বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৬ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

খাদ্য সংকট সুন্দরবনে, বাঘসহ বন্যপ্রাণী লোকালয়ে

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর চলে আসছে লোকালয়ে। বন বিভাগ ও সংশ্নিষ্টরা বলেছেন, খাবারের সন্ধান, বন-সংলগ্ন এলাকায় লোকালয় গড়ে ওঠা এবং বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়াসহ আরও কয়েকটি কারণে লোকালয়ে আসছে এসব বন্যপ্রাণী। খুলনার সুন্দরবন অ্যাকাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, কিছুদিন পরপর সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসছে।

তিনি বলেন, বনে খাবার সংকট ও লোকালয়ে সহজে শিকার ধরতে পারায় বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসছে। বাঘের আক্রমণের শিকার হচ্ছে গরু-মহিষ। মাঝেমধ্যে আতঙ্কিত গ্রামবাসী পিটিয়ে বাঘ হত্যা করে। আবার কখনও কখনও বন বিভাগ তাড়িয়ে কিংবা অচেতন করে বাঘকে বনে ফিরিয়ে দিচ্ছে। একইভাবে হরিণ, অজগর বা কুমির উদ্ধার করে বনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার এই প্রবণতা রোধে বন বিভাগকেই উদ্যোগ নিতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বনে প্রতিকূলপরিবেশ, পানি এবং মাটিতে লবণাক্ততা বৃদ্ধির কারণেও বন্যপ্রাণী আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে আসছে।

খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে সাম্প্রতিক সময়ে বাঘসহ সুন্দরবনের অন্যান্য বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসা ঠেকাতে বনের ৬০ কিলোমিটার এলাকায় জাল দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এর আগে ভারতের বন বিভাগ সুন্দরবনে তাদের অংশে জাল দিয়ে সুফল পেয়েছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা নির্মল কুমার পাল বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসার কারণ সম্পর্কে বলেন, সুন্দরবন-সংলগ্ন এলাকায় লোকালয় গড়ে উঠেছে। বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্যপ্রাণী সহজে লোকালয়ে চলে আসছে। তবে গত ২-৩ বছরে কত সংখ্যক বন্যপ্রাণী লোকালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে তার কোনো পরিসংখ্যান জানাতে পারেননি এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবনের শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবন থেকে বাঘ, হরিণ, অজগর, কুমির ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসছে। পরে সেগুলো আবার বনে অবমুক্ত করছি আমরা। আসাদুজ্জামান বলেন, শরণখোলা উপজেলার খেজুরবাড়িয়া গ্রামে গত ৫ মে সুন্দরবনের একটি বাঘ চলে আসে। প্রায় একসপ্তাহ বাঘটি লোকালয়ে ঘোরাফেরা করায় আতঙ্কে ছিলেন চার গ্রামের মানুষ। বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী ভোলা নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় বাঘ অনায়াসে লোকালয়ে চলে আসছে।

এর আগে ২৪ এপ্রিল সুন্দরবনের কাছে ঘাস খাওয়ার সময় শরণখোলার ধানসাগর গ্রামের আফজাল হাওলাদারের একটি গরু বাঘের আক্রমণে গুরুতর জখম হয়। ৩১ মার্চ এ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামের সোবহান হাওলাদারের একটি মহিষ খালেরচরে ঘাস খাওয়ার সময় বন থেকে একটি বাঘ লোকালয়ে এসে মহিষটিকে আক্রমণ করে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, বাঘের আবাসন এলাকায় মানুষের বিচরণ বেড়েছে। সুন্দরবন নির্ভরশীল পেশাজীবীরা বনজসম্পদ আহরণে অবাধে বনে প্রবেশ করছেন। ফলে বাঘও তার স্থান ত্যাগ করছে। তিনি আরও বলেন, বাঘ লোকালয়ে আসার জন্য খাদ্য সংকটও বড় কারণ। এ জন্য একশ্রেণির চোরাশিকারিদের দায়ী করেন তিনি। বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে যেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট অ্যান্ড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক এ কে ফজলুল হক বলেন, বনের ভেতরে মা বাঘ তার বাচ্চাদের একটা সময় তাড়িয়ে দেয়, তখন ওই বাচ্চার নতুন জায়গা দখলের বিষয় আসে। এক্ষেত্রে বাঘ বন থেকে লোকালয়ে আসতে পারে।

তিনি বলেন, আবার চোরাশিকারিরা বাঘের খাবার হরিণ তো মারছেই। এক্ষেত্রে বনে হরিণের সংখ্যা কমলে বাঘ লোকালয়ে আসবে, এটা অস্বাবিক কিছু নয়। সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক শহিদুল ইসলাম জানান, সুন্দরবনের অন্য তিনটি রেঞ্জের তুলনায় শরণখোলা রেঞ্জে অজগরের সংখ্যা বেশি। গত তিন মাসে সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা কমপক্ষে ১০টি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আবার বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বনেরপাশেই লোকালয় গড়ে উঠেছে। আবার বন ও লোকালয়ের মধ্যবর্তী নদী-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসছে অজগর। শরণখোলার ধানসাগর গ্রামের দোকানি আমিন চৌকিদার বলেন, মাঝে মধ্যে রাতের আধারে বন্যশূকর দলবেঁধে গ্রামে ঢুকে ফসল নষ্ট করছে।

সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বাঘের লোকালয়ে আসার প্রবনতা বেড়েছে উল্লেখ করে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবীর বলেন, বাঘের বয়স ১২-১৩ বছর হলে তার শিকারিদাঁত পড়ে যায়। তখন হরিণ বা বন্যশূকর ধরলেও তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারে না। তখন খাবারের সন্ধানে মাঝে মধ্যে বন-সংলগ্ন লোকালয়ে চলে যায়। তিনি বলেন, আর বাঘের তাড়া খেয়ে অনেক সময় হরিণ ও বন্যশূকর লোকালয়ে চলে আসে। শূকর কচুর লতি বা এ জাতীয় খাবার পছন্দ করে। ওই খাবারের জন্যও মাঝে মধ্যে লোকালয়ে যায়। গত বছরের ১৮ জুলাই মোংলার জয়মনির ঘোল এলাকা থেকে একটি বন্যশূকর উদ্ধার করেন বনকর্মীরা।

আজাদ কবীর আরও জানান, অজগর সাপ অনেক সময় জোয়ারের পানির সঙ্গে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সহজে হাঁস-মুরগি শিকার করে খেতেও লোকালয়ে যায়। এর মধ্যেই সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে আসা কয়েকটি অজগর উদ্ধার হয়েছে। আর বন-সংলগ্ন খাল দিয়ে লোকালয়ের পুকুর বা ঘেরে যায় কুমির। চলতি বছরের ১৯ মার্চ রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা গ্রামের পুকুর থেকে একটি কুমির উদ্ধার হয়েছিল।

এর আগে ১২ এপ্রিল মোংলার বুড়িরডাঙ্গা গ্রামের একটি চিংড়িঘের থেকে উদ্ধার হয় আরও একটি কুমির। পশুর নদ থেকে খাল দিয়ে কুমির চিংড়ি ঘেরে চলে আসে বলে ধারণা তার। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার শোভনা এলাকার ভদ্রা নদীতে কুমির আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। গত ৮ জুলাই ভদ্রা নদী সংলগ্ন মঠবাড়িয়া গ্রামের জেলে মহিতোষ নদীতে মাছ ধরতে গেলে একটি কুমির তার নৌকায় হামলা করে। পরে মহিতোষ ও তার সহযোগীরা জাল ফেলে দ্রুত কিনারে চলে আসেন।

এছাড়া জিয়ালতলা এলাকার ভদ্রানদীর তীর থেকে কুমির একটি ছাগল নিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসীর ভাষ্য। ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক এ ঘটনা স্বীকার করে বলেন, ভদ্রা নদীটি শিবসা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সাগরে পড়েছে। ফলে সাগর থেকে দলছুট হয়ে কুমির শাখা নদীতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা তার।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির

ছবি: সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো কোনো আরব নেতা সিরিয়া সফরে গেলেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় তিনি সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে পৌঁছান। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সরকারের পতনের পর এই প্রথমবার কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধান দেশটি সফর করলেন। বর্তমানে সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আহমেদ আল-শারা। সফরের সময় দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে কাতারের আমিরকে স্বাগত জানান তিনি।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, নতুন সিরীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাতার মাঠপর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী। বিশেষ করে সিরিয়ার জনগণের জন্য চলমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতা করা, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব প্রতিহত করা এবং সিরিয়ার ওপর থেকে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহায়তা করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশটি।

বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের আমিরের এই সফর মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে পারে। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ শাইখ আশহাবুল ইয়ামিন হত্যাকাণ্ডে পুলিশের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে এই প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তদন্ত কর্মকর্তারা পুলিশের দায় এড়াতে পক্ষপাতমূলক প্রতিবেদন দিয়েছেন এবং ইয়ামিনকে সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

সমালোচকরা বলছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে পুলিশের নৈতিক অবক্ষয় এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গণঅভ্যুত্থানের পরও তারা নিজেদের পরিবর্তন করতে পারেনি। বরং, কঠিন চাপে থেকেও পুলিশের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড মাঝে মাঝেই প্রকাশ পাচ্ছে।

তদন্ত প্রতিবেদনে পুলিশের দাবি, ইয়ামিন এপিসি (সাঁজোয়া যান) কারে উঠলে বাইরে থেকে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোঁড়ে, যা তাকে আহত করে। এরপর এএসআই মোহাম্মদ আলী তাকে নামানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তার হাতে ব্যথা থাকায় ফসকে পড়ে যান ইয়ামিন। পুলিশ আরও জানায়, জনগণের কাছে হস্তান্তরের জন্য তাকে রোড ডিভাইডারে রাখা হয়, যাতে কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারে।

তবে এই বক্তব্যের সঙ্গে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজের কোনো মিল পাওয়া যায়নি। ভিডিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুলিশের সদস্যরা নীল রঙের এপিসি কারের ওপর ইয়ামিনকে ফেলে রেখে টহল চালায় এবং ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালায়। কিছুক্ষণ পর এপিসি কারটি সাভারের রানা প্লাজা ও ভ্যাট অফিসের মাঝামাঝি এলাকায় আসে। এরপর এপিসির ভেতর থেকে এক পুলিশ সদস্য দরজা খুলে দেয় এবং আরেকজন ইয়ামিনকে টেনে-হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে দেয়।

ভিডিওতে আরও দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ ইয়ামিন তখনও জীবিত ছিলেন। প্রচণ্ড কষ্টে নিশ্বাস নিতে দেখা যায় তাকে। তার পরনে ছিল নেভি ব্লু ট্রাউজার ও খয়েরি রঙের জামা। এপিসি থেকে ফেলে দেওয়ার পর তার দুই হাত দুই দিকে ছড়িয়ে যায় এবং একটি পা এপিসির বাঁ দিকের চাকার সঙ্গে আটকে থাকে। মৃত ভেবে পুলিশের সদস্যরা তার পায়ে আর গুলি না করে রাস্তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে টেনে রোড ডিভাইডারের পাশে ফেলে দেয়। এরপর আরও দুই পুলিশ সদস্য নেমে এসে তাকে সার্ভিস লেনে ফেলে রেখে চলে যায়।

পুলিশের এই প্রতিবেদনকে ‘চরম পক্ষপাতদুষ্ট’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে অগ্রহণযোগ্য বলে ঘোষণা দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, তদন্ত কর্মকর্তারা শুধু পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য নিয়েছেন, অথচ কোনো প্রত্যক্ষদর্শী, সংবাদকর্মী বা সাধারণ মানুষের সাক্ষ্য নেননি। এ কারণে তদন্ত প্রক্রিয়াকে পক্ষপাতদুষ্ট ও অবিশ্বাস্য বলে মনে করা হচ্ছে।

