শৈশবে ‘ডাক্তার ডাক্তার’ খেলতেন, বড় হয়ে মেডিকেলে চান্স পেলেন
শৈশবে খেলার ছলে সাদা কাগজে ওষুধের নাম লিখতে, মিছেমিছি জ্বর ও রক্তচাপ নির্ণয় করতে ভালোবাসতেন। স্বপ্ন দেখার শুরুটা তখন থেকেই।
বলছি, নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছী ইউনিয়নের রাহমানিয়া ইসলাম দোলা নামের এক শিক্ষার্থীর কথা। সেই দোলা এবার ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজে।
সে সদরের শৈলগাছী ইউনিয়নের রামরায়পুর গ্রামের শিক্ষক আসাদুল ইসলামের মেয়ে।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে উপজেলার চকপ্রাণ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন দোলার বাবা আসাদুল ইসলাম। ২০১৭ সাল থেকে একই উপজেলার শৈলগাছি রামরায়পুর দিঘীরপাড় উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তার দুই কন্যা সন্তানের মধ্যে দোলা বড়।
দোলা জানান, সামাজিকভাবেই কিছুটা অবহেলার মধ্যে মানুষ হয়েছেন তারা দুই বোন। শৈশবে খেলার ছলে সাদা কাগজে ওষুধের নাম লিখে খেলা করতে ভালোবাসতেন। স্বপ্ন দেখার শুরুটা তখন থেকেই। তবে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতিও চলছিল দুই বছর আগে থেকে। রাজশাহী মেডিকেলে পরীক্ষা দিয়ে প্রথমবারেই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। মধ্যবিত্ত পরিবারের বেড়ে ওঠা দোলা চিকিৎসা পেশায় কেবল অর্থ উপার্জনই নয়, মানুষের সেবক হয়ে কাজ করবেন বলেও জানান তিনি।
বাবা আসাদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের মেডিকেলে চান্স পাওয়া স্বপ্নের মতো। ছোটবেলা থেকেই দোলা বেশ বুদ্ধিদীপ্ত এবং পড়াশোনায় বেশ মনোযোগী ছিল। দোলা ২০১৭ -২০১৮ সেশনে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ (প্রাপ্ত নম্বার ১২৪৫) এবং ২০১৯-২০২০ সেশনে রাজশাহী কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ (প্রাপ্ত নম্বার ১২৬৮) পেয়ে উত্তীর্ণ হয়।
তিনি আরও জানান, শিক্ষকতার সীমিত অর্থ দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি মেয়েকে পড়িয়েছি। পড়ালেখা শেষ করে মেয়ে যাতে সত্যিকারের সৎ ও ভালো চিকিৎসক হয়ে গড়ে উঠেন এটিই চাওয়া।’
এমএসপি