সব হারিয়ে জ্বলে উঠল ঢাকা, হারাল বরিশালকে
প্লে-অফে যাওয়ার লড়াই থেকে বাদ পড়ে অবশেষে জ্বলে উঠল ঢাকা ডমিনেটরস। আগের দিন রংপুর রাইডার্সের কাছে ৫ উইকেটে হেরে প্লে-অফে যাওয়ার সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটেছিল ঢাকার। ফলে বাকি তিন ম্যাচ তাদের জন্য হয়ে উঠে আনুষ্ঠানিকতার। সেই অনুষ্ঠানিকতার ম্যাচে তারা সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালকে হারিয়েছে ৫ উইকেটে।
টস জিতে বরিশালের করা ৮ উইকেটে ১৫৬ রান ঢাকা অতিক্রম করে ৭ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে ১৫৭ রান করে। এই ফলাফলে ঢাকার তেমন কোনো না লাভ না হলেও বিরাট ক্ষতি হয়ে গেছে বরিশালের। কারণ কোয়ালিফায়ার-১ খেলতে হলে বরিশালকে সেরা দুই দলের একদল হয়ে লিগ শেষ করতে হবে। এই হার তাদেরকে বেশ পিছিয়ে দিল। ৯ ম্যাচে বরিশালের পয়েন্ট ১২, ঢাকার ১০ ম্যাচে পয়েন্ট ৬।
ঢাকার সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল বরিশালের ৮ উইকেটে করা ১৫৬ অতিক্রম করা। চলতি আসরে ঢাকার ব্যাটিং লাইনের যে দুরাবস্থা, তাতে করে এই রান ঢাকার জন্য পাহাড় সমান ছিল! কিন্তু সব হারিয়ে ঢাকার ব্যাটারা যেন নিজেদের ফিরে পান। রানখরায় ভুগতে থাকা মোহাম্মদ মিঠুন ও সৌম্য সরকার ইনিংসের উদ্বোধন করতে এসে দলকে জয়ের ভিত গড়ে দিয়ে যান মাত্র ৭.৪ ওভারে ৭৪ রানে এনে দিয়ে। পাওয়ার প্লেতে রান আসে ৫৫।
২২ বলে ২টি ছক্কা ও ৪টি বাউন্ডারিতে সৌম্য ৩৭ রান করে করিম জানাতের বলে উইকেটের পেছনে এনামুল হক বিজয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসলেও মিঠুন চলতি আসরে তুলে নেন নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি। ৩৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে হাফসেঞ্চুরি করার পর তিনি বেশি দূর যেতে পারেননি। ৫৪ রান করে তিনি এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ফিরেন। এসময় দলের রান ছিল ১১.২ ওভারে ২ উইকেটে ১০৩ রান। জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৪ রানের। হাতে ওভার ৮.৪টি অথবা ৫২টি ডেলিভারি।
৫২ বলে ৫৪ রান। হাতে উইকেট ৮টি। এ আর এমন কী কঠিন কাজ। সেই কাজটি আরও সহজ হয়ে উঠে আব্দুল্লাহ আল মামুনের ২৬ বলে ২ ছক্কা ১ চারে ২৬ রান, নাসির হোসেনের ১৬ বলে এক ছক্কা ও ২ চারে অপরাজিত ২০ রান, অ্যালেক্স ব্ল্যাকের ১২ বলে তিন চারে ১৫ রানের ইনিংসের সুবাদে। ম্যাচসেরা হয়েছেন মিঠুন।
সাকিব ১৮ ও সানজামুল ইসলাম ৩৫ রানে ২টি করে উইকেট নেন।
এমপি/এসজি