বরগুনায় স্ত্রীকে তালাক: যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা
বরগুনায় স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় বাবা-মায়ের সামনে যুবককে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের দফাদারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাটি ঘটেছে বেতাগী উপজেলার বিবিচিনি ইউনিয়নে।
এ ঘটনায় বুধবার (৬ এপ্রিল) বেতাগী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন খান ও ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার ফিরোজ আলম মন্টুসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই ভুক্তভোগী যুবকের মা। আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, তার ছেলে নাঈমের স্ত্রী তানিয়া পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়ায় স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ উভয় পক্ষের আত্মীয়-স্বজন শালিস-মিমাংসার মাধ্যমে ফয়সালা করেন। কিন্তু স্ত্রী তানিয়া পরকিয়া থেকে ফিরে না আসায় নাঈম স্ত্রীকে তালাক দেয়।
তালাকের বিষয়টি তানিয়ার বাবাসহ আত্মীয়রা জানতে পেরে চেয়ারম্যানকে জানায়। ৩১ মার্চ দফাদার মন্টুর মাধ্যমে মামলার বাদী ও তার স্বামীকে ইউনিয়ন পরিষদে ডেকে নেয় চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন। সেখানে দফাদার মন্টু, নজরুল ইসলাম, চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেনসহ ৭-৮ জন কেন শালিসির পরেও স্ত্রীকে তালাক দিয়েছে জানতে চেয়ে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে নাঈমকে চড় ঘুষিসহ শারীরিক নির্যাতন করে। বাঁধা দিতে গেলে নাঈমের বাবাকেও চড় ঘুষি দেয় চেয়ারম্যানসহ অন্যরা।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বিবিচিনি ইউপি চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন বলেন, নাঈম তার ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক দেওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদে এনে জিজ্ঞাসা করি শালিসি করে দেবার পর কেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে তালাক দিল? এ সময় অশালীন আচরণ করলে তাকে কয়েকটি চড় দিয়েছি।
নাঈমের বাবা কবির উদ্দীন বলেন, ইউপি দফাদার ও চেয়ারম্যানসহ আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে নির্যাতন করেছে। আমরা এখনও নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
এসআইএইচ