সিলেট পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান শান্তর
দর্শকে ঠাসা, রান ফোয়ারা- সব মিলিয়ে দারুণভাবে জমে উঠেছিল নবম বিপিএলের সিলেট পর্ব। চার দিনের আটটি ম্যাচের অধিকাংশ ম্যাচই ছিল উত্তেজনায় ঠাসা। জয়-পরাজয়ে ভূমিকা রেখেছে পরে ব্যাট করা দলের। আট ম্যাচর সাতটিতেই পরে ব্যাট করা দল জয়ী হয়েছে। শুধু খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে সিলেট স্ট্রাইকার্স আগে ব্যাট করে জয়ী হয়েছিল ৩১ রানে।
সিলেট পর্ব শেষে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীর তালিকায় নতুন করে উঠে এসেছেন সিলেটের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০ ম্যাচে তার রান ৩৫৬। সিলেটে তার ব্যাট থেকে এসেছে দুইটি হাফ সেঞ্চুরির ইনিংস। যার একটি ছিল অপরাজিত ৮৯ রানের। সিলেটে পর্ব শুরু হওয়ার আগে সর্বোচ্চ রান ছিল সাকিবের। তিনি নেমে এসেছেন তিনে। ৯ ম্যাচে তার রান ৩১১। দ্বিতীয় স্থানে আছেন জাতীয় দল খেলাকালীন ফিনিশার হিসেবে পরিচিত নাসির হোসেন। ১০ ম্যাচে তার রান ৩৪০। বল হাতেও তিনি বেশ সফল। ১২ উইকেট নিয়ে আছেন তিনে। অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে তিনিই সেরা। তিনশোর্ধ রান আছে তামিম ইকবালেরও। সিলেটে ইতিহাস গড়া শেষ ম্যাচে তামিম ইকবাল ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হন। তার রান ৯ ম্যাচে ৩০১।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় প্রথম চারটি স্থান বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দখল করে নেওয়ার পর পঞ্চম স্থানে আছে বিদেশি ক্রিকেটার। ফরচুন বরিশালের পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান ইফতেখার আহমেদ ৯ ম্যাচে ২৯৬ রান করেছেন। এই ৫ জনের মাঝে তার ব্যাট থেকেই এসেছে একমাত্র সেঞ্চুরি। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তিনি খেলেছিলেন অপরাজিত ১০০ রানের ইনিংস।
ইনজুরির কারণে মাঝ পথে দুইটি ম্যাচ খেলতে না পারা তৌহিদ হৃদয় আবার ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে ম্যাচে ফিরলেও রান পাচ্ছিলেন না। অবশেষে সিলেটে শেষ ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রানের ইনিংস। এই ইনিংস খেলে তিনি ২৮৮ রান করে উঠে এসেছে ছয়ে। এরপরের স্থান চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা জাতীয় দলের আফিফ হোসেনের। তার রান ৯ ম্যাচে ২৬২। শীর্ষ দশে বাকি তিনজনের দুইজনও বাংলাদেশের। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে খেলা পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ৭ ম্যাচে ২৫৫ রান করে আটে থাকার পর ৯ ও ১০ এনামুল হক বিজয় ও লিটন কুমার দাস। এনামুল ৯ ম্যাচে ২৩৭ ও লিটন ৯ ম্যাচে ২৩৪ রান করেছেন।
এমপি/এসএন