সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার কষ্টের দিনাতিপাত, পাশে দাঁড়ালেন ডিসি
স্বামী নেই। দুই সন্তানকে নিয়ে মাহামুদা আক্তারের জীবন চলছে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো। সেলাই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবেন এই আশায় একটি সেলাই মেশিন পেতে দরখাস্ত নিয়ে আসেন বরগুনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমানের কাছে। অথচ মাহমুদা সেলাইয়ের কাজই জানেন না। তাই জেলা প্রশাসক তাকে সেলাইয়ের কাজ শেখার পরামর্শ দেন। একই সাথে একটি সেলাই মেশিন ক্রয় করে দেয়ারও আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসকের পরামর্শে মাহমুদা বরগুনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র হতে সেলাই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। শেখেন সেলাইয়ের কাজ। প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট নিয়ে ফিরে আসেন জেলা প্রশাসকের কাছে।
বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) বিকালে আশ্বাস অনুযায়ী অসহায় এই নারীর হাতে একটি সেলাই মেশিন তুলে দেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।
জানা গেছে, সেলাই কাজ করে মাহমুদা যেন তার দুই সন্তান নিয়ে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে। তাকে যেন আর কষ্ট করে দিনাতিপাত করতে না হয় তারই সুব্যবস্থা হিসেবে জেলা প্রশাসন থেকে তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এই সেলাই মেশিন। মেশিন পেয়ে মাহমুদা আক্তার ও তার দুই সন্তানের চোখে যেন আনন্দের কান্না।
সেলাই মেশিন পেয়ে মাহামুদা আক্তার বলেন, যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করে সেলাই কাজ শিখেছি। সেখান থেকে সার্টিসিকেট পেয়ে জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আসলে স্যার আমাকে একটি মেশিন উপহার দেন। এখন সেলাইয়ের কাজ করে আমাদের কষ্ট কিছুটা কমবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাবিবুর রহমান বলেন, প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের উচিত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাদের সামান্য সহায়তায় একটি পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হতে পারে। আজকের এই আয়োজন তারই একটি প্রমাণ।
এসআইএইচ