শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সুনামগঞ্জের ২৩ হাওরে ক্ষতি ৫৯ কোটি টাকা

‘ক্ষেত (জমি) করার লাগি সুদে টেকা (টাকা) আনছিলাম ১২ হাজার। ধান তুইল্লা সুদে-আসলে টেকা ফিরত দিতাম। বড় পোলাডা (ছেলে) ম্যাট্রিক (এসএসসি) পাস করছে। তারে কলেজে খালি ভর্তি করছি ‘আশা’ থাইক্কা ঋণ তুইল্লা। অখন তো ধানই নাই। সুদ দিমু ক্যামনে,আর কিস্তির টাকাই বা ক্যামনে দিতাম।’

জেলার দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের পাড়ে বসেই কথাগুলো বলছিলেন জয়নাল মিয়া। অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কৃষক জয়নাল মিয়ার একমাত্র বোরো ফসল। ফসল তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে আগামীর স্বপ্নও ফিকে হয়ে গেছে এ কৃষকের। জেলার ছোটো-বড় প্রায় ২৩টি হাওরে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাওরের ফসল। অপরিকল্পিত বাধঁ নির্মাণের ফলে শুধু জয়নাল নয় অনেক কৃষকের আহাজারি বাড়ছে এখন হাওরাঞ্চলে।

হাওরপাড়ের কৃষকদের আহাজারি নতুন নয়। প্রতি বছরই বাঁধ ভাঙে। তলিয়ে যায় কৃষকদের কষ্টার্জিত বোরো ফসল। গণমাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হয়। কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কৃষকদের ক্ষোভে সহমর্মিতা ও দুঃখপ্রকাশ করেন দায়িত্বশীলরা। সামান্য সহযোগিতাও পাওয়া যায়। কিন্তু বরাবরই অধরাই থেকে যান দুর্নীতিবাজরা। ফের বর্ষার আগে শুরু হয় বাঁধ নির্মাণ। প্রতিবারই পিআইসি হয়। নামকাওয়াস্তে কাজের বিনিময়ে লোটপাট হয় সরকারের টাকা। লাভবান হন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। ফলে বাঁধ নির্মাণকালে পিআইসির দায়সারা কাজের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।

হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। পরে সময় আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়। এরপরও বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ করতে না পারায় অনেক বাঁধ অপরিপক্ব ও কাঁচা রয়ে গেছে। অথচ এসব বাঁধ নির্মাণের কাজ ও প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দায়িত্ব পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসনের।

হাওরপারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। কোথাও মাটির সঙ্গে বালু মিশিয়ে বাঁধে ফেলা হয়েছে। কোথাও আবার ফেলা হয়েছে কাদামাটি। মাটি দুরমুজ না করায় অনেক বাঁধ টেকসইভাবে তৈরি হয়নি। ফলে সামান্য পানির তোড়েই বাঁধ ভেঙে হাওরে প্রবেশ করেছে পানি।

জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে হাওর রয়েছে প্রায় ১৩৯টি। হাওরের ফসল রক্ষায় ৭২৭টি পিআইসির অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ বলে শুরু থেকে আওয়াজ তোলেন হাওরপাড়ের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় ২৩টি হাওরের বাঁধ। গত ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঢলের পানির চাপে কেবল সুনামগঞ্জ জেলায় ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যায়। টাকার অংকে ৫৯ কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

আর্তনাদ বাড়ছে কৃষকদের
জেলার হাওর এলাকায় পানি কিছুটা নামলেও ফসলহারা কৃষকদের কান্না এখনও থামেনি। সারা বছরের খোরাকি হারিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। সদ্য ফসলহারা স্বচ্ছল গৃহস্থ পরিবারগুলো এখন কোথায় যাবে, কার কাছে হাত পাতবে সেই চিন্তায় অস্থির। এ রকম করুণ চিত্র এখন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের চাপতির হাওর, তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, এরালিয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ সদরের কাংলার হাওর পাড়ের কৃষকদের ঘরে ঘরে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরুপায় কৃষকদের ডুবে যাওয়া কাঁচা অপরিপক্ক ধান কুড়িয়ে তুলতে দেখা গেছে দিরাইসহ কয়েকটি উপজেলার বেশ কয়েকটির হাওর পাড়ের গ্রামে। বৈশাখী বোরো ধান এ অঞ্চলের প্রধান ফসল। এটিকে ঘিরে সারা বছরের স্বপ্ন দেখেন কিষান-কিষানিরা। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে তাদের সব স্বপ্ন ভেসে গেছে। তবে বড় বড় হাওরগুলো ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে।

হাওরপাড়ের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর মধ্যে দিরাইয়ের চাপতির হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল, ধর্মপাশার চন্দ্র সোনারতাল হাওরে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও বৃহত্তর টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসলসহ জেলার ১২ উপজেলার ছোট-বড় ২০টি হাওরের ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসলহানীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও সর্বশেষ তাহিরপুরের এরালিয়াকোনা হাওর, ধর্মপাশার মুক্তারখলা হাওর পানির নিচে তলিয়েছে।

ফের আতঙ্ক হাওরে
ফের আতঙ্ক বেড়েছে হাওরে। আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টায় নদীর পানি ফের বাড়তে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সুনামঞ্জের প্রধান নদী সুরমা, যাদুকাটা ও পুরাতন সুরমাসহ সুনামগঞ্জের সব নদনদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।

পাউবো জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় ও আসাম প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরের ফসল ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গত চার দিন ধরে প্রতিটি নদীতেই পানি কমছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ৭২ ঘণ্টা মেঘালয় ও আসমে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নদ নদীর পানি দ্রুত বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।

এদিকে সুনামগঞ্জে হাওর তলিয়ে ফসল নষ্টের পাশাপাশি নতুন করে বেশ কয়েকটি বাঁধে ফাটল ধরায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে জেলার কয়েকটি হাওরের ফসল। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বর্ধিত গুরমা হাওরের ‘বাগমারা’ নামক ফসলরক্ষা বাঁধটি ধসে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে বাঁশ, কোটা দিয়ে কোনো রকমে বাঁধটি টিকিয়ে রেখেছেন।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাগমারা বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করতে না পারলে ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার নোয়াল, খাউজ্যাউরি ও বংশীকুণ্ডাসহ তিনটি হাওরের প্রায় ১০ হাজার একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাবে।

ক্ষতির পরিমাণ
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, শনিবার পর্যন্ত (৯ এপ্রিল) জেলায় ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ফসলহানি ঘটেছে দিরাইয়ে। এ উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। ধর্মপাশায় ৯৬৫ হেক্টর, শাল্লায় ২০০ হেক্টর, সদরে ১০০ হেক্টর, দোয়ারাবাজারে ২০ হেক্টর, তাহিরপুরে ৮৫ হেক্টর এবং ছাতক উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। যার মোট আবাদের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম শনিবার তাহিরপুরের হাওর এলাকার বাঁধ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে জানান, হাওররক্ষা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা দিন-রাত বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন।

যা বলছে হাওর উন্নয়ন সংস্থা
অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য পিআইসি গঠন করার কারণেই বাঁধগুলো নিম্নমানের হয়েছে বলে মনে করেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনেক বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ফলে বাঁধগুলো এখনো নরম ও কাঁচা অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় অকালে পানি চলে আসায় হাওরাঞ্চলে অন্তত ৫০টি বাঁধ ঝুঁকিতে পড়েছে।

কাসমির রেজা আরও বলেন, বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। প্রকল্পের টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী, ৫০ মিটার দূর থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। অনেক বাঁধে মাটি দুরমুজ ও ঢাল বজায় রাখার কাজও করা হয়নি। তিনি বলেন, তবে উজানে ও ভাটিতে নদী খনন করলে ফসল রক্ষায় কাঙি্ক্ষত ইতিবাচক ফল আসবে। নয়তো হাওর সব সময়ই ঝুঁকিতে পড়বে।

হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত পাশা কয়েক দিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওরে বাঁধ পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সরেজমিন অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী কোথাও যথাযথভাবে বাঁধের কাজ হয়নি। সুনামগঞ্জে এখনও সব বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে অনেক বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।

অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে যা বলছেন কৃষক
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে নানা অনিয়ম তুলে ধরেন ধর্মপাশা উপজেলার রাজাপুর বড়হাটির কৃষক আবদুল মালেক। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আপন ভাই ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস,আওয়ামী লীগ নেতা রাজাপুরের আলমগীরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোন্তাসির হাসান সরাসরি বাঁধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রতিটি পিআইসির বিপরীতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন তারা।

এ সময় উদাহরণ দিয়ে আরেক কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ১৮ লাখ টাকার বাঁধের জন্য ঘুষ দিতে হয় ২ লাখ টাকা। আর যাদের পিআইসি দেওয়া হয়, তাদের পুঁজি তেমন নেই। এ ছাড়া, বিল থাকে বকেয়া। ফলে কাজ হয় না ষোলোআনা। যার ফলে দুর্ভোগ পোহান হাওরের হাজারো কৃষক।

এদিকে, হাওরের অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে আবদুল মালেক নামে এক কৃষকের মুখে হাওর দস্যুদের নাম উঠে আসার ভিডিও ক্লিপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনিয়ম তুলে ধরে কৃষক আবদুল মালেক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা গিলে খেয়েছেন হাওর। এ সময় পাশ থেকে একজন দলকে দায়ী না করে ব্যক্তির নাম বলার অনুরোধ করেন।

এ সময় কৃষক আবদুল মালেক বলেন, ‘পুবাইল্লা, চাতল, আশা এ তিন হাওরে ২৪ কেয়ার বোর ধান চাষ করি। কিন্তু সবটাই হাওরের পানিয়ে লইয়া গ্যাচে। এখন আমার বাইচ্চা-কাইচ্চা কিতা খাইবো? কার ধারে যাইবো? সরকারে তো আমরারে সারা বছর খানি দিত না। মনে কইলে সাহায্য হিসেবে ২০ কেজি চাল দিবে। কিন্তু আমার সারা বছর চলবে কীভাবে ?’

জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে ফসলহানি ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা, পিআইসি, জনপ্রতিনিধি যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, যেসব বাঁধ ভেঙেছে, সেসব পিআইসির অধীনে ছিল না। এদিকে বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাওরের ফসল রক্ষায় নদ-নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।

এসএন

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন