সুনামগঞ্জের ২৩ হাওরে ক্ষতি ৫৯ কোটি টাকা
‘ক্ষেত (জমি) করার লাগি সুদে টেকা (টাকা) আনছিলাম ১২ হাজার। ধান তুইল্লা সুদে-আসলে টেকা ফিরত দিতাম। বড় পোলাডা (ছেলে) ম্যাট্রিক (এসএসসি) পাস করছে। তারে কলেজে খালি ভর্তি করছি ‘আশা’ থাইক্কা ঋণ তুইল্লা। অখন তো ধানই নাই। সুদ দিমু ক্যামনে,আর কিস্তির টাকাই বা ক্যামনে দিতাম।’
জেলার দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের পাড়ে বসেই কথাগুলো বলছিলেন জয়নাল মিয়া। অকাল বন্যায় বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কৃষক জয়নাল মিয়ার একমাত্র বোরো ফসল। ফসল তলিয়ে যাওয়ার সঙ্গে আগামীর স্বপ্নও ফিকে হয়ে গেছে এ কৃষকের। জেলার ছোটো-বড় প্রায় ২৩টি হাওরে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে হাওরের ফসল। অপরিকল্পিত বাধঁ নির্মাণের ফলে শুধু জয়নাল নয় অনেক কৃষকের আহাজারি বাড়ছে এখন হাওরাঞ্চলে।
হাওরপাড়ের কৃষকদের আহাজারি নতুন নয়। প্রতি বছরই বাঁধ ভাঙে। তলিয়ে যায় কৃষকদের কষ্টার্জিত বোরো ফসল। গণমাধ্যমে অনিয়ম, দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ হয়। কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কৃষকদের ক্ষোভে সহমর্মিতা ও দুঃখপ্রকাশ করেন দায়িত্বশীলরা। সামান্য সহযোগিতাও পাওয়া যায়। কিন্তু বরাবরই অধরাই থেকে যান দুর্নীতিবাজরা। ফের বর্ষার আগে শুরু হয় বাঁধ নির্মাণ। প্রতিবারই পিআইসি হয়। নামকাওয়াস্তে কাজের বিনিময়ে লোটপাট হয় সরকারের টাকা। লাভবান হন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা। ফলে বাঁধ নির্মাণকালে পিআইসির দায়সারা কাজের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না।
হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের সময়সীমা ছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি। পরে সময় আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়। এরপরও বাঁধ নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। কৃষকদের অভিযোগ, নির্ধারিত সময়ে নির্মাণ করতে না পারায় অনেক বাঁধ অপরিপক্ব ও কাঁচা রয়ে গেছে। অথচ এসব বাঁধ নির্মাণের কাজ ও প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার দায়িত্ব পাউবো ও স্থানীয় প্রশাসনের।
হাওরপারের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন স্থানে বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। কোথাও মাটির সঙ্গে বালু মিশিয়ে বাঁধে ফেলা হয়েছে। কোথাও আবার ফেলা হয়েছে কাদামাটি। মাটি দুরমুজ না করায় অনেক বাঁধ টেকসইভাবে তৈরি হয়নি। ফলে সামান্য পানির তোড়েই বাঁধ ভেঙে হাওরে প্রবেশ করেছে পানি।
জেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, সুনামগঞ্জ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে হাওর রয়েছে প্রায় ১৩৯টি। হাওরের ফসল রক্ষায় ৭২৭টি পিআইসির অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ বলে শুরু থেকে আওয়াজ তোলেন হাওরপাড়ের বাসিন্দারা। এরই মধ্যে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেঙে যায় ২৩টি হাওরের বাঁধ। গত ১ এপ্রিল থেকে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধ ভেঙে বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ঢলের পানির চাপে কেবল সুনামগঞ্জ জেলায় ৫ হাজার ৯০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়ে যায়। টাকার অংকে ৫৯ কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
আর্তনাদ বাড়ছে কৃষকদের
জেলার হাওর এলাকায় পানি কিছুটা নামলেও ফসলহারা কৃষকদের কান্না এখনও থামেনি। সারা বছরের খোরাকি হারিয়ে তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। সদ্য ফসলহারা স্বচ্ছল গৃহস্থ পরিবারগুলো এখন কোথায় যাবে, কার কাছে হাত পাতবে সেই চিন্তায় অস্থির। এ রকম করুণ চিত্র এখন সুনামগঞ্জ জেলার দিরাইয়ের চাপতির হাওর, তাহিরপুরের টাঙ্গুয়ার হাওর, এরালিয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ সদরের কাংলার হাওর পাড়ের কৃষকদের ঘরে ঘরে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিরুপায় কৃষকদের ডুবে যাওয়া কাঁচা অপরিপক্ক ধান কুড়িয়ে তুলতে দেখা গেছে দিরাইসহ কয়েকটি উপজেলার বেশ কয়েকটির হাওর পাড়ের গ্রামে। বৈশাখী বোরো ধান এ অঞ্চলের প্রধান ফসল। এটিকে ঘিরে সারা বছরের স্বপ্ন দেখেন কিষান-কিষানিরা। কিন্তু পাহাড়ি ঢলে তাদের সব স্বপ্ন ভেসে গেছে। তবে বড় বড় হাওরগুলো ঝুঁকির মধ্যে থাকলেও এখনো অরক্ষিত রয়ে গেছে।
হাওরপাড়ের কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর মধ্যে দিরাইয়ের চাপতির হাওরে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমির ফসল, ধর্মপাশার চন্দ্র সোনারতাল হাওরে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল ও বৃহত্তর টাঙ্গুয়ার হাওরে ৩ হাজার হেক্টর জমির ফসলসহ জেলার ১২ উপজেলার ছোট-বড় ২০টি হাওরের ২০ হাজার হেক্টর জমির ফসলহানীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও সর্বশেষ তাহিরপুরের এরালিয়াকোনা হাওর, ধর্মপাশার মুক্তারখলা হাওর পানির নিচে তলিয়েছে।
ফের আতঙ্ক হাওরে
ফের আতঙ্ক বেড়েছে হাওরে। আগামী ২৪-৭২ ঘণ্টায় নদীর পানি ফের বাড়তে পারে। এমন তথ্য জানিয়েছে, পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। সুনামঞ্জের প্রধান নদী সুরমা, যাদুকাটা ও পুরাতন সুরমাসহ সুনামগঞ্জের সব নদনদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
পাউবো জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয় ও আসাম প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টিপাতের ফলে সুনামগঞ্জের নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়ে হাওরের ফসল ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, গত চার দিন ধরে প্রতিটি নদীতেই পানি কমছে। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ৭২ ঘণ্টা মেঘালয় ও আসমে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে উত্তরপূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন নদ নদীর পানি দ্রুত বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
এদিকে সুনামগঞ্জে হাওর তলিয়ে ফসল নষ্টের পাশাপাশি নতুন করে বেশ কয়েকটি বাঁধে ফাটল ধরায় ঝুঁকির মুখে রয়েছে জেলার কয়েকটি হাওরের ফসল। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বর্ধিত গুরমা হাওরের ‘বাগমারা’ নামক ফসলরক্ষা বাঁধটি ধসে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধে বাঁশ, কোটা দিয়ে কোনো রকমে বাঁধটি টিকিয়ে রেখেছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাগমারা বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করতে না পারলে ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলার নোয়াল, খাউজ্যাউরি ও বংশীকুণ্ডাসহ তিনটি হাওরের প্রায় ১০ হাজার একর জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে যাবে।
ক্ষতির পরিমাণ
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, শনিবার পর্যন্ত (৯ এপ্রিল) জেলায় ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি ফসলহানি ঘটেছে দিরাইয়ে। এ উপজেলার ৩ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান তলিয়ে গেছে। ধর্মপাশায় ৯৬৫ হেক্টর, শাল্লায় ২০০ হেক্টর, সদরে ১০০ হেক্টর, দোয়ারাবাজারে ২০ হেক্টর, তাহিরপুরে ৮৫ হেক্টর এবং ছাতক উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৪৬৭ হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। যার মোট আবাদের মাত্র শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম শনিবার তাহিরপুরের হাওর এলাকার বাঁধ পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে জানান, হাওররক্ষা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। তারা দিন-রাত বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন।
যা বলছে হাওর উন্নয়ন সংস্থা
অধিকাংশ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য পিআইসি গঠন করার কারণেই বাঁধগুলো নিম্নমানের হয়েছে বলে মনে করেন পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা। তিনি ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, নির্ধারিত সময়ে অনেক বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। ফলে বাঁধগুলো এখনো নরম ও কাঁচা অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় অকালে পানি চলে আসায় হাওরাঞ্চলে অন্তত ৫০টি বাঁধ ঝুঁকিতে পড়েছে।
কাসমির রেজা আরও বলেন, বাঁধ নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। প্রকল্পের টাকার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত হয়নি। নীতিমালা অনুযায়ী, ৫০ মিটার দূর থেকে মাটি আনার কথা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। অনেক বাঁধে মাটি দুরমুজ ও ঢাল বজায় রাখার কাজও করা হয়নি। তিনি বলেন, তবে উজানে ও ভাটিতে নদী খনন করলে ফসল রক্ষায় কাঙি্ক্ষত ইতিবাচক ফল আসবে। নয়তো হাওর সব সময়ই ঝুঁকিতে পড়বে।
হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কুদরত পাশা কয়েক দিন ধরে সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাওরে বাঁধ পরিদর্শনে যাচ্ছেন। সরেজমিন অভিজ্ঞতার বিষয়টি উল্লেখ করে ঢাকাপ্রকাশকে তিনি বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী কোথাও যথাযথভাবে বাঁধের কাজ হয়নি। সুনামগঞ্জে এখনও সব বাঁধের নির্মাণকাজ শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে অনেক বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে।
অনিয়ম-দুর্নীতি বিষয়ে যা বলছেন কৃষক
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি সুনামগঞ্জে হাওর রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করতে গেলে সেখানে নানা অনিয়ম তুলে ধরেন ধর্মপাশা উপজেলার রাজাপুর বড়হাটির কৃষক আবদুল মালেক। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের আপন ভাই ধর্মপাশা উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিস,আওয়ামী লীগ নেতা রাজাপুরের আলমগীরসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোন্তাসির হাসান সরাসরি বাঁধ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। প্রতিটি পিআইসির বিপরীতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন তারা।
এ সময় উদাহরণ দিয়ে আরেক কৃষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, ১৮ লাখ টাকার বাঁধের জন্য ঘুষ দিতে হয় ২ লাখ টাকা। আর যাদের পিআইসি দেওয়া হয়, তাদের পুঁজি তেমন নেই। এ ছাড়া, বিল থাকে বকেয়া। ফলে কাজ হয় না ষোলোআনা। যার ফলে দুর্ভোগ পোহান হাওরের হাজারো কৃষক।
এদিকে, হাওরের অনিয়ম ও দুর্নীতি বিষয়ে আবদুল মালেক নামে এক কৃষকের মুখে হাওর দস্যুদের নাম উঠে আসার ভিডিও ক্লিপ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অনিয়ম তুলে ধরে কৃষক আবদুল মালেক বলেন, আওয়ামী লীগের নেতারা গিলে খেয়েছেন হাওর। এ সময় পাশ থেকে একজন দলকে দায়ী না করে ব্যক্তির নাম বলার অনুরোধ করেন।
এ সময় কৃষক আবদুল মালেক বলেন, ‘পুবাইল্লা, চাতল, আশা এ তিন হাওরে ২৪ কেয়ার বোর ধান চাষ করি। কিন্তু সবটাই হাওরের পানিয়ে লইয়া গ্যাচে। এখন আমার বাইচ্চা-কাইচ্চা কিতা খাইবো? কার ধারে যাইবো? সরকারে তো আমরারে সারা বছর খানি দিত না। মনে কইলে সাহায্য হিসেবে ২০ কেজি চাল দিবে। কিন্তু আমার সারা বছর চলবে কীভাবে ?’
জানতে চাইলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরে ফসলহানি ও বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মকর্তা, পিআইসি, জনপ্রতিনিধি যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, যেসব বাঁধ ভেঙেছে, সেসব পিআইসির অধীনে ছিল না। এদিকে বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাওরের ফসল রক্ষায় নদ-নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন বলেও তিনি জানান।
এসএন