লিজ নেওয়া জমিতে আবাদ করে বছরেই লাখপতি
সরকারি জমি লিজ নেয়ার পর সবজি চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুড়িয়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের শাহাজান ইসলাম নামে এক কৃষক। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রথমবার সবজি বিক্রি করে লিজের টাকা উঠিয়েছেন তিনি। জেলা সদরের মাদারগঞ্জ এলাকার পরিত্যক্ত বিমানবন্দরের সাত বিঘা জমি বছর প্রতি মাত্র আশি হাজার টাকায় লিজ নিয়ে সবজি বিক্রির পর এরইমধ্যে লাখ টাকা আয় করেছেন।
চলমান সময়ে ওই জমিতে লাউ, চিচিঙ্গা (কায়থা) ও পেঁপে আবাদ করে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন। প্রতিটি মাচায় ও গাছের লতাপাতায় ঝুলছে টাটকা এসব সবজি। পেঁপে গাছেও চোঁখ জুড়ানো ফল।
বর্তমান বাজারে সব ধরনের সবজির দাম চড়া হওয়ার কারনে তার লিজ নেয়া জমি থেকেই উৎপাদিত সবজি ক্রয় করছেন জেলার পাইকাররা। বাজারে চড়া দাম হলেও বাগান থেকে কিটনাষক মুক্ত কম দামে সবজি ক্রয় করে লাভবান ব্যবসায়ীরাও।
বর্তমানে সেখান থেকে প্রতি পিচ লাউ ২০ টাকা, চিচিঙ্গা (কায়থা) ১২-১৪ টাকা কেজি। পেঁপে আট থেকে দশ টাকা কেজি দরে। অথচ খুচরা বাজারে প্রতি পিচ লাউ ৩০ টাকা, চিচিঙ্গা (কায়থা) ২০-২৫ টাকা ও পেঁপে ১৫-২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃষকের লিজ নেয়া জমিতে এবার পর্যাপ্ত সবজি উৎপাদন হওয়ায় এরইমধ্যে এক লাখ টাকার বেশি সবজি বিক্রি করেছেন। যা এখনো চলমান। তার এমন সফলতা দেখে স্থানীয় কৃষকরা উদ্ভুদ্ধ হচ্ছেন সবজি চাষে। ছুটে আসছেন পরামর্শ নিতে। সবজি আবাদ করে শাহাজান ইসলাম ও তার পরিবারকে সাবলম্বী হওয়া পথ দেখিয়েছে। তাই শ্রমিকদের সাথে পরিবারের সদস্যরাও শ্রম দিয়ে চলছেন সেখানে। কর্মসংস্থান হয়েছে স্থানীয় অনেকের।
স্থানীয় কৃষক আব্দুল লতিফ, সমশের আলী, আব্দুল জলিল জানান, আগে এই জমি পরে ছিল। কয়েক বছর ধরে লিজ দেয়া হচ্ছে। সেই জমি লিজ নিয়ে সবজি আবাদ করে সফল শাহাজাহান। প্রচুর উৎপাদন হয়েছে দামও পাচ্ছে ভাল। আমরাও তার কাছে পরামর্শ নিচ্ছি এতো ভাল উৎপাদনের বিষয়ে।
এ বিষয়ে শাহাজান আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, জমি লিজ নেয়ার পর প্রথম বারের মত সবজি কর্তন করেছি। যা চলমান এখ পর্যন্ত একলাখ টাকার উপর সবজি বিক্রি করেছি। প্রথম বারে আশা করছি আরো পঞ্চাশ হাজার টাকার সবজি বিক্রি হবে। বছরে তিন বার ফসল উৎপাদন করা যাবে এই জমিতে। ভাল ভাবে ফসল উৎপাদন করতে পারলে এক মৌসুমেই কয়েক লাখ টাকা আয় হবে। তবে জমি পরিচর্যা করতে হবে তা না হলে ভাল ফলন সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধদিপ্তরের উপ-পরচিালক ড. মোঃ আব্দুল আজিজ ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, তিনি সফল কৃষকের মধ্যে একজন। কিটনাষকমুক্ত সবজি বাজারে যেমন চাহিদা পুরণ করছে তেমনি পরিবারে ফিরেছে সচ্ছলতা। কৃষি বিভাগ সব সময় অন্যান্য কৃষকদের মত তাকেও পরামর্শ দিচ্ছে।
এএজেড