১৯ বছরেও তৈরি হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
রাজশাহীর তিন উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ১৯ বছর আগে তৈরি হয়েছে সেতু। সেতুর নিমার্ণ কাজ শেষ হওয়ার পরপরই সংযোগ সড়ক হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের পূর্বে এক অদৃশ্য জটিলতায় তা থমকে যায়। এরপর ১৯ বছর পার হলেও ১৫ লাখ টাকার এই সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। কমেনি দুর্ভোগ।
ফসলি জমির মাঝে রাজশাহীর তিন উপজেলা তানোর, মোহনপুর এবং গোদাগাড়ির মানুষের জন্য এই সেতু তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলেন তানোর চান্দুড়িয়া ইউপির তৎকালীন চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন।
স্থানীয়রা বলছেন, জনদুর্ভোগ কমাতে ১৯ বছর আগে নেয়া উদ্যোগ দৃশ্যত কাজে আসেনি। সেতু তৈরি হলেও সড়ক আর তৈরি হয়নি। পরে কয়েক দফা জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেও এই রাস্তায় কেউ আর হাত দেয়নি।
সংযোগটি তৈরি হলে এই তিন উপজেলার মানুষের ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার ঘুরে গন্তব্যে যাওয়ার দুর্ভোগ কমবে বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে চান্দুড়িয়া ইউপি সচিব মো. ওয়াকিল শেখ জানান, এটা সত্য যে এই সড়কটি তৈরি হলে তিনটি উপজেলার মানুষের দুর্ভোগ কমবে। কিন্তু সে সময় জমি অধিগ্রহণ নিয়ে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিলো। এরপর এই সেতু নিয়ে আর কেউ কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন জানান, প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি তৈরি হলেও সড়ক বাকি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি কাজ শেষ করে যেতে পারেননি।
এ বিষয়ে চান্দুড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. মজিবর রহমানা ও তানোর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. লুৎফর হায়দার রশিদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
এমএসপি