নোয়াখালীতে স্বামীর পর ইমামকে মারলেন স্ত্রীও
নোয়াখালীর মাইজদীতে গায়ে ধুলো পড়ার জেরে মো. হাফিজ মাহমুদুল হাসান নামে এক ইমামকে মারধর করেছেন এক দম্পতি। এ ঘটনায় প্রথমে স্বামী ও পরে স্ত্রী ওই ইমামকে মারধর করেন। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সোমবার (১ এপ্রিল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
রবিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় শহরের মাইজদী হাসপাতাল সড়কের একটি ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।
৪১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটিতে দেখা যায়, শামিমা জাহান সুইটি ফার্মেসিতে ঢুকে প্রথমে ইমাম হাফিজ মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে কথা বলছেন। এর একপর্যায়ে সুইটি ধীরে ধীরে ইমামের কাছে যান এবং কিছু বুঝে উঠার আগেই ইমামকে মারধর শুরু করেন। মারধর করতে করতে তাকে ফার্মেসির ভেতরে নিয়ে যান সুইটি।
জানা যায়, রবিবার সকালে স্থানীয় হাজী নূর ইসলাম মসজিদের ইমাম জোহরের নামাজের জন্য মসজিদ পরিষ্কার করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রাইম হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মাহাবুবুর রহমান মসজিদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার গায়ে ধুলো পড়ে এমন অভিযোগে ইমাম হাফিজকে গালমন্দ এবং একপর্যায়ে ব্যাপক মারধর করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় বিকালে পুনরায় মাহাবুবুর রহমানের স্ত্রী প্রাইম হাসপাতালের চেয়ারম্যান শামিমা জাহান সুইটি হাসপাতালের সামনের ইসলাম ফার্মেসিতে গিয়ে ওই ইমামকে আবারও মারধর করেন।
এ বিষয়টি জানতে একাধিকবার শামিমা জাহান সুইটির মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, অভিযুক্তদের পুলিশ থানায় নিয়ে আসলে তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিষয়টি মিটমাট করে নেয়। ভুক্তভোগী ইমাম এ ঘটনায় মামলা করেনি। তারা নিজেরা নিজেরা বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছেন।
এসজি