চাপে পড়ে দুই প্রেমিকাকে একসঙ্গে বিয়ে
দুই তরুণীর সঙ্গে এক সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন প্রেমিক রোহিনী চন্দ্র বর্মন রনি (২৫)। ইতি রানীর সঙ্গে তিন বছর আর মমতা রানীর সঙ্গে ৫ মাসের সম্পর্ক। ইতিকে না পারছেন বিদায় জানাতে আর মমতাকে না পারছেন ভুলতে। তাই দৈত সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন দিব্যি। বিষয়টি জানাজানির পর চাপে পড়লে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দুই প্রেমিকাকেই একসঙ্গে বিয়ে করতে বাধ্য হন প্রেমিক রনি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীদার এলাকায়।
স্থানীয়রা জানায়, ওই এলাকার যামিনী চন্দ্র রায়ের ছেলে রোহিনী চন্দ্র রনির সঙ্গে উত্তর বলরামপুর এলাকার গিরিশ চন্দ্রের মেয়ে ইতি রানীর প্রেমের সম্পর্ক তিন বছর ধরে। প্রায় ছয় মাস আগে একটি মন্দিরে গিয়ে গোপনে ইতিকে বিয়ে করেন এই যুবক। এর পাশাপাশি উত্তর লক্ষ্মীদ্বার এলাকার টনো কিশোরের মেয়ে মমতার সঙ্গেও প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ১২ এপ্রিল রাতে মমতার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তার পরিবারের লোকজন রনিকে আটক করে রাখে। পরদিন ওই পরিবার তাদের বিয়ে দেন। এই খবর শুনে ১৩ এপ্রিল সকাল থেকে প্রথম প্রেমিকা ইতি রনি বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। এদিকে বিয়ের দুই দিন পর মমতাসহ রনিকে তার বাড়িতে দিয়ে আসে মমতার পরিবারের লোকজন।
অন্যদিকে ইতির অনশন চলতেই থাকে। এর এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে রনির পরিবার বাধ্য হয়ে দুই প্রেমিকার সঙ্গে রনির বিয়ে সম্পন্ন করেন। নানা নাটকীয়তার পরে এই বিয়ে সম্পন্ন হওয়ায় তিন পরিবারই খুশি। খুশি রনি ও তার দুই প্রেমিকা ইতি ও মমতাও। বুধবার দুই বধূর সঙ্গে বরের ছবি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কেউ বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। আবারও ট্রল করছেন এই ছবি দিয়ে।
এ বিষয়ে রনির নাম্বারে কল করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে রনির বাবা যামিনী চন্দ্র বর্মন বলেন, ছেলে- মেয়ে কারো কোনও আপত্তি নেই। তাই আমাদেরও কোন আপত্তি নেই। আমরা দুই মেয়েকেই আমরা মেনে নিয়েছি। আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দিয়েছি।
এ ব্যাপারে বলরামপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওই দুই মেয়েকে নিয়ে গন্ডগোল চলছিল। পরে শুনেছি তারা দুই মেয়েকেই একসঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে দিয়েছি।
এসআইএইচ