এছাড়া, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এক প্রতিবেদনে পুলিশের আচরণকে ‘ভয়ংকর বর্বরতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির তিন পুলিশ সদস্য দায়িত্বে চরম অবহেলা করেছেন এবং অপেশাদারসুলভ আচরণ করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখাকে সুপারিশ করা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ নীল এপিসি কার থেকে ইয়ামিনের গুলিবিদ্ধ দেহ রাস্তায় ফেলে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। ঘটনাটি ঘটে সাভারের আশুলিয়া এলাকায়। কোনো ময়নাতদন্ত বা আনুষ্ঠানিক মৃত্যুসনদ না দিয়েই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইয়ামিনের লাশ হস্তান্তর করে।

ঢাকা ও সাভার রেঞ্জের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ইয়ামিনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা না করার জন্য পরিবারকে ভয়ভীতি দেখায়। পরে, পরিবার তাকে সাভারের তালবাগে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করতে চাইলে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজান বাধা দেন। শেষ পর্যন্ত ব্যাংক টাউন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ দায় মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু ভিডিও ফুটেজের ভয়ংকর দৃশ্যগুলো ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনার সঙ্গে পুলিশের বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তাহলে, শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে যদি সত্য প্রকাশ না পায়, তবে স্বাধীন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে পুনরায় এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি উঠেছে। নিহত ইয়ামিনের পরিবার এবং আন্দোলনকারীরা ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও একাধিক হত্যা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাত ৯টায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের পোস্ট অফিসের গলির এক বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) মোহাম্মদ শিবলী কায়সার।

উল্লেখ্য, ৫ আগস্টের পর থেকে মোহাম্মদ নুরুজ্জামান আত্মগোপনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দীর্ঘদিনের নজরদারির পর অবশেষে তাকে গ্রেফতার করা হলো।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রথম আরব নেতা হিসেবে সিরিয়া সফরে কাতারের আমির
শহীদ ইয়ামিনকে হত্যা করল কে? পুলিশের তদন্তে নতুন বিতর্ক
রংপুর থেকে গ্রেফতার সাবেক সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান
কোটা পদ্ধতি পুনরায় পর্যালোচনার নতুন ৩ সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের
আমরা কারও কাছে চাঁদা চাইনি, চাইবোও না: জামায়াত আমির
নওগাঁ বারের নির্বাচনে সব পদে বিএনপি প্যানেলের জয়
আরব আমিরাতে চাঁদ দেখা গেছে, পবিত্র শবে বরাত ১৪ ফেব্রুয়ারি
ডিপসিকের চেয়েও কার্যকর নতুন এআই আনার দাবি আলিবাবার
প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও গুণগত পরিবর্তনই আমাদের মূল লক্ষ্য: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলায় সংঘর্ষ, আহত ১৬
শেখ হাসিনাসহ জড়িতদের বিচার দাবিতে আমরণ অনশনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলে নিজেই জানিয়ে দিবো: তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম
সাত কলেজের জন্য হচ্ছে ‘জুলাই ৩৬ বিশ্ববিদ্যালয়’
ভোটারদের আস্থা পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিতে বলেছে ইইউ: ইসি সচিব
রংপুরের টানা চতুর্থ হার, প্লে-অফের দৌড়ে টিকে রইলো খুলনা
চিরতরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ঢাকার মধুমিতা সিনেমা হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'জয় বাংলা' স্লোগান, আটক ৫
প্রধান উপদেষ্টার উদ্বোধনে শুরু হচ্ছে একুশে বইমেলা
সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানো সেই যুবককে গুলি করে হত্যা
বাংলাদেশ পুলিশে ১৬টি শূন্য পদে নিয়োগ, আবেদন শুরু ২ ফেব্রুয়ারি