বরিশালে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ
বরিশালে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সদর রোড প্রধান শাখায় গ্রাহককে জাল টাকা দিয়ে অস্বীকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এমন ঘটনায় সাধারণ জনমনে নেতিবাচক শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবং ব্যাংকটির গ্রাহকদের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল বুধবার (৬ এপ্রিল) এ ঘটনাটি ঘটে বরিশাল সদর রোড বিবির পুকুর পার এলএল টাওয়ারের প্রধান শাখায়।
অভিযোগকারী জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের প্রধান শাখায় চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে ৭ নম্বর কাউন্টারে টোকেনসহ চেক জমা দেওয়া হয়। ১০ মিনিট পর পিন ও সিল ছাড়া ১ লাখ টাকা (এক হাজার টাকার একটা বান্ডিল) গ্রাহককে দেওয়া হয়।
তিনি আরো জানান, ওই ব্যাংক থেকে ১০০ গজ দূরে নগরের সদর রোড অশ্বিনীর কুমার হলের সামনে ওই ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা টাকা ন্যাশনাল ব্যাংকে জমা দিতে গেলে ওই ব্যাংকের গ্রহণকারী কর্মকর্তা জানায় ‘একটি ১ হাজার টাকার জাল নোট পাওয়া গেছে।’ এ বিষয়টি ন্যাশনাল ব্যাংকে গ্রাহক ও কর্মকর্তাদের সম্মুখে ঘটলে তারা ডাচ-বাংলা ব্যাংককে অবহিত করার কথা বলেন।
এ ঘটনায় জাল টাকার বিষয়টি অবহিত করলে কাউন্টার কর্মকর্তা অস্বীকার করে বলেন, ‘এসব এখানে হয় না।’
এ বিষয়ে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার জানান, এ ঘটনায় আমাদের কিছু করার নেই। কাউন্টার ত্যাগ করলে আমাদের কিছু করার থাকে না। তবে পিন ও সিল ছাড়া কেন টাকা দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো উত্তর দেয়নি।
এ ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো হুমায়ুন কবির বলেন, ‘এতে আমাদের কিছু করার নেই। তবে এ ঘটনা নিয়ে তিনি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই করেননি বরং উল্টো গ্রাহকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন ওই গ্রাহক।
এদিকে ডাচ বাংলা ব্যাংকের জাল টাকা দেওয়ার বিষয়ে বেসরকারি এক ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংক টাকার বান্ডেলে পিন ও সিল ছাড়া গ্রাহককে প্রদান করে এবং বিভিন্ন সময়ে তারা ডাচ-বাংলা থেকে আসা গ্রাহকের টাকায় জাল নোট পাওয়া যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেসরকারি ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, ডাচ-বাংলা ব্যাংক গ্রাহকের টাকা প্রদানের মাধ্যমে নন ইস্যু টাকা বাজারে ছাড়ে যেটা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া উচিত। এতে ব্যাংক লাভবান হলেও গ্রাহক হয়রানির স্বীকার হয়।’
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বরিশালের আরেক বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত ব্যাংক ব্যবস্থাপক জানান, শুরু থেকেই ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উপর জাল টাকা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে ব্যাংক থেকে গ্রাহক ক্ষতি হোক এটা কোনও ব্যাংক প্রত্যাশা করে না।
এসআইএইচ