ে দেন বোল্ড করে।
জাকির হাসান (৭ বলে ৭ রান) এসে শুরু থেকেই হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন। তারই খেসারত দেন শেখ মাহেদি হাসানের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আ্যরন জোনসের হাতে ধরা পড়েন।
রানের গতি বাড়ানের তাগিদ থেকে মাশরাফির অনুপস্থিতিতে এই ম্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিনায়ক মুশফিকও এসে আক্রমণ শুরু করেন।শেখ মাহেদি হাসানকে ছয় মেরে খুলেন রানের খাতা। অপরপ্রান্তে ফর্মে থাকা তৌহিদ হৃদয়ও সচেষ্ট ছিলেন রান বাড়াতে। জাকির আউট সময় যেখানে দলের রান ছিল ওভার প্রতি ছয়ের নিচে, সেখানে মুহুর্তেই তা ছয়ের উপরে চলে যায়।
মুশফিকের স্ট্রাইকরেট শুরু থেকেই ছিল একশর উপরে। তৌহিদ হৃদয়ও হাসান মাহমুদকে পরপর তিন বলে ৪,৬,৪ মেরে স্ট্রাইকরেট একশর উপরে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এবারের বিপিএলে নিজের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরিও তুলে নেন ৪৩ বলে।
দুই ব্যাটসম্যানের এ রকম মারমুখি ব্যাটিংয়ে সিলেটের রান যেখানে ১০ ওভার শেষে ছিল ১ উইকেটে ৫৫, সেখানে ১৫ ওভার শেষে রান দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১১০। ওভসর প্রতি রান গিয়ে দাড়ায় ৭.৩৩।
এই ৫ ওভারে রান আসে ৫৫। তৌহিদ ৪৬ বলেে ৫৯, মুশফিক ১৫ বলে ২৫ রান।
পরের ৫ ওভারে সিলেটের রান আসে যথাক্রমে ১১(রবিউল),১২ ( হাসান মাহমুদ), ১৫ ( হারিস রউফ), ১৪ ( হাসান মাহমুদ)ও ৮ (হারিস রউফ)। এ সময় মুশফিক ৩০ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন।
রংপুরের শেখ মাহেদি হাসান ২০ ও হাসান মাহমুদ ৪৮ রানে নেন একটি করে উইকেট।
এমপি/এমএমএ